ফের যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস, নিন্দার ঝড়

- প্রকাশের সময় : ০৭:১২:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০২২
- / ১৪৭ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক : মাটিতে ফেলে তিনজনে মিলে চেপে ধরা! তারপর মুখে একের পর এক ঘুসি! হাঁটু দিয়ে পিঠে-কোমরে লাথি! ফের যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশি নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হতেই বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়।
দু’বছর আগে ট্রাম্প জমানায় পুলিশ হেফাজতে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছিল গোটা আমেরিকা। সেই ঘটনার থেকে শিক্ষা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশ যে নিজেদের একটুও বদলায়নি, তা এই ঘটনায় স্পষ্ট। এবারও অবশ্য অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেরি করেনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন। ভিডিওতে যে তিনজন অফিসারকে মারধর করতে দেখা গিয়েছে, তাদের ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্তও।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, অভিযুক্ত পুলিশ অফিসাররা যে ব্যক্তিকে মারধর করেছেন, তার নাম র্যান্ডল ওরচেস্টার। আরকানসাসের ক্রোফোর্ড কাউন্টির বাসিন্দা র্যান্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রবিবার তিনি স্থানীয় একটি স্টোরে গিয়ে সেখানকার কর্মীদের হুমকি দেন। এই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। হুমকি দেয়ার অপরাধে র্যান্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরই গাড়ির কাছে মাটিতে ফেলে তার উপর চলে অকথ্য নির্যাতন। সেই ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করেন এক ব্যক্তি। সেটা নজরে আসতেই তাকেও হুমকি দেন অভিযুক্ত পুলিশ অফিসাররা। ভাইরাল ভিডিওতে পুলিশের হুমকি দেয়ার সেই ছবিও ধরা পড়েছে।
গ্রেফতারির পর কেন হঠাৎ র্যান্ডলের চড়াও হলেন তিন-তিনজন পুলিশ অফিসার? প্রাথমিক তদন্তে প্রশাসনের দাবি, ঘটনাস্থলে গিয়ে র্যান্ডলের সঙ্গে শান্ত ও স্বাভাবিকভাবে কথা বলছিলেন তারা। কিন্তু ওই ব্যক্তিই ৩ জন অফিসারের মধ্যে একজনের উপর হামলা চালান। এর পরই মেজাজ হারিয়ে র্যান্ডলকে মাটিতে ফেলে মারধর শুরু করেন অভিযুক্ত ৩ অফিসার। পরে আহত র্যান্ডলকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে ওই ব্যক্তি। ‘ঘটনার ভয়াবহতার কথা বিচার করে যাবতীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেয়া হয়েছে,’ ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন ক্রোফোর্ড কাউন্টির শেরিফ জিমি ডামান্টে। সূত্র: এপি।
হককথা/এমউএ