ওয়াশিংটন ডিসি : ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসে ৫১তম সশস্ত্রবাহিনী দিবস পালিত হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে সংবর্ধনাও দেওয়া হয়।
দূতাবাসের মিনিস্টার (প্রেস) এজেডএম সাজ্জাদ হোসেন পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এরপর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কার্যক্রমের ওপর একটি সংক্ষিপ্ত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম। এসময় তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যা-কবলিত অঞ্চলে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসা অর্জন করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে তারা বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখছে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অভিযানে বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহত্তম সৈন্য প্রেরণকারী দেশ উল্লেখ করে মার্কিন সেনাবাহিনীর আন্ডার সেক্রেটারি গেভ ক্যামারিলো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা এবং বিশ্বজুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আত্মত্যাগের স্বীকৃতি দেয়।
এসময় যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিচেল টি প্লিহেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরো, মিস আফরিন আক্তারও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আদান-প্রদান, প্রশিক্ষণ, সরঞ্জমাদি সংগ্রহ ও সফর বিনিময় ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বহুমুখী সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।
বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকবৃন্দ, ডিফেন্স অ্যাটাচে এবং পেন্টাগন, স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও অন্যান্য মার্কিন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ দূতাবাসের ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ সাহেদুল ইসলাম সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথিদের স্বাগত জানান এবং দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিকভাবে লাভজনক সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মিনিস্টার (রাজনৈতিক-১) দেওয়ান আলী আশরাফ। কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।