নিউইয়র্ক ১২:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ইঁদুর কি নিউইয়র্ক শহরে করোনা ছড়িয়েছে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩
  • / ১০৬ বার পঠিত

ইঁদুরেরাও করোনা ভাইরাসের বাহক হতে পারে বলে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে। ছবি: এএফপি

হককথা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ইঁদুর করোনাভাইরাসের বাহক হতে পারে বলে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণাপত্রটি সম্প্রতি ‘এমবায়ো’ নামে একটি উন্মুক্ত জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এমবায়ো জার্নালের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলেছে, নিউইয়র্ক শহরে অন্তত ৮০ লাখ ইঁদুর রয়েছে। এই ইঁদুরগুলো করোনাভাইরাসের তিনটি ভেরিয়েন্টের জন্য সংবেদনশীল। তবে ভেরিয়েন্টগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়নি ওই প্রতিবেদনে।

আরোও পড়ুন । যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদিবিদ্বেষী ঘটনা ঠেকাতে তৎপর হোয়াইট হাউস

গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ইঁদুরগুলো মানুষের সংস্পর্শে আসার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। এতে মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর আগে ১৩৪৭ থেকে ১৩৫১ সালের মধ্যে ইউরোপে এমন ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময়ে ইঁদুরের মাধ্যমে ব্ল্যাক ডেথ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলেছে, পশু থেকে মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা বিরল।

গবেষণাটির প্রধান তত্ত্বাবধানকারী এবং মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফ্লুয়েঞ্জা ও উদীয়মান সংক্রামক রোগ কেন্দ্রের পরিচালক ডা. হেনরি ওয়ান বলেছেন, ‘এই ফলাফলগুলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসার জন্য যথেষ্ট নয়। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য আরও পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।’ এর আগে হংকং ও বেলজিয়ামের ইঁদুরের ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে, ইঁদুরগুলো করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছিল।

আরোও পড়ুন । যুক্তরাষ্ট্র সন্তুষ্ট, র‌্যা‌বের উপর নিষেধাজ্ঞা শি‌থিল হতে পারে

গবেষকেরা বলেছেন, তাঁরা ৭৯টি ইঁদুরের ওপর গবেষণা করে এ সিদ্ধান্তে এসেছেন। বেশির ভাগ ইঁদুর নিউইয়র্ক শহরের ব্রুকলিন পার্কের আশপাশ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। করোনা পরীক্ষায় ৭৯টি ইঁদুরের মধ্যে ১৩টির শরীরে করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। গবেষকেরা আরও বলেছেন, ‘সামগ্রিকভাবে বলা যায়, মহামারির সময়ে প্রাণীরা ভাইরাস ছড়ানোর ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে পারে। এ জন্য আমাদের জানাশোনার পরিধি আরও বাড়াতে হবে এবং সতর্ক থাকতে হবে, যাতে প্রাণী ও মানুষ—উভয়েই সুস্থ থাকতে পারি।’

সাথী / হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইঁদুর কি নিউইয়র্ক শহরে করোনা ছড়িয়েছে

প্রকাশের সময় : ০১:০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩

হককথা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ইঁদুর করোনাভাইরাসের বাহক হতে পারে বলে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণাপত্রটি সম্প্রতি ‘এমবায়ো’ নামে একটি উন্মুক্ত জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এমবায়ো জার্নালের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলেছে, নিউইয়র্ক শহরে অন্তত ৮০ লাখ ইঁদুর রয়েছে। এই ইঁদুরগুলো করোনাভাইরাসের তিনটি ভেরিয়েন্টের জন্য সংবেদনশীল। তবে ভেরিয়েন্টগুলোর নাম উল্লেখ করা হয়নি ওই প্রতিবেদনে।

আরোও পড়ুন । যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদিবিদ্বেষী ঘটনা ঠেকাতে তৎপর হোয়াইট হাউস

গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ইঁদুরগুলো মানুষের সংস্পর্শে আসার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। এতে মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর আগে ১৩৪৭ থেকে ১৩৫১ সালের মধ্যে ইউরোপে এমন ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময়ে ইঁদুরের মাধ্যমে ব্ল্যাক ডেথ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলেছে, পশু থেকে মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা বিরল।

গবেষণাটির প্রধান তত্ত্বাবধানকারী এবং মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফ্লুয়েঞ্জা ও উদীয়মান সংক্রামক রোগ কেন্দ্রের পরিচালক ডা. হেনরি ওয়ান বলেছেন, ‘এই ফলাফলগুলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসার জন্য যথেষ্ট নয়। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য আরও পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।’ এর আগে হংকং ও বেলজিয়ামের ইঁদুরের ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে, ইঁদুরগুলো করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছিল।

আরোও পড়ুন । যুক্তরাষ্ট্র সন্তুষ্ট, র‌্যা‌বের উপর নিষেধাজ্ঞা শি‌থিল হতে পারে

গবেষকেরা বলেছেন, তাঁরা ৭৯টি ইঁদুরের ওপর গবেষণা করে এ সিদ্ধান্তে এসেছেন। বেশির ভাগ ইঁদুর নিউইয়র্ক শহরের ব্রুকলিন পার্কের আশপাশ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। করোনা পরীক্ষায় ৭৯টি ইঁদুরের মধ্যে ১৩টির শরীরে করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। গবেষকেরা আরও বলেছেন, ‘সামগ্রিকভাবে বলা যায়, মহামারির সময়ে প্রাণীরা ভাইরাস ছড়ানোর ব্যাপারে ভূমিকা রাখতে পারে। এ জন্য আমাদের জানাশোনার পরিধি আরও বাড়াতে হবে এবং সতর্ক থাকতে হবে, যাতে প্রাণী ও মানুষ—উভয়েই সুস্থ থাকতে পারি।’

সাথী / হককথা