নিউইয়র্ক ০১:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ইরানের ওপর নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:০৫:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৪৩ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : ইরানের ওপর নতুন করে মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় ইরানের আট ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নতুন করে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের দাবি— এই আট ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠান ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ করেছে। খবর রয়টার্সের।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় একই সঙ্গে সিরিয়ার কয়েকজন কর্মকর্তা ও উগান্ডার একজন কর্মকর্তাকেও নিজের নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে।

তবে ইরান বলছে, সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা শুরু থেকেই স্বাধীনচেতা ও পুঁজিবাদবিরোধী দেশগুলোকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে ‘মানবাধিকারকে’ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় এর আগেও বিভিন্ন অজুহাতে ইরানের বহু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

আমেরিকা এমন সময় ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল, যখন জো বাইডেন প্রশাসন দাবি করছে— তারা ভিয়েনা সংলাপের মাধ্যমে ইরানের পরমাণু সমঝোতায় ফিরতে চায়।

বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা গত কয়েক মাসে বহুবার বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি ব্যর্থ হয়েছে। কাজেই তারা ইরানের পরমাণু সমঝোতায় ফিরে তেহরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে চান।

ইরান বলছে, যেহেতু আমেরিকা পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেছে, তাই তাকে আগে এ সমঝোতায় ফিরে এসে ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।

ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে এ কাজ করা হলে তেহরানও ওই সমঝোতায় দেওয়া নিজের প্রতিশ্রুতি পুরোপুরি রক্ষা করবে।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইরানের ওপর নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশের সময় : ০১:০৫:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১

হককথা ডেস্ক : ইরানের ওপর নতুন করে মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় ইরানের আট ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নতুন করে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের দাবি— এই আট ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠান ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ করেছে। খবর রয়টার্সের।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় একই সঙ্গে সিরিয়ার কয়েকজন কর্মকর্তা ও উগান্ডার একজন কর্মকর্তাকেও নিজের নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে।

তবে ইরান বলছে, সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা শুরু থেকেই স্বাধীনচেতা ও পুঁজিবাদবিরোধী দেশগুলোকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে ‘মানবাধিকারকে’ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় এর আগেও বিভিন্ন অজুহাতে ইরানের বহু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

আমেরিকা এমন সময় ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল, যখন জো বাইডেন প্রশাসন দাবি করছে— তারা ভিয়েনা সংলাপের মাধ্যমে ইরানের পরমাণু সমঝোতায় ফিরতে চায়।

বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা গত কয়েক মাসে বহুবার বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি ব্যর্থ হয়েছে। কাজেই তারা ইরানের পরমাণু সমঝোতায় ফিরে তেহরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে চান।

ইরান বলছে, যেহেতু আমেরিকা পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেছে, তাই তাকে আগে এ সমঝোতায় ফিরে এসে ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।

ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে এ কাজ করা হলে তেহরানও ওই সমঝোতায় দেওয়া নিজের প্রতিশ্রুতি পুরোপুরি রক্ষা করবে।