নির্বাচনে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

- প্রকাশের সময় : ০৬:৫২:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩
- / ৫৯ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক : বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়েই যুক্তরাষ্ট্র সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের প্রধান উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক বেদান্ত প্যাটেলকে প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আন্দোলন করছে। সেই দাবির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে কি না?
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমি নিশ্চিত যে গতকাল বা তার আগের দিন কিংবা তারও আগে এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি।
উত্তরে ওই সাংবাদিক বলেন, আপনি সঠিক। এ রকম একটি প্রশ্ন আগেও করা হয়েছিল। আপনি উত্তর দিয়েছিলেন যে অন্য সবার মতো যুক্তরাষ্ট্রও চায় বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক।
উত্তরে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, হ্যাঁ, এখনও আমরা তা-ই চাই। সাংবাদিকের পাল্টা প্রশ্ন, অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আপনারা সমর্থন করছেন কি না— হ্যাঁ অথবা না।
বেদান্ত প্যাটেলের জবাব, আমি যা বলেছি তা আপনারা আগেও শুনেছেন। আবারও বলছি, কোনো নির্দিষ্ট সরকার বা রাজনৈতিক দল কিংবা প্রার্থীকে আমরা সমর্থন করছি না। আর যদি নির্বাচনের কথা আসে, সে ক্ষেত্রে আমরা বলব— আমরা আশা করছি এমন একটি নির্বাচন, যেটি হবে অবাধ, সুষ্ঠু এবং যেখানে দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফল ঘটবে। এটাই আমাদের লক্ষ্য।
আরেকজন সাংবাদিক বেদান্ত প্যাটেলকে প্রশ্ন করেন, দেশে সন্ত্রাসবাদ ও ধর্মীয় উগ্রবাদের বিস্তার প্রতিরোধ করতে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার কয়েক বছর আগেই ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। সংবাদমাধ্যমে সরকার ও পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের এ-সংক্রান্ত বিভিন্ন ইতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশিতও হচ্ছে নিয়মিত। যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যাপারটিকে কীভাবে মূল্যায়ন করছে?
প্যাটেল বলেন, গত বছর আমরা যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বছর উদযাপন করেছি। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যার সঙ্গে আমরা বাণিজ্য, জলবায়ু, নিরাপত্তাসহ সম্ভাব্য ও কার্যকর সব খাতে সহযোগিতা ও অংশীদারি বাড়াতে চাই। সূত্র : যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের ওয়েবসাইট
হককথা/নাছরিন