নিউইয়র্ক ০২:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

গাজায় ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে ওয়াশিংটনে যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে সমাবেশ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:২৫:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১৩৫ বার পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রে হাজারো ইসরায়েলপন্থীর সমাবেশ। ওয়াশিংটন, ১৪ নভেম্বরছবি: রয়টার্স

হককথা ডেস্কফিলিস্তিনের গাজায় এক মাসের বেশি সময় ধরে নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই সঙ্গে প্রতিদিনই বাড়ছে প্রাণহানি। দ্রুত যুদ্ধবিরতি কার্যকরে ইসরায়েলের ওপর বৈশ্বিক চাপও বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে সমাবেশ করেছেন হাজারো ইসরায়েলপন্থী। গাজায় যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে অবস্থান তাঁদের।

স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় গাজায় যুদ্ধবিরতির সমালোচনা করার পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে ইহুদি বিদ্বেষ বেড়ে যাওয়ার প্রতিবাদ করেন তাঁরা। নীল ও সাদার মিশেলে ইসরায়েলি পতাকা ও যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল মলের সামনে প্রতিবাদে শামিল হন অনেকেই।

সমাবেশে জেরুজালেম থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজাক হেরজগ। তিনি বলেন, শুধু ইহুদি হওয়ার কারণে ইসরায়েলের ইহুদিরা হামলার শিকার হচ্ছেন। এটা সব সভ্য দেশ ও মানুষকে বিব্রত করেছে।

এ ছাড়া সমাবেশে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের ভিন্নমতাবলম্বী নাতান শারনস্কি ও যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা চাক শুমারের নেতৃত্বে জ্যেষ্ঠ কংগ্রেস সদস্যদের একটি দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। গত ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের শিকার হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের প্রভাবশালী অনেকে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছেন ও সমর্থন জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে সদ্য নিয়োগ পাওয়া স্পিকার মাইক জনসন বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলেছেন, ইসরায়েলের প্রতি যুদ্ধবিরতির আহ্বান আপত্তিজনক। এরপর বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা সমস্বরে স্লোগান দেন, যুদ্ধবিরতি নয়।

পল স্টুয়ার্টের বয়স হয়েছে ৬৭ বছর। সাবেক প্রকৌশলী ও অবসরপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি তিনি। থাকেন ভারমন্টে। সেখান থেকে ইসরায়েলের পক্ষে সমাবেশ করতে ওয়াশিংটনে এসেছেন পল। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলিরা গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের চলে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছে। তাই আমার মতে, যুদ্ধবিরতির কোনো প্রয়োজন নেই। কিন্তু তাদের (গাজাবাসী) ওপর হামাসের প্রভাব রয়েছে। তাই হামাস তাদের সেখানে রয়ে যেতে বলছে।’ সূত্র : প্রথম আলো

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

গাজায় ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে ওয়াশিংটনে যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে সমাবেশ

প্রকাশের সময় : ০৩:২৫:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

হককথা ডেস্কফিলিস্তিনের গাজায় এক মাসের বেশি সময় ধরে নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই সঙ্গে প্রতিদিনই বাড়ছে প্রাণহানি। দ্রুত যুদ্ধবিরতি কার্যকরে ইসরায়েলের ওপর বৈশ্বিক চাপও বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে সমাবেশ করেছেন হাজারো ইসরায়েলপন্থী। গাজায় যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে অবস্থান তাঁদের।

স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় গাজায় যুদ্ধবিরতির সমালোচনা করার পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে ইহুদি বিদ্বেষ বেড়ে যাওয়ার প্রতিবাদ করেন তাঁরা। নীল ও সাদার মিশেলে ইসরায়েলি পতাকা ও যুদ্ধবিরতির বিপক্ষে লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল মলের সামনে প্রতিবাদে শামিল হন অনেকেই।

সমাবেশে জেরুজালেম থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজাক হেরজগ। তিনি বলেন, শুধু ইহুদি হওয়ার কারণে ইসরায়েলের ইহুদিরা হামলার শিকার হচ্ছেন। এটা সব সভ্য দেশ ও মানুষকে বিব্রত করেছে।

এ ছাড়া সমাবেশে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের ভিন্নমতাবলম্বী নাতান শারনস্কি ও যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা চাক শুমারের নেতৃত্বে জ্যেষ্ঠ কংগ্রেস সদস্যদের একটি দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। গত ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের শিকার হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের প্রভাবশালী অনেকে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছেন ও সমর্থন জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে সদ্য নিয়োগ পাওয়া স্পিকার মাইক জনসন বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলেছেন, ইসরায়েলের প্রতি যুদ্ধবিরতির আহ্বান আপত্তিজনক। এরপর বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা সমস্বরে স্লোগান দেন, যুদ্ধবিরতি নয়।

পল স্টুয়ার্টের বয়স হয়েছে ৬৭ বছর। সাবেক প্রকৌশলী ও অবসরপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি তিনি। থাকেন ভারমন্টে। সেখান থেকে ইসরায়েলের পক্ষে সমাবেশ করতে ওয়াশিংটনে এসেছেন পল। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলিরা গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের চলে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছে। তাই আমার মতে, যুদ্ধবিরতির কোনো প্রয়োজন নেই। কিন্তু তাদের (গাজাবাসী) ওপর হামাসের প্রভাব রয়েছে। তাই হামাস তাদের সেখানে রয়ে যেতে বলছে।’ সূত্র : প্রথম আলো

হককথা/নাছরিন