নিউইয়র্ক ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

পর্নো তারকার সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক গোপন করাকে ফৌজদারি অপরাধ বললো প্রসিকিউশন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:০৭:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪৪ বার পঠিত

নির্বাচনের আগে পর্নো তারকা স্টর্মি ডানিয়েলকে অর্থ দিয়ে তার মুখ বন্ধ করার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ফৌজদারি অপরাধ করেছেন এবং তিনি তার যৌন কেলেঙ্কারিকে ধামাচাপা দিয়েছিলেন। সোমবার এ বিষয়ে নিউ ইয়র্কের আদালতে ঐতিহাসিক বক্তব্য রাখেন একজন আইনজীবী। সেখানে তিনি এ কথা বলেন। সোমবার আদালতে সাক্ষ্য নেয়া শুরু হয়। সেখানে জুরিদের সামনে একজন আইনজীবী ট্রাম্পের এসব কর্মকাণ্ডকে নির্বাচনে প্রতারণা বলে উল্লেখ করেন। এই আইনজীবীর বক্তব্যকে কাউন্টার দিতে গিয়ে ট্রাম্পের আইনজীবী বলেন, তার মক্কেল (ট্রাম্প) কোনো অপরাধ করেননি। নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করা কোনো বেআইনি বিষয় নয়। তিনি নির্দোষ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

অভিযোগ আছে এক সময় পর্নো তারকা স্টর্মি ডানিয়েলের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ছিল ডনাল্ড ট্রাম্পের। তারপর তিনি ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন। সেই নির্বাচনে জয়ী হন। কিন্তু নির্বাচনের আগে স্টর্মি ডানিয়েলের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ করতে তাকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এ নিয়ে মামলা চলমান। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার আদালতে শুনানি হয়। ওদিকে ব্যবসায়িক রেকর্ডে মিথ্যা তথ্য দেয়ার কারণে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে ৩৪টি অভিযোগ আছে, তার দায় স্বীকার করেননি তিনি। একই সঙ্গে স্টর্মি ডানিয়েলের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্কের কথাও প্রত্যাখ্যান করেছেন। নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটানে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অবরাধের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুনানি হয় সোমবার। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কোনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এটাই এমন প্রথম মামলা। এ মামলায় প্রথম প্রত্যক্ষদর্শী ট্যাবলয়েড একটি পত্রিকার প্রকাশক ডেভিড পেকার অল্প সময়ের জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়ান। মঙ্গলবারও অব্যাহতভাবে সাক্ষ্য দেয়ার কথা তার। সোমবারের শুনানির সময় প্রসিকিউটর ম্যাথিউ কোলাঞ্জেলো আদালতকে বলেন, ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী ও বিশ্বস্ত মাইকেল কোহেন কাজ করতেন ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের প্রধান অর্থ বিষয়ক কর্মকর্তা অ্যালেন ওয়েসেলবার্গের সঙ্গে। তারাই ট্রাম্পের নির্দেশনায় মুখ বন্ধ করার কাজ করেছেন। শুনানিতে প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেন, ডানিয়েলকে কীভাবে অর্থ প্রদান করেছিলেন মাইকেল কোহেন তা গোপন করার পরিকল্পনায় তিন ধরনের রেকর্ড আছে। তা হলো চালান, লেজার এন্ট্রি এবং চেক। কিন্তু ট্রাম্প বলেছেন, কোহেনের সঙ্গে রিটেইনার চুক্তি অনুযায়ী আইনি সেবা দেয়ার জন্য ওই অর্থ দেয়া হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে প্রসিকিউটর বলেন, এসব কথা মিথ্যা।

তিনি আরও বলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে ট্রাম্প ওই অর্থ দিয়েছেন, যাতে মিস ডানিয়েলের সঙ্গে সম্পর্কের খবর ভোটাররা জানতে না পারেন। প্রসিকিউটররা বলেন, এই ধামাচাপা দেয়ার ঘটনাকে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। যা একটি দ্বিতীয় অপরাধ। তারা আরও দাবি করেন কুখ্যাত ‘অ্যাক্সেস হলিউড’ টেপ তার নির্বাচনী প্রচারণায় পীড়ার সৃষ্টি করেছিল। ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে ওই টেপ প্রকাশ হয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায়, যে কারও সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে সক্ষমতা নিয়ে কথা বলছেন ট্রাম্প। কারণ তিনি বিখ্যাত। কোলাঞ্জেলো আদালতে বলেছেন, বিবাদী (ট্রাম্প) ও তার নির্বাচনী প্রচারণা স্টাফরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ছিলেন যে, এ ঘটনায় তাদের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। কিন্তু এর একদিন পরেই মিস ডানিয়েল সামনে এগিয়ে আসেন। অভিযোগ করেন ট্রাম্পের সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক ছিল। তার এই অভিযোগ ট্রাম্পের ওই টেপ কেলেঙ্কারিকে আরও জটিল করে তোলে। জনগণ বিষয়টি জানলে পরিস্থিতি খারাপ হবে এ জন্য ট্রাম্প আগেই ডানিয়েলের সঙ্গে একটি সমঝোতার নির্দেশ দিয়েছিলেন মাইকেল কোহেনকে- জুরিদের সামনে এ কথা বলেছেন কোলাঞ্জেলো। প্রসিকিউশন অভিযোগ করে আমেরিকান মিডিয়া ইনকরপোরেশনের সাবেক বস ও ন্যাশনাল এনকুইরারের মালিক পিকার ও মাইকেল কোহেন এ বিষয়টি গোপন রাখা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

পর্নো তারকার সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক গোপন করাকে ফৌজদারি অপরাধ বললো প্রসিকিউশন

প্রকাশের সময় : ০৪:০৭:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

নির্বাচনের আগে পর্নো তারকা স্টর্মি ডানিয়েলকে অর্থ দিয়ে তার মুখ বন্ধ করার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ফৌজদারি অপরাধ করেছেন এবং তিনি তার যৌন কেলেঙ্কারিকে ধামাচাপা দিয়েছিলেন। সোমবার এ বিষয়ে নিউ ইয়র্কের আদালতে ঐতিহাসিক বক্তব্য রাখেন একজন আইনজীবী। সেখানে তিনি এ কথা বলেন। সোমবার আদালতে সাক্ষ্য নেয়া শুরু হয়। সেখানে জুরিদের সামনে একজন আইনজীবী ট্রাম্পের এসব কর্মকাণ্ডকে নির্বাচনে প্রতারণা বলে উল্লেখ করেন। এই আইনজীবীর বক্তব্যকে কাউন্টার দিতে গিয়ে ট্রাম্পের আইনজীবী বলেন, তার মক্কেল (ট্রাম্প) কোনো অপরাধ করেননি। নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করা কোনো বেআইনি বিষয় নয়। তিনি নির্দোষ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

অভিযোগ আছে এক সময় পর্নো তারকা স্টর্মি ডানিয়েলের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ছিল ডনাল্ড ট্রাম্পের। তারপর তিনি ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন। সেই নির্বাচনে জয়ী হন। কিন্তু নির্বাচনের আগে স্টর্মি ডানিয়েলের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ করতে তাকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এ নিয়ে মামলা চলমান। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার আদালতে শুনানি হয়। ওদিকে ব্যবসায়িক রেকর্ডে মিথ্যা তথ্য দেয়ার কারণে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে ৩৪টি অভিযোগ আছে, তার দায় স্বীকার করেননি তিনি। একই সঙ্গে স্টর্মি ডানিয়েলের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্কের কথাও প্রত্যাখ্যান করেছেন। নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটানে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অবরাধের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুনানি হয় সোমবার। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কোনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এটাই এমন প্রথম মামলা। এ মামলায় প্রথম প্রত্যক্ষদর্শী ট্যাবলয়েড একটি পত্রিকার প্রকাশক ডেভিড পেকার অল্প সময়ের জন্য কাঠগড়ায় দাঁড়ান। মঙ্গলবারও অব্যাহতভাবে সাক্ষ্য দেয়ার কথা তার। সোমবারের শুনানির সময় প্রসিকিউটর ম্যাথিউ কোলাঞ্জেলো আদালতকে বলেন, ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী ও বিশ্বস্ত মাইকেল কোহেন কাজ করতেন ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের প্রধান অর্থ বিষয়ক কর্মকর্তা অ্যালেন ওয়েসেলবার্গের সঙ্গে। তারাই ট্রাম্পের নির্দেশনায় মুখ বন্ধ করার কাজ করেছেন। শুনানিতে প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেন, ডানিয়েলকে কীভাবে অর্থ প্রদান করেছিলেন মাইকেল কোহেন তা গোপন করার পরিকল্পনায় তিন ধরনের রেকর্ড আছে। তা হলো চালান, লেজার এন্ট্রি এবং চেক। কিন্তু ট্রাম্প বলেছেন, কোহেনের সঙ্গে রিটেইনার চুক্তি অনুযায়ী আইনি সেবা দেয়ার জন্য ওই অর্থ দেয়া হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে প্রসিকিউটর বলেন, এসব কথা মিথ্যা।

তিনি আরও বলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে ট্রাম্প ওই অর্থ দিয়েছেন, যাতে মিস ডানিয়েলের সঙ্গে সম্পর্কের খবর ভোটাররা জানতে না পারেন। প্রসিকিউটররা বলেন, এই ধামাচাপা দেয়ার ঘটনাকে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। যা একটি দ্বিতীয় অপরাধ। তারা আরও দাবি করেন কুখ্যাত ‘অ্যাক্সেস হলিউড’ টেপ তার নির্বাচনী প্রচারণায় পীড়ার সৃষ্টি করেছিল। ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে ওই টেপ প্রকাশ হয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায়, যে কারও সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে সক্ষমতা নিয়ে কথা বলছেন ট্রাম্প। কারণ তিনি বিখ্যাত। কোলাঞ্জেলো আদালতে বলেছেন, বিবাদী (ট্রাম্প) ও তার নির্বাচনী প্রচারণা স্টাফরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ছিলেন যে, এ ঘটনায় তাদের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। কিন্তু এর একদিন পরেই মিস ডানিয়েল সামনে এগিয়ে আসেন। অভিযোগ করেন ট্রাম্পের সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক ছিল। তার এই অভিযোগ ট্রাম্পের ওই টেপ কেলেঙ্কারিকে আরও জটিল করে তোলে। জনগণ বিষয়টি জানলে পরিস্থিতি খারাপ হবে এ জন্য ট্রাম্প আগেই ডানিয়েলের সঙ্গে একটি সমঝোতার নির্দেশ দিয়েছিলেন মাইকেল কোহেনকে- জুরিদের সামনে এ কথা বলেছেন কোলাঞ্জেলো। প্রসিকিউশন অভিযোগ করে আমেরিকান মিডিয়া ইনকরপোরেশনের সাবেক বস ও ন্যাশনাল এনকুইরারের মালিক পিকার ও মাইকেল কোহেন এ বিষয়টি গোপন রাখা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।