হককথা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মহামারি আরো খারাপ রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (২১ জুলাই) হোয়াইট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এমনটি বলেন। তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, করোনাভাইরাস যেভাবে মহামারি আকারে ছড়িয়ে গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে এর পরিণতি আরো খারাপ হতে পারে। অথচ এর আগে করোনাভাইরাসকে সেভাবে পাত্তা দিচ্ছিলেন না তিনি। এমনকি কিছুদিন আগে পর্যন্ত মাস্ক ব্যবহার করতে রাজি হচ্ছিলেন না। এবার যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী সবাইকে মুখ ঢেকে রাখার অনুরোধ করেছেন তিনি। ট্রাম্প বলেছেন, মাস্ক ব্যবহারের প্রভাব রয়েছে। এজন্য সবাইকে দেশপ্রেম দেখানোর অনুরোধ করেছেন তিনি। যদিও সংবাদ সম্মেলনে সময় তিনি নিজে কোন মাস্ক পরেন নি। সূত্র: বিবিসি।
এর আগে মাস্ক ও জীবাণুনাশককে অস্বাস্থ্যকার হিসেবে আখ্যা দিয়ে সেসব ব্যবহার করতে রাজি হননি ট্রাম্প। অথচ, তার পরামর্শদাতারা বারবার তাকে চাপ দিচ্ছিলেন, করোনাভাইরাস ইস্যুতে জনগণের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং বিভিন্ন বিধিনিষেধের ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করতে।
মানুষের শরীরে জীবাণুনাশক ইনজেকশনের মাধ্যমে পুশ করে করোনা দূর করার ব্যাপারে মুখ খুলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। তবে মঙ্গলবার ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে করোনা পরিস্থিতি ভালো হওয়ার আগে খারাপ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। যে ধরনের বিষয় আমি বলতে পছন্দ করি না, কিন্তু এটা সে ধরনেরই কিছু।
উল্লেখ্য, সংবাদ সম্মলেনে করোনা ভাইরাসকে বেশ কয়েকবারই চীনা ভাইরাস বলে আখ্যায়িত করেছেন ট্রাম্প। করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবুও প্রাণঘাতী এ ভাইরাসকে সেভাবে পাত্তা দিচ্ছিলেন না ট্রাম্প। এমনকি কিছুদিন আগে পর্যন্ত মাস্ক ব্যবহার করতে রাজি হচ্ছিলেন না তিনি। বিশ্লেষকরা বলছেন, আসন্ন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জনগণের মন জয় করার জন্যই মাস্ক ইস্যুতে সুর পাল্টেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এদিকে নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের শক্তিধর প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন কঠিন প্রতিদ্ব›িদ্বতা গড়ে তুলছেন। জনমত জরিপে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন জো বাইডেন। তিনি বলেন, করোনা মহামারি মোকাবিলায় আমেরিকানদের প্রতি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন ট্রাম্প। সাম্প্রতিক কিছু জরিপে দেখা যাচ্ছে নতুন করে নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে জনসমর্থন কমে যাচ্ছে ট্রাম্পের। তাই হোয়াইট হাউজ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে এমনভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছে যাতে জনগণের কাছে তার সমর্থন, আস্থা বৃদ্ধি পায়।