নিউইয়র্ক ০২:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ইরানের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞদের অসন্তোষ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:১৬:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১৩৪ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক :  ইরানের সঙ্গে বন্দী বিনিময় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি একটি চুক্তি করেছে। চুক্তি অনুযায়ী, ইরানে বন্দী পাঁচ যুক্তরাষ্ট্রদের মুক্তির বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দী পাঁচ ইরানিকে মুক্তি দেয়া হবে। তবে ইরানের সঙ্গে এই চুক্তিকে ভালোভাবে দেখছেন না যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সামরিক বিশেষজ্ঞ। কারণ, বন্দী বিনিময়ের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রদের মুক্তির জন্য ইরান আরও ৬ বিলিয়ন ডলারের ওপর তাদের এক্সেস দাবি করেছে।

ফক্স নিউজ জানিয়েছে, এই অর্থ ইরানের নিজেরই। তবেযুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে এই অর্থ ব্যবহার করতে পারছিল না দেশটি। ইরান ওই অর্থ ফেরত পাওয়ার দাবি তুলেছে বন্দী বিনিময়ের শর্তে। আর বাইডেন প্রশাসন তাতেই রাজি হয়ে গেছে। বিষয়টির সমালোচনা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরা। অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল কেইথ কেলোগ এ নিয়ে বলেন, এই চুক্তির দিকে তাকালে এটিকে ভালো দেখাচ্ছে না। তাছাড়া যখন এই চুক্তিটি হলো, সেই সময়টাও ছিল ভুল। ৯/১১ ঘটনার ২২তম বার্ষিকীতে এই চুক্তিটি হয় ইরানের সঙ্গে।

মানুষের বুঝা উচিৎ যে, ইরান মোটেও পশ্চিমাদের বন্ধু নয়।
সাবেক যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রাইন একই কথা বলেন। তার দাবি, ৯/১১ ঘটনার দিন ইরানকে ৬ বিলিয়ন ডলারের এক্সেস দেয়ার কোনো অর্থ হয় না। এটি আমাদের মিত্রদের কাছে ভুল বার্তা দেবে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বলতা প্রকাশ করে এবং এরফলে ইরান আরও যুক্তরাষ্ট্রদের  আটকে উৎসাহী হবে।

ইরানের সঙ্গে হওয়া সমঝোতা অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ায় আটক থাকা ৬ বিলিয়ন ডলার কাতার পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্র। ইরান সেখান থেকে ওই অর্থে এক্সেস নেবে। এরফলে যুক্তরাষ্ট্রকে তার নিষেধাজ্ঞার নিয়ম ভাঙতে হবে না। আবার এই অর্থ যেহেতু ইরানেরই, তাই যুক্তরাষ্ট্র করদাতাদের কোনো অর্থও পাঠানো হচ্ছে না।

জেনারেল কেলোগ বলেন, এই অর্থ যাবে হিজবুল্লাহর মতো সংস্থাগুলোর কাছে। বাইডেন বলেছেন, এই অর্থ মানবিক কাজের পেছনে ব্যয় করা হবে। কিন্তু না, সুস্থ মস্তিষ্কের যে কেউ জানে কোথায় এই অর্থ যাচ্ছে। আমি আনন্দিত যে যুক্তরাষ্ট্ররা ঘরে ফিরে আসছে। বাইডেন প্রশাসন তাদের মুক্তির জন্য খারাপ একটি চুক্তি করেছে এটা তাদের দোষ নয়।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইরানের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞদের অসন্তোষ

প্রকাশের সময় : ১০:১৬:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

হককথা ডেস্ক :  ইরানের সঙ্গে বন্দী বিনিময় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি একটি চুক্তি করেছে। চুক্তি অনুযায়ী, ইরানে বন্দী পাঁচ যুক্তরাষ্ট্রদের মুক্তির বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দী পাঁচ ইরানিকে মুক্তি দেয়া হবে। তবে ইরানের সঙ্গে এই চুক্তিকে ভালোভাবে দেখছেন না যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সামরিক বিশেষজ্ঞ। কারণ, বন্দী বিনিময়ের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রদের মুক্তির জন্য ইরান আরও ৬ বিলিয়ন ডলারের ওপর তাদের এক্সেস দাবি করেছে।

ফক্স নিউজ জানিয়েছে, এই অর্থ ইরানের নিজেরই। তবেযুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে এই অর্থ ব্যবহার করতে পারছিল না দেশটি। ইরান ওই অর্থ ফেরত পাওয়ার দাবি তুলেছে বন্দী বিনিময়ের শর্তে। আর বাইডেন প্রশাসন তাতেই রাজি হয়ে গেছে। বিষয়টির সমালোচনা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরা। অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল কেইথ কেলোগ এ নিয়ে বলেন, এই চুক্তির দিকে তাকালে এটিকে ভালো দেখাচ্ছে না। তাছাড়া যখন এই চুক্তিটি হলো, সেই সময়টাও ছিল ভুল। ৯/১১ ঘটনার ২২তম বার্ষিকীতে এই চুক্তিটি হয় ইরানের সঙ্গে।

মানুষের বুঝা উচিৎ যে, ইরান মোটেও পশ্চিমাদের বন্ধু নয়।
সাবেক যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রাইন একই কথা বলেন। তার দাবি, ৯/১১ ঘটনার দিন ইরানকে ৬ বিলিয়ন ডলারের এক্সেস দেয়ার কোনো অর্থ হয় না। এটি আমাদের মিত্রদের কাছে ভুল বার্তা দেবে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বলতা প্রকাশ করে এবং এরফলে ইরান আরও যুক্তরাষ্ট্রদের  আটকে উৎসাহী হবে।

ইরানের সঙ্গে হওয়া সমঝোতা অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ায় আটক থাকা ৬ বিলিয়ন ডলার কাতার পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্র। ইরান সেখান থেকে ওই অর্থে এক্সেস নেবে। এরফলে যুক্তরাষ্ট্রকে তার নিষেধাজ্ঞার নিয়ম ভাঙতে হবে না। আবার এই অর্থ যেহেতু ইরানেরই, তাই যুক্তরাষ্ট্র করদাতাদের কোনো অর্থও পাঠানো হচ্ছে না।

জেনারেল কেলোগ বলেন, এই অর্থ যাবে হিজবুল্লাহর মতো সংস্থাগুলোর কাছে। বাইডেন বলেছেন, এই অর্থ মানবিক কাজের পেছনে ব্যয় করা হবে। কিন্তু না, সুস্থ মস্তিষ্কের যে কেউ জানে কোথায় এই অর্থ যাচ্ছে। আমি আনন্দিত যে যুক্তরাষ্ট্ররা ঘরে ফিরে আসছে। বাইডেন প্রশাসন তাদের মুক্তির জন্য খারাপ একটি চুক্তি করেছে এটা তাদের দোষ নয়।