নিউইয়র্ক ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মামদানিকে ফোন করে প্রশংসা করলেন বারাক ওবামা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:১৬:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১১ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ডেমেক্র্যাটিক প্রার্থী জোহরান মামদানীকে ফোন করে তার প্রচারাভিযানের প্রশংসা করেছেন এবং নির্বাচনে জয়ের পর পরামর্শদাতা হিসেবে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। মামদানী নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে লড়বেন বলে জানা গেছে। শনিবার (১ নভেম্বর) সাবেক প্রেসিডেন্ট মামদানীকে ফোন করেছিলেন বলে তথ্যে জানা গেছে। মামদানীর মুখপাত্র ডোরা পেকেচ নিজেই বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার সমর্থনমূলক কথায় জোহরান মামদানী অনুপ্রাণিত হয়েছেন। শহরে নতুন রাজনীতির মহল তৈরির বিষয়ে তারা আলোচনা করেছেন।
উগান্ডায় জন্মগ্রহণকারী ৩৪ বছর বয়সী মামদানী বর্তমানে স্টেট অ্যাসেম্বলী সদস্য। সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৪ নভেম্বর। এর আগেই তার জনপ্রিয়তা প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমোর তুলনায় অনেক বেশি। কুয়োমো প্রাইমারিতে মামদানীর কাছে হেরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রিপাবলিকান প্রার্থী হয়েছেন গার্ডিয়ান অ্যাঞ্জেলসের প্রতিষ্ঠাতা কার্টিস স্লিওয়া।
মামদানীর প্রাইমারি জয়ে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক চমকিত হয়েছেন। সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস ও নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুলসহ অনেকে তাকে সমর্থন করছেন, ফলে তার প্রার্থিতা আরও মজবুত হয়েছে। ছোট অনুদানদাতারাও তাকে সহযোগিতা করছেন। তার প্রচারণাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এ অনুদানদাতারাও।
মামদানীর নীতিগুলোর মধ্যে রয়েছে, নিউইয়র্ক সিটির ধনীদের ওপর কর বৃদ্ধি, করপোরেট ট্যাক্স বাড়ানো, স্ট্যাবিলাইজড অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়া স্থগিত রাখা এবং সরকারি ভর্তুকিযুক্ত আবাসন বৃদ্ধি করা। তবে তার এ নীতিগুলো শহরের ব্যবসায়ী মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। ব্যবসায়ী মহল মনে করছেন শহরের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান ক্ষতিগ্রস্ত করবে মামদানীর এসব নীতি।
রাজনীতিকরা বলছেন, মামদনীর উত্থানকে ডেমোক্রেটিক পার্টির জন্য ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় দিক দিয়েই দেখছে। তারা বলছেন, এটি ডেমোক্রেটিক পার্টির জন্য ঝুঁকি এবং সুযোগ দুটোই তৈরি করছে। ডেমোক্রেটিক পার্টিকে তরুণ ভোটারদের নজরে আকর্ষণীয় করে তুলছেন, তবে তার ইসরায়েলবিরোধী অবস্থানের কারণে রিপাবলিকানদের আক্রমণের মুখে পড়বেন। আবার তিনি ডেমোক্রেটিক সমাজতন্ত্রের দিকেও ঝুঁকছেন, যার দরুণ তার আক্রমণের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ওবামা শনিবার (০১ নভেম্বর) নিউজার্সির গভর্নর প্রার্থী মিকি শেরিল ও ভার্জিনিয়ার প্রার্থী অ্যাবিগেইল স্প্যানবার্গারের নির্বাচনী সমাবেশেও অংশ নেন। (সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক)

 

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মামদানিকে ফোন করে প্রশংসা করলেন বারাক ওবামা

প্রকাশের সময় : ১০:১৬:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

হককথা ডেস্ক: সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ডেমেক্র্যাটিক প্রার্থী জোহরান মামদানীকে ফোন করে তার প্রচারাভিযানের প্রশংসা করেছেন এবং নির্বাচনে জয়ের পর পরামর্শদাতা হিসেবে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। মামদানী নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে লড়বেন বলে জানা গেছে। শনিবার (১ নভেম্বর) সাবেক প্রেসিডেন্ট মামদানীকে ফোন করেছিলেন বলে তথ্যে জানা গেছে। মামদানীর মুখপাত্র ডোরা পেকেচ নিজেই বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার সমর্থনমূলক কথায় জোহরান মামদানী অনুপ্রাণিত হয়েছেন। শহরে নতুন রাজনীতির মহল তৈরির বিষয়ে তারা আলোচনা করেছেন।
উগান্ডায় জন্মগ্রহণকারী ৩৪ বছর বয়সী মামদানী বর্তমানে স্টেট অ্যাসেম্বলী সদস্য। সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৪ নভেম্বর। এর আগেই তার জনপ্রিয়তা প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমোর তুলনায় অনেক বেশি। কুয়োমো প্রাইমারিতে মামদানীর কাছে হেরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রিপাবলিকান প্রার্থী হয়েছেন গার্ডিয়ান অ্যাঞ্জেলসের প্রতিষ্ঠাতা কার্টিস স্লিওয়া।
মামদানীর প্রাইমারি জয়ে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক চমকিত হয়েছেন। সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস ও নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুলসহ অনেকে তাকে সমর্থন করছেন, ফলে তার প্রার্থিতা আরও মজবুত হয়েছে। ছোট অনুদানদাতারাও তাকে সহযোগিতা করছেন। তার প্রচারণাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এ অনুদানদাতারাও।
মামদানীর নীতিগুলোর মধ্যে রয়েছে, নিউইয়র্ক সিটির ধনীদের ওপর কর বৃদ্ধি, করপোরেট ট্যাক্স বাড়ানো, স্ট্যাবিলাইজড অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়া স্থগিত রাখা এবং সরকারি ভর্তুকিযুক্ত আবাসন বৃদ্ধি করা। তবে তার এ নীতিগুলো শহরের ব্যবসায়ী মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। ব্যবসায়ী মহল মনে করছেন শহরের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান ক্ষতিগ্রস্ত করবে মামদানীর এসব নীতি।
রাজনীতিকরা বলছেন, মামদনীর উত্থানকে ডেমোক্রেটিক পার্টির জন্য ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় দিক দিয়েই দেখছে। তারা বলছেন, এটি ডেমোক্রেটিক পার্টির জন্য ঝুঁকি এবং সুযোগ দুটোই তৈরি করছে। ডেমোক্রেটিক পার্টিকে তরুণ ভোটারদের নজরে আকর্ষণীয় করে তুলছেন, তবে তার ইসরায়েলবিরোধী অবস্থানের কারণে রিপাবলিকানদের আক্রমণের মুখে পড়বেন। আবার তিনি ডেমোক্রেটিক সমাজতন্ত্রের দিকেও ঝুঁকছেন, যার দরুণ তার আক্রমণের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ওবামা শনিবার (০১ নভেম্বর) নিউজার্সির গভর্নর প্রার্থী মিকি শেরিল ও ভার্জিনিয়ার প্রার্থী অ্যাবিগেইল স্প্যানবার্গারের নির্বাচনী সমাবেশেও অংশ নেন। (সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক)