নিউইয়র্ক ০৫:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে লাখো জনতার বিক্ষোভ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৭৭ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলে নির্বিচারে হামলা বন্ধে যুদ্ধ বিরতির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের রাস্তায় নেমে তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার শান্তিকামী মানুষ। শনিবারের এ বিক্ষোভে তারা ইসরাইলকে অন্ধ সমর্থন দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ফিলিস্তিনে গণহত্যার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। খবর আলজাজিরা, রয়টার্স ও বিবিসির।

টানা প্রায় এক মাস ধরে চালানো ইসরাইলের হামলায় নারী ও শিশুসহ এখন পর্যন্ত সাড়ে ৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ হত্যাযজ্ঞ বন্ধে যুদ্ধ বিরতির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বিক্ষোভকারীরা শনিবার হোয়াইট হাউজের কাছে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। এ বিক্ষোভ হোয়াইট হাউজের কাছে ফ্রিডম প্লাজা থেকে পূর্ব দিকে ইউএস ক্যাপিটলের দিকে বেশ কয়েকটি ব্লক পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল। এ সময় কেউ কেউ ইসরাইলের প্রতি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অন্ধ সমর্থনেরও তীব্র সমালোচনা করেন।

বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনি পতাকা ও প্ল্যাকার্ডও বহন করেন। এসব প্ল্যাকার্ডে ‘প্যালেস্টানিয়ান লাইভস ম্যাটার’ এবং ‘এখনই গাজা অবরোধ অবসান ঘটান’-এর মতো স্লোগান লেখা ছিল। এ বিক্ষোভে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ছিল লক্ষ্য করার মতো। তারা ‘বাইডেন, বাইডেন, আপনি লুকাতে পারবেন না; আমরা আপনাকে গণহত্যার জন্য অভিযুক্ত করছি,’ বলেও স্লোগান দেন।

ইসরাইলের নিরবচ্ছিন্ন বোমাবর্ষণের কারণ গাজায় গণহত্যার ঝুঁকি ক্রমাগত বাড়ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। জাতিসংঘের ‘জেনোসাইড কনভেনশন’ এ গণহত্যার সংজ্ঞায়, একটি পুরো জাতি বা এর অংশ, জাতিগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত কর্মকাণ্ডকে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে হত্যার পাশাপাশি জন্ম প্রতিরোধের ব্যবস্থাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

বাইডেন প্রশাসন ইসরাইলকে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা কমানোর আহ্বান জানিয়েছে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসাবে তারা কিভাবে সামরিক অভিযান পরিচালনা করে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো সীমারেখার উল্লেখ করেনি। এছাড়া গাজার বর্তমান যুদ্ধে তহবিল সহায়তার জন্য বাইডেন কংগ্রেসের কাছে ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি সহায়তার অনুরোধ জানিয়েছেন। শনিবারের বিক্ষোভ সমাবেশে অনেক বিক্ষোভকারী ইসরাইলকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা দেওয়া বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

গাজায় ইসরাইলি বর্বরোচিত হামলার বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও যুক্তরাজ্য ও কানাডাসহ বহু দেশে বিক্ষোভ হয়েছে। বাদ যায়নি আফ্রিকার সেনেগালসহ তুরস্ক, জার্মানি ও ইতালিও। এসব বিক্ষোভ থেকে গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত হামলার বিরোধিতা এবং অবিলম্বে অস্ত্রবিরতির দাবি জানানো হয়েছে।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে লাখো জনতার বিক্ষোভ

প্রকাশের সময় : ০৬:১৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩

হককথা ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলে নির্বিচারে হামলা বন্ধে যুদ্ধ বিরতির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের রাস্তায় নেমে তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার শান্তিকামী মানুষ। শনিবারের এ বিক্ষোভে তারা ইসরাইলকে অন্ধ সমর্থন দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ফিলিস্তিনে গণহত্যার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। খবর আলজাজিরা, রয়টার্স ও বিবিসির।

টানা প্রায় এক মাস ধরে চালানো ইসরাইলের হামলায় নারী ও শিশুসহ এখন পর্যন্ত সাড়ে ৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ হত্যাযজ্ঞ বন্ধে যুদ্ধ বিরতির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বিক্ষোভকারীরা শনিবার হোয়াইট হাউজের কাছে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। এ বিক্ষোভ হোয়াইট হাউজের কাছে ফ্রিডম প্লাজা থেকে পূর্ব দিকে ইউএস ক্যাপিটলের দিকে বেশ কয়েকটি ব্লক পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল। এ সময় কেউ কেউ ইসরাইলের প্রতি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অন্ধ সমর্থনেরও তীব্র সমালোচনা করেন।

বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনি পতাকা ও প্ল্যাকার্ডও বহন করেন। এসব প্ল্যাকার্ডে ‘প্যালেস্টানিয়ান লাইভস ম্যাটার’ এবং ‘এখনই গাজা অবরোধ অবসান ঘটান’-এর মতো স্লোগান লেখা ছিল। এ বিক্ষোভে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ছিল লক্ষ্য করার মতো। তারা ‘বাইডেন, বাইডেন, আপনি লুকাতে পারবেন না; আমরা আপনাকে গণহত্যার জন্য অভিযুক্ত করছি,’ বলেও স্লোগান দেন।

ইসরাইলের নিরবচ্ছিন্ন বোমাবর্ষণের কারণ গাজায় গণহত্যার ঝুঁকি ক্রমাগত বাড়ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। জাতিসংঘের ‘জেনোসাইড কনভেনশন’ এ গণহত্যার সংজ্ঞায়, একটি পুরো জাতি বা এর অংশ, জাতিগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত কর্মকাণ্ডকে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে হত্যার পাশাপাশি জন্ম প্রতিরোধের ব্যবস্থাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

বাইডেন প্রশাসন ইসরাইলকে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা কমানোর আহ্বান জানিয়েছে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসাবে তারা কিভাবে সামরিক অভিযান পরিচালনা করে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো সীমারেখার উল্লেখ করেনি। এছাড়া গাজার বর্তমান যুদ্ধে তহবিল সহায়তার জন্য বাইডেন কংগ্রেসের কাছে ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি সহায়তার অনুরোধ জানিয়েছেন। শনিবারের বিক্ষোভ সমাবেশে অনেক বিক্ষোভকারী ইসরাইলকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা দেওয়া বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

গাজায় ইসরাইলি বর্বরোচিত হামলার বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও যুক্তরাজ্য ও কানাডাসহ বহু দেশে বিক্ষোভ হয়েছে। বাদ যায়নি আফ্রিকার সেনেগালসহ তুরস্ক, জার্মানি ও ইতালিও। এসব বিক্ষোভ থেকে গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত হামলার বিরোধিতা এবং অবিলম্বে অস্ত্রবিরতির দাবি জানানো হয়েছে।

হককথা/নাছরিন