নিউইয়র্ক ১১:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

পাবলিক চার্জ আইনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৩৬:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অগাস্ট ২০২০
  • / ৩৩ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: ট্রাম্প প্রশাসনের নেয়া পাবলিক চার্জের বিরুদ্ধে ইনজাংশন জারী করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র এই পাবলিক চার্জের বিরুদ্ধে আনীত এই ইনজাংশন কার্যকর হবে। গত বুধবার নিউইয়র্কের একটি ফেডারেল কোর্ট ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে এই রুল জারী করেছে। করোনা ভাইরাসের এই দূর্যোগে কোন ইমিগ্র্যান্টকে সরকারী সুযোগ গ্রহণের কারণে তার গ্রীনকার্ড, সিটিজেনশীপ বা ইমিগ্র্যাশন সুবিধা থেকে যেন তাদের বঞ্চিত করা না হয় সেজন্যই এই নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে। নিউইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্র ডিষ্ট্রিক্ট জাজ জর্জ ডেনিয়েল এই নিষেধাজ্ঞা জারী করেছেন।
নিউইয়র্ক, নিউজার্সী, কানেটিকাটের এটর্নী জেনারেলরা এক সাথে পাবলিক চার্জ বন্ধে কোর্টের দ্বারস্থ হলে কোর্ট এই রায় প্রদান করেছে। এই রুলিংয়ের অর্থ হচ্ছে ইমিগ্র্যান্টদের মধ্যে যারা মেডিকেইড, ফুড স্ট্যাম্প, হাউজিং ভাউচার সহ বিভিন্ন সরকারী সুযোগ নিচ্ছেন পাবলিক চার্জের আওতায় তাদের আর কোনভাবেই ইমিগ্র্যাশন সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। গত ২৪ ফেব্রæয়ারী থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাবলিক চার্জ কার্যকর হয়েছে। এক্ষেত্রে জাজ জর্জ ডেনিয়েল বলেছেন করোনা সংকট চলাকালে এই আইনের কোন কার্যকারিতা থাকবে না।
নিউইয়র্ক স্টেট এটর্নী জেনারেল লাটিশিয়া জেমস এক বিবৃতিতে বলেছেন, পাবলিক চার্জ কার্যকর হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ইমিগ্র্যান্টদের একটি বড় অংশ চিকিৎসা সুবিধা সহ বিভিন্ন মৌলিক মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। এই ইনজাংশনের প্রেক্ষিতে অধিকার বঞ্চিতরা এখন পরিপূর্ণ নাগরিক অধিকার উপভোগ করতে পারবেন।
গত ২৭ জানুয়ারী যুক্তরাষ্ট্র সুপ্রীম কোর্টে ৬-৪ ভোটে এই পাবলিক চার্জের পক্ষে রায় দেয়া হয়। এর প্রতিবাদে নিউইয়র্কে ফেডারেল সার্কিট কোর্টে এর বিরুদ্ধে ইনজাংশনের আবেদন করা হয়। ইতোমধ্যেই ফেডারেল আইনে যে কেউ ইমিগ্র্যাশন সুবিধা নিতে চাইলে তাকে কোনভাবেই সরকারের বোঝা নন এটা প্রমানের লক্ষ্যেই চালু করা হয় পাবলিক চার্জ আইন।
পাবলিক চার্জ আইন কার্যকর করার পর পরই এর বিরুদ্ধে প্রো-ইমিগ্র্যান্ট গ্রæপ স্বোচ্চার হয়ে উঠে প্রতিবাদে। তাদের দাবী ছিল অভিবাসনকে সীমিত করাই ট্রাম্প প্রশাসনের লক্ষ্য। এবং এজন্য এই আইন কার্যকরে তিনি মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এর প্রেক্ষিতে যে কেউ ইমিগ্র্যাশন সাক্ষাতকার দিতে গেলে তিনি চিকিৎসা, শিক্ষা, বাসস্থান ইত্যাদি ক্ষেত্রে কোন ধরনের সরকারী সুবিধা নিয়েছেন কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হতো।
সূত্রমতে, প্রতি বছর ৫ লাখ ৪৪ হাজার মানুষ গ্রীনকার্ডের জন্য আবেদন করে থাকেন। এরমধ্যে পাবলিক চার্জের আওতায় ৩ লাখ ৮২ হাজার আবেদন নাকচ করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে নিউইয়র্কের জনপ্রিয় টাইম টেলিভিশনের সাথে এক সাক্ষাতকারে এটর্নী শেখ সেলিম বলেন, এই ইনজাংশন শেষ হওয়ার আগেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ট্রাম্প হেরে গেলে এটা এমনিতেই বাতিল হয়ে যাবে। আর ট্রাম্প বিজয়ী হলেও এর বিরুদ্ধে আপীল পাল্টা আপীলে কমপক্ষে আরো ৫ বছর যাবে। যার ফলে এই আইন আদৌ দিনের আলো দেখবে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। (বাংলা পত্রিকা)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

পাবলিক চার্জ আইনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৬:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অগাস্ট ২০২০

হককথা ডেস্ক: ট্রাম্প প্রশাসনের নেয়া পাবলিক চার্জের বিরুদ্ধে ইনজাংশন জারী করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র এই পাবলিক চার্জের বিরুদ্ধে আনীত এই ইনজাংশন কার্যকর হবে। গত বুধবার নিউইয়র্কের একটি ফেডারেল কোর্ট ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে এই রুল জারী করেছে। করোনা ভাইরাসের এই দূর্যোগে কোন ইমিগ্র্যান্টকে সরকারী সুযোগ গ্রহণের কারণে তার গ্রীনকার্ড, সিটিজেনশীপ বা ইমিগ্র্যাশন সুবিধা থেকে যেন তাদের বঞ্চিত করা না হয় সেজন্যই এই নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে। নিউইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্র ডিষ্ট্রিক্ট জাজ জর্জ ডেনিয়েল এই নিষেধাজ্ঞা জারী করেছেন।
নিউইয়র্ক, নিউজার্সী, কানেটিকাটের এটর্নী জেনারেলরা এক সাথে পাবলিক চার্জ বন্ধে কোর্টের দ্বারস্থ হলে কোর্ট এই রায় প্রদান করেছে। এই রুলিংয়ের অর্থ হচ্ছে ইমিগ্র্যান্টদের মধ্যে যারা মেডিকেইড, ফুড স্ট্যাম্প, হাউজিং ভাউচার সহ বিভিন্ন সরকারী সুযোগ নিচ্ছেন পাবলিক চার্জের আওতায় তাদের আর কোনভাবেই ইমিগ্র্যাশন সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। গত ২৪ ফেব্রæয়ারী থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাবলিক চার্জ কার্যকর হয়েছে। এক্ষেত্রে জাজ জর্জ ডেনিয়েল বলেছেন করোনা সংকট চলাকালে এই আইনের কোন কার্যকারিতা থাকবে না।
নিউইয়র্ক স্টেট এটর্নী জেনারেল লাটিশিয়া জেমস এক বিবৃতিতে বলেছেন, পাবলিক চার্জ কার্যকর হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ইমিগ্র্যান্টদের একটি বড় অংশ চিকিৎসা সুবিধা সহ বিভিন্ন মৌলিক মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। এই ইনজাংশনের প্রেক্ষিতে অধিকার বঞ্চিতরা এখন পরিপূর্ণ নাগরিক অধিকার উপভোগ করতে পারবেন।
গত ২৭ জানুয়ারী যুক্তরাষ্ট্র সুপ্রীম কোর্টে ৬-৪ ভোটে এই পাবলিক চার্জের পক্ষে রায় দেয়া হয়। এর প্রতিবাদে নিউইয়র্কে ফেডারেল সার্কিট কোর্টে এর বিরুদ্ধে ইনজাংশনের আবেদন করা হয়। ইতোমধ্যেই ফেডারেল আইনে যে কেউ ইমিগ্র্যাশন সুবিধা নিতে চাইলে তাকে কোনভাবেই সরকারের বোঝা নন এটা প্রমানের লক্ষ্যেই চালু করা হয় পাবলিক চার্জ আইন।
পাবলিক চার্জ আইন কার্যকর করার পর পরই এর বিরুদ্ধে প্রো-ইমিগ্র্যান্ট গ্রæপ স্বোচ্চার হয়ে উঠে প্রতিবাদে। তাদের দাবী ছিল অভিবাসনকে সীমিত করাই ট্রাম্প প্রশাসনের লক্ষ্য। এবং এজন্য এই আইন কার্যকরে তিনি মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এর প্রেক্ষিতে যে কেউ ইমিগ্র্যাশন সাক্ষাতকার দিতে গেলে তিনি চিকিৎসা, শিক্ষা, বাসস্থান ইত্যাদি ক্ষেত্রে কোন ধরনের সরকারী সুবিধা নিয়েছেন কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হতো।
সূত্রমতে, প্রতি বছর ৫ লাখ ৪৪ হাজার মানুষ গ্রীনকার্ডের জন্য আবেদন করে থাকেন। এরমধ্যে পাবলিক চার্জের আওতায় ৩ লাখ ৮২ হাজার আবেদন নাকচ করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে নিউইয়র্কের জনপ্রিয় টাইম টেলিভিশনের সাথে এক সাক্ষাতকারে এটর্নী শেখ সেলিম বলেন, এই ইনজাংশন শেষ হওয়ার আগেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ট্রাম্প হেরে গেলে এটা এমনিতেই বাতিল হয়ে যাবে। আর ট্রাম্প বিজয়ী হলেও এর বিরুদ্ধে আপীল পাল্টা আপীলে কমপক্ষে আরো ৫ বছর যাবে। যার ফলে এই আইন আদৌ দিনের আলো দেখবে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। (বাংলা পত্রিকা)