গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় জনগনই হচ্ছে ক্ষমতার নিয়ামক। নির্বাচন হচ্ছে ক্ষমতার হাত বদলের মাধ্যম। আর ভোট হলো নাগরিক অধিকার যার সঠিক প্রয়োগ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। একজন সচেতন নাগরিক গোপন ব্যালটের মাধ্যমে তার পছন্দনীয় দলের প্রার্থীকে সমর্থন করে সরকারের প্রতিনিধি নিয়োগ করে থাকে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য পশ্চিমা বিশ্বের গণতন্ত্রের পাদপীঠ আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ৬ লক্ষাধিক মানুষের কোন ভোটাধিকার নেই। ওয়াশিংটন ডিসি কোন রাজ্য না হওয়ায় এই বিধান চলছে।
এ যেন প্রদীপের নীচে অন্ধকার। সিনেট ও হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস। প্রতি ষ্টেট থেকে ২ জন করে ৫০টি ষ্টেটের রয়েছে ১০০ জন সিনেটর যারা ৬ বছর মেয়াদ কালের জন্য নির্বাচিত হয়ে থাকেন। প্রতি দু’বছর অন্তর একতৃতীয়াংশ সিনেট সদস্য নির্বাচিত হন। ভাইস প্রেসিডেন্ট সিনেটে সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া একজন মেজোরিটি এবং মাইনরিটি লীডারও থাকে।
জনসংখ্যা অনুপাতে প্রতি ষ্টেট থেকে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এর জন্য প্রতিনিধি তথা কংগ্রেসম্যান নির্বাচিত করা হয়। তবে একটি ষ্টেট থেকে কমপক্ষে একজন কংগ্রেসম্যান থাকতেই হবে। হাউস অব রিজেন্টেটিভ এর মোট সদস্য সংখ্যা -৪৩৫। তারা দু’বছরের জন্য নির্বাচিত হন।
তবে পুন: নির্বাচনে যতবার খুশী অংশগ্রহণ করতে পারেন। কংগ্রেসের এই কক্ষে সভাপতিত্ব করেন স্পীকার এবং একজন করে মেজরিটি এবং মাইনরিটি লীডার থাকেন। উচ্চ কক্ষ সিনেট এবং নিম্ন কক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস সমন্বয়ে গঠিত কংগ্রেস আইন বিভাগের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।
যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচন আগামী ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার অথচ ওয়াশিংটনে বসবাসকারী এসব আমেরিকান নাগরিকগণ কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষ সিনেট এবং নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ নির্বাচনে কোন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না। ১৯৬১ সালের পূর্বে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও তাদের ভোটাধিকার ছিলো না। সংবিধানের ২৩তম সংশোধনীর মাধ্যমে তাদেরকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা দেয়া হয়। হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভে অনির্বাচিত একজন প্রতিনিধি রয়েছে যার কোন ক্ষমতা নেই ভোট প্রদানের । আমেরিকান বিল্পবের সেনাপতি ও প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের নামে ১৭৯০ এর ১৬ জুন-ওয়াশিংটন সিটির গোড়াপত্তন। ওয়াশিংটন ডিসি মিউনিসিপ্যাল সরকার শাষিত। আমেরিকার প্রশাসন, আইন ও বিচার বিভাগীয় সদর দফতরগুলো ওয়াশিংটনে অবস্থিত। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, আই এম এফ, অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান ষ্টেটও ওয়াশিংটনে। ইউএস কংগ্রেসে না হলেও তারা ভোট প্রয়োগ করে সিটি মেয়র এবং কাউন্সিলম্যান নির্বাচিত করতে পারেন। মূলত সিটি প্রশাসনই সেখানকার সব কিছুর নিয়ন্ত্রক। উইমিং অঙ্গ রাজ্যের চেয়ে অধিক জনবহুল এই রাজধানীর ভোটাধিকার বঞ্চিত মানুষ এরপরও প্রদান করে আসছেন ফেডারেল সহ সব ধরনের ট্যাক্স । এছাড়া ভোটাধিকার নেই গুয়াম, পোর্টরিকো এবং ভার্জিন আইল্যান্ডের আমেরিকানদের। আমেরিকার গণতান্ত্রিক ইতিহাস দীর্ঘদিনের। ঐতিহ্যবাহী এই সংস্কৃতি বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত । যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভোটাধিকার প্রয়োগে কোন বাধ্য বাধকতা নেই। অবশ্য অষ্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল ও বেলজিয়ামে ভোট প্রদানে বিরত থাকলে ঐ সকল দেশের নাগরিকদের জন্য জেল জরিমানার আইন রয়েছে।
আমেরিকান নাগরিক ,কমপক্ষে ১৮ বছর বয়স মানষিকভাবে সুস্থ্য ভোটার হওয়ার যোগ্য আমেরিকান নাগরিকদের ভোটাধিকার প্রাপ্তির ইতিহাস দীর্ঘদিনের।১৭৯০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান প্রনয়ণের সময় শুধুমাত্র সম্পদের মালিক এমন শেতাঙ্গ প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষদেরকে ভোটাধিকার প্রদান করা হয়। ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকল শেতাঙ্গ পুরুষ ভোটের অধিকার প্রাপ্ত হন ১৮৫০ সালে। আফ্রিকান আমেরিকান প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষদের ভোটাধিকার দেয়া হয় ১৮৭০ সালে সংবিধানের ১৫তম সংশোধনীয় মাধ্যমে। মহিলারা ভোটাধিকারের স্বীকৃতি পায় ১৯২০ সালে সংবিধানের ১৯তম সংশোধনীর মাধ্যমে । ন্যাটিভ আমেরিকানরা ফেডারেল ইলেকশন সহ নাগরিকত্ব লাভ করে ১৯২৪ সালে। সংবিধানের ২১তম সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৬১ সালে ওয়াশিংটন ডিসির ভোটারগণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহনের সুযোগ লাভ করেন। ১৯৬৫ সালে কংগ্রেসে পাশকৃত ভোটিং রাইটস এ্যাক্ট পাশের ফলে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল আমেরিকানের জন্য ভোটাধিকার উন্মুক্ত ও সংরক্ষিত হয়। ভোটার রেজিট্রেশন এবং নির্বাচন পরিচালনার জন্য ফেডারেল ইলেকশন কমিশন ছাড়াও প্রতিটি ষ্টেটে রয়েছে ষ্টেট ইলেকশন কমিশন। ফেডারেল ইলেকশন কমিশনের প্রতি সম্মান বজায় রেখে নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় কর্মাদি এই কমিশন সম্পন্ন করে থাকে।
আমেরিকান নির্বাচন পদ্ধতি : প্রাইমারী নির্বাচন, সাধারণ নির্বাচন, মধ্যবর্তী নির্বাচন-
প্রাইমারী নির্বাচন : প্রাইমারী ইলেকশন বা প্রাথমিক নির্বাচনে ভোটারগণ তাদের নিজ নিজ এলাকায় একই দলের প্রতিদ্বন্দ্বি বিভিন্ন প্রার্থীর মধ্য থেকে একজন প্রার্থীকে নির্বাচিত করেন সাধারণ নির্বাচনে অপরদলীয় প্রার্থীদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইটালী ছাড়া বিশ্বের খুব নগন্য সংখ্যক দেশে প্রাইমারী নির্বাচন পদ্ধতি রয়েছে। আমেরিকায় প্রাইমারী নির্বাচনের ইতিহাস শতাব্দীকালের। ইউ এস কংগ্রেস এবং ষ্টেট গুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনে এই পদ্ধতি গোড়া থেকে কার্যকর থাকলেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রাইমারীর প্রচলন ১৯৭০ এর দশকে এর আগে প্রতিটি ষ্টেটে দলীয় সম্মেলনে সংখ্যা গরিষ্ঠের সমর্থনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনীত হতো। এছাড়া প্রতিটি ষ্টেটে প্রাইমারী নির্বাচন মে থেকে সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হলেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রাইমারী অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচনের বছরের গোড়ার দিকে মার্চ মাসে। প্রাইমারী নির্বাচনের ফলে নূতন চিন্তাধারা ও নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি হয়ে থাকে। নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোটারের স্বাক্ষরসহ এবং প্রয়োজনীয় ফি প্রদান সাপেক্ষে রেজিষ্ট্রার্ড ভোটার যে কেউ প্রাইমারী নির্বাচনে ব্যালটে তার নাম তালিকাভূক্ত করতে পারেন। প্রাইমারী নির্বাচন প্রার্থীদেরকে সাধারণ নির্বাচন সম্পর্কে অধিকতর সচেতন করে তুলে।
প্রাইমারী নির্বাচনে ইউএস সিনেট, হাউস অব রিপ্রেসেন্টেটিভস ছাড়াও বিভিন্ন ষ্টেটে গভর্ণর, লেঃ গর্ভণর, কম্পোট্রোলার, এটর্নী জেনারেল, ষ্টেট সিনেট, এ্যাসেম্বলীম্যান সহ বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানীয় সরকারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্দলীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে প্রাইমারী নির্বাচনকে রান-অফ প্রাইমারী বলা হয়। প্রাইমারী নির্বাচনও আবার দু’ধরণের যেমন ওপেন প্রাইমারী-এ ধরণের প্রাইমারী নির্বাচনে রেজিষ্ট্রার্ড নয় এমন ভোটারগণ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দনীয় দলের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। ক্লোজড প্রাইমারীতে ভোট দিতে পারেন শুধু নির্দিষ্ট দলের রেজিষ্টার্ড ভোটাররাই ।
সাধারণ নির্বাচন : আমেরিকায় সাধারণ নির্বাচন হচ্ছে মূল নির্বাচন যেখানে প্রতিটি দলীয় প্রার্থীর মাঝে অনুষ্ঠিত হয় চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা । প্রতিবার নভেম্বর মাসের প্রথম সোমবারের পর প্রথম মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এই নির্বাচন । ইউএস কংগ্রেস ১৮৪৫ সালে সাধারণ নির্বাচনের এই দিন ক্ষণ ধার্য করে। এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচন ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার-। ২০২০ সালে ৩ নভেম্বর সাধারণ নির্বাচনের দিন অনুষ্ঠিত হয় প্রেসিডেন্ট ফেডারেল, ষ্টেট, স্থানীয়সহ বিভিন্ন পর্যায়ৈর নির্বাচন ।
মধ্যবর্তী নির্বাচন : যে বছর কংগ্রেস এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচন একই দিনে অনুষ্ঠিত হয়না সে বছরের নির্বাচনকে মিডটার্ম বা মধ্যবর্তী নির্বাচন বলা হয়। মধ্যবর্তী নির্বাচন ইউ এস কংগ্রেসের সদস্য তথা হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস ও সিনেটের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। জোড় বছর গুলোর সাধারণ নির্বাচনের দিন ৪৩৫টি আসনে রিপ্রেসেন্টেটিভ এবং সিনেটের ১০০ আসনের মধ্যে ৩৩/৩৪ আসনে সিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এছাড়া প্রেসিডেন্টের ৪ বছরের মেয়াদ কালের মাঝামাঝি সময় অনুষ্ঠিত হওয়ায় একে মধ্যবর্তী নির্বাচন বলা হয়ে থাকে। এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচন ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন : প্রতি ৪বছর অন্তর ইলেকশন ডে-তে অনুষ্ঠিত হয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন । প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জনগণ সরাসরি প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে ভোট দেন না। জনগণ প্রথমে ইলেকটরদেরকে ভোট দেন। পরে ইলেকটর গণের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই প্রক্রিয়াকে ইলেকটোরাল কলেজ বলা হয়। ইলেকটোরাল কলেজ একটি জটিল পদ্ধতি। যা সাধারণ ভোটারদের জন্য অনেকটা দুবোর্ধ্য। গোটা আমেরিকায় মোট ইলেকটরেটের সংখ্যা -৫৩৫ জন। তন্মধ্যে ৫০টি অঙ্গরাজ্যে থেকে কংগ্রেস সদস্য ৫৩৫ জন এবং ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ৩ জন/ প্রতিটি ষ্টেট থেকে সম সংখ্যক রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং সিনেটর নিয়ে ঐ ষ্টেটের জন্য ইলেকটোরাল কলেজ গঠন করা হয়। নির্বাচনের পূর্বে অনুষ্ঠিত কনভেনশনে প্রতিটি দল তাদের ইলেকটোরেট বাছাই করে ষ্টেট নির্বাচন কমিশনারে নিকট জমা দেন। কোন কংগ্রেস সদস্য বা সরকারী কর্মচারী, ইলেকটোরেট হওয়ার যোগ্য নন। কোনদল কোন ষ্টেটে পপুলার ভোটে বিজয়ী হলে ধরে নিতে হবে ঐ দলীয় প্রার্থী ঐ ষ্টেটে বিজয়ী হয়েছেন এবং সেক্ষেত্রে ঐ ষ্টেটের সবগুলো ইলেকটোরাল তাদের পক্ষে গিয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পরের মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রতিটি ষ্টেটের রাজধানীতে ইলেকটরগণ মিলিত হয়ে প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টকে ভোট প্রদান করেন। পরে প্রদানকৃত ভোট সীল গালা করে ক্যাপিটল হিলে পাঠানো হয়। পরবর্তী বছরের ৬ জানুয়ারী কংগ্রেসের উভয় কক্ষের সদস্যদের উপস্থিতিতে ভোট গনণা শেষে বিজয়ী প্রেসিডেন্টের নাম ঘোষণা করা হয়। যিনি ইলেকটরাল কলেজের ২৭০টি ভোট পান তিনিই বিজয়ী হোন। অবশ্য এসব আনুষ্ঠানিকতায় অনেক পূর্বে নির্বাচনে পরপরই বিজয়ী প্রেসিডেন্টের নাম জানা যায়।
আমেরিকার রাজনৈতিক পদ্ধতি : আমেরিকা রাষ্ট্রপতি শাসিত ফেডারেল পদ্ধতির গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সরকার এবং রাষ্ট্র দু’টোরই প্রধান নির্বাহী প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্র সংবিধান প্রশাসন, আইন এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা পৃথকভাবে সংরক্ষিত করেছে চেক এন্ড ব্যালেন্স প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। আর বিচার বিভাগের ক্ষমতা ন্যাস্ত করা হয়েছে ইউএস সুপ্রীম কোর্ট ও নিম্ন ফেডারেল কোর্টে। কেন্দ্রিয় সরকারের আইন কানুন ও সংবিধানের ধারা ব্যাখ্যা করা ছাড়াও প্রশাসন ও আইন বিভাগের মাঝে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে বিচার বিভাগ । আমেরিকার রাজনীতি মূলত ডেমোক্র্যাটিক এবং রিপাবলিকান এই দু’টি পার্টিই নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। এছাড়া অনেক গুলো ক্ষুদ্র দল রয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে যাদের ভূমিকা খুবই গৌন। প্রেসিডেন্টের সহকর্মী একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছাড়াও রয়েছে ১৫ সদস্যের মন্ত্রী পরিষদ। সূত্র : সাপ্তাহিক বাংলাদেশ