চীন হামলা চালালে তাইওয়ানকে সুরক্ষা দেবে যুক্তরাষ্ট্র: বাইডেন

- প্রকাশের সময় : ০৭:৫৭:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০২২
- / ৫৫ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তাইওয়ানে যদি চীন হামলা চালায়, তাহলে তাদের রক্ষা করতে তিনি বল প্রয়োগ করবেন। বাইডেনের এ ঘোষণাকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিজেদের অবস্থান স্পষ্টকরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রথম এশিয়া সফরে এসে দক্ষিণ কোরিয়ার পর জাপান সফরকালে সোমবার বাইডেন এ মন্তব্য করেন। খবর আল জাজিরার।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সাথে এক সংবাদ সম্মেলনে তাইওয়ান প্রসঙ্গে এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, ‘তাইওয়ানকে রক্ষা করতে আমরা প্রতিশ্রুত।’
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘এক চীন নীতি’র সাথে একমত। তবে ‘তাইওয়ানকে বলপ্রয়োগ করে নেয়া যেতে পারে’- এ ধারণাটি ‘উপযুক্ত নয়’। ইউক্রেনের মতো আরেকটি আগ্রাসন হতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন বাইডেন।
তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাইডেনের এ মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা বলছে, ‘তাইওয়ানের প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি’ পুনর্ব্যক্ত করার জন্য বাইডেনের মন্তব্যকে স্বাগত জানাই। বাইডেনের বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানসহ অন্য দেশগুলোর সাথে সহযোগিতাকে আরও গভীর করবে।
সোমবার সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এশীয় প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মধ্যে জাপানে একটি অর্থনৈতিক পরিকল্পনা উন্মোচনের বিষয়ে ভাবছেন।
ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক (আইপিইএফ) উন্মোচন করার আগে বাইডেন জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সাথে সাক্ষাত করেন। সেইসঙ্গে তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সাথেও দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসেন। ওই আলোচনায় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো উঠে এসেছে।
করোনার কারণে দীর্ঘ বিরতির পর কিশিদার সঙ্গে বাইডেনের এটা প্রথম মুখোমুখি আনুষ্ঠানিক বৈঠক। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র জাপানের জনগণ ও জাপানের প্রতিরক্ষার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে এবং আমরা একসাথে আজকের এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবো।’
চীনের উত্থান এবং বিপদজনক পরমাণু শক্তিসম্পন্ন উত্তর কোরিয়াকে মোকাবেলায় এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বাইডেন এ দুই দেশ সফর করছেন।
দক্ষিণ কোরিয়া সফরকালে বাইডেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়েলের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করেন। এ সময়ে উভয়ে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সামরিক আাস্ফালন মোকাবেলায় সামরিক মহড়া জোরদারের বিষয়ে আলোচনা করেন।
ইয়ুনের সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বিশ্বে গণতন্ত্র ও স্বৈরাচারের মধ্যে প্রতিযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, এশিয়া প্যাসিপিক অঞ্চল মূল যুদ্ধক্ষেত্র।
দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়ার আগে বাইডেন হুন্দাই কোম্পানীর চেয়ারম্যানের সাথে বৈঠক করেন। যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য জর্জিয়ায় ৫ দশমকি ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে হুন্দাইয়ের সিদ্ধান্তকে উদযাপনই এ বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল। এছাড়া বাইডেন ইয়ুনসহ যুক্তরাষ্ট্রের ও দক্ষিণ কোরীয় সেনাদের সাথে সাক্ষাত করেন।
এর পরই তিনি জাপানে রওয়ানা করেন। মঙ্গলবার কোয়াড শীর্ষ সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। ওই সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃবৃন্দরা মিলিত হবেন।
হককথা/এমউএ