নিউইয়র্ক ১১:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ওয়াশিংটন দূতাবাসের সতর্কবার্তা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৫৪:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১২২ বার পঠিত

যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের পতাকা। ফাইল ছবি

হককথা ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে শ্রম অধিকার রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতি বা দিকনির্দেশনা ঘোষণার পরে ওয়াশিংটনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। এতে জানানো হয়েছে, শ্রম অধিকার রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের নীতি বা দিকনির্দেশনা ঘোষণার আওতায় দেশটির বাণিজ্য ও ভিসা নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য হতে পারে বাংলাদেশ। চিঠিটি গত ২০ নভেম্বর পাঠানো হয় বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

তবে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ জানিয়েছেন, এটি ওয়াশিংটন দূতাবাস থেকে কোনো সতর্কতা নয়। এটি একটি স্বাভাবিক যোগাযোগ।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) দেশের একটি ইংরেজি জাতীয় পত্রিকাকে তিনি এ কথা বলেন।

চিঠিতে জানানো হয়েছে, শ্রম অধিকার রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের নীতি বা দিকনির্দেশনা ঘোষণার আওতায় দেশটির বাণিজ্য ও ভিসা নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য হতে পারে বাংলাদেশ।

শ্রম অধিকার রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতি এবং দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের বক্তব্যের বিষয়টি জানিয়ে ওয়াশিংটন দূতাবাস বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে (সাধারণ যোগাযোগ কার্য হিসেবে) এই চিঠি দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন বাণিজ্যসচিব। গত ১৬ নভেম্বর ব্লিংকেন বিশ্বজুড়ে শ্রম অধিকার রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতি বা দিকনির্দেশনা ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, বিশ্বজুড়ে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা, শ্রমিক অধিকারের পক্ষের কর্মী, শ্রমিক সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে যে বা যারা হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করবে, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনবে যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে বাণিজ্য, ভিসা নিষেধাজ্ঞাসহ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যত ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে, তা প্রয়োগ করা হবে।

এদিকে এর আগে ১৬ নভেম্বর প্রথমবারের মতো একটি মেমোরেন্ডামে স্বাক্ষর করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে এই মেমোরেন্ডামে স্বাক্ষর করেন তিনি। এই বিষয়টিকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছে হোয়াইট হাউস। এ মেমোরেন্ডাম স্বাক্ষরের পরে সানফ্রান্সিসকোর একটি হোটেলে শ্রমিক নেতাদের সামনে এর বিস্তারিত তুলে ধরেন ব্লিংকেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনের বক্তব্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং প্রবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনায় এসব শ্রমিকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। দুর্ভাগ্য হচ্ছে, বিশ্বের অনেক স্থানে শ্রমিকদের এ সুযোগ দেওয়া হয় না। শুধু তাই নয়, কিছু স্থানে শ্রমিকদের মানসম্পন্ন জীবনযাপনকেও অস্বীকার করা হয়, তাদের হয়রানি করা হয় এবং ক্ষতি করা হয়। এমনকি তাদের অধিকার চাইতে গেলে হত্যার শিকার হতে হয়। শ্রমিক ইউনিয়ন গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে, তারা বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বস্ত বন্ধু। আর এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র তাদের রক্ষায় এগিয়ে এসেছে, শুধু যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে নয়, বিশ্বব্যাপী।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, আমরা বাংলাদেশি গার্মেন্ট ও অধিকারকর্মী কল্পনা আক্তারের মতো মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। সূত্র : সাম্প্রতিক দেশকাল

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ওয়াশিংটন দূতাবাসের সতর্কবার্তা

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৪:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

হককথা ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে শ্রম অধিকার রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতি বা দিকনির্দেশনা ঘোষণার পরে ওয়াশিংটনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। এতে জানানো হয়েছে, শ্রম অধিকার রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের নীতি বা দিকনির্দেশনা ঘোষণার আওতায় দেশটির বাণিজ্য ও ভিসা নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য হতে পারে বাংলাদেশ। চিঠিটি গত ২০ নভেম্বর পাঠানো হয় বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

তবে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ জানিয়েছেন, এটি ওয়াশিংটন দূতাবাস থেকে কোনো সতর্কতা নয়। এটি একটি স্বাভাবিক যোগাযোগ।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) দেশের একটি ইংরেজি জাতীয় পত্রিকাকে তিনি এ কথা বলেন।

চিঠিতে জানানো হয়েছে, শ্রম অধিকার রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের নীতি বা দিকনির্দেশনা ঘোষণার আওতায় দেশটির বাণিজ্য ও ভিসা নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য হতে পারে বাংলাদেশ।

শ্রম অধিকার রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতি এবং দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের বক্তব্যের বিষয়টি জানিয়ে ওয়াশিংটন দূতাবাস বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে (সাধারণ যোগাযোগ কার্য হিসেবে) এই চিঠি দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন বাণিজ্যসচিব। গত ১৬ নভেম্বর ব্লিংকেন বিশ্বজুড়ে শ্রম অধিকার রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতি বা দিকনির্দেশনা ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, বিশ্বজুড়ে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা, শ্রমিক অধিকারের পক্ষের কর্মী, শ্রমিক সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে যে বা যারা হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করবে, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনবে যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে বাণিজ্য, ভিসা নিষেধাজ্ঞাসহ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যত ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে, তা প্রয়োগ করা হবে।

এদিকে এর আগে ১৬ নভেম্বর প্রথমবারের মতো একটি মেমোরেন্ডামে স্বাক্ষর করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে এই মেমোরেন্ডামে স্বাক্ষর করেন তিনি। এই বিষয়টিকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছে হোয়াইট হাউস। এ মেমোরেন্ডাম স্বাক্ষরের পরে সানফ্রান্সিসকোর একটি হোটেলে শ্রমিক নেতাদের সামনে এর বিস্তারিত তুলে ধরেন ব্লিংকেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনের বক্তব্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং প্রবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনায় এসব শ্রমিকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। দুর্ভাগ্য হচ্ছে, বিশ্বের অনেক স্থানে শ্রমিকদের এ সুযোগ দেওয়া হয় না। শুধু তাই নয়, কিছু স্থানে শ্রমিকদের মানসম্পন্ন জীবনযাপনকেও অস্বীকার করা হয়, তাদের হয়রানি করা হয় এবং ক্ষতি করা হয়। এমনকি তাদের অধিকার চাইতে গেলে হত্যার শিকার হতে হয়। শ্রমিক ইউনিয়ন গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে, তারা বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বস্ত বন্ধু। আর এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র তাদের রক্ষায় এগিয়ে এসেছে, শুধু যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে নয়, বিশ্বব্যাপী।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, আমরা বাংলাদেশি গার্মেন্ট ও অধিকারকর্মী কল্পনা আক্তারের মতো মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। সূত্র : সাম্প্রতিক দেশকাল

হককথা/নাছরিন