নিউইয়র্ক ০২:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আমেরিকা ঘায়েলে রাশিয়ার নতুন কৌশল!

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:২৩:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪
  • / ১৩১ বার পঠিত

রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে শত্রুতা, সম্ভবত এই বিশ্বের সবচেয়ে বড় শত্রুতা। এই দুই দেশের মধ্যে এমন শত্রুতা, যা অতীতে বহু দেশকে ধ্বংস করেছে। শুধু কি তাই, অবস্থা এমন আমেরিকা-রাশিয়া একে অপরের দিকে গুলি শুরু করলেই তা হবে বিশ্বযুদ্ধ। একে অপরকে ঘায়েলে সব সময়ই তৎপর এই দুই পরাশক্তি। আর সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই টানা স্নায়ুযুদ্ধে জড়িয়ে আছে রাশিয়া-আমেরিকা।

যেমনটা বলা হচ্ছিলো, সুযোগ পেলেই একে অপরকে একহাত দেখে নিতে ছাড়ে না। যাকে বলে ছায়াযুদ্ধ। বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর আমেরিকা শুরু থেকেই ছায়াযুদ্ধে জড়িয়ে। কিয়েভকে হাত খুলে অস্ত্র ও গোলাবারুদ দেয়ার পাশাপাশি পশ্চিমা দোসরদের সঙ্গে নিয়ে রাশিয়া বিরুদ্ধে রীতিমতো জেহাদ ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের নেতা জো বাইডেন। সুযোগ বুঝে কোপ মারতে ভুল করছেন না পুতিনও।

আমেরিকাকে শায়েস্তা করতে এবার নতুন কৌশল খাটাতে শুরু করেছে রাশিয়া। গুপ্তচরগিরি আর মাদকের পাচারসহ নানা অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রর নাগরিকদের আটক করে জেলে পুরেছে মস্কো। পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো এই নিয়ে বেশ জোরে আওয়াজ তুলেছে। আর ওয়াশিংটন অভিযোগ করেছে, রাজনৈতিক দর কষাকষির জন্যই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদেরকে হাতিয়ার বানানোর চেষ্টা করছে মস্কো।

যুক্তরাষ্ট্রকে ধরাশায়ী করতে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে রাশিয়া। দুদেশের মধ্যে নতুনভাবে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে এই বন্দি ইস্যু। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর দাবি, গত কয়েক বছরে রুশ কারাগারে বেড়েই চলেছে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সংখ্যা। বলা হচ্ছে- গুপ্তচরবৃত্তি, মাদক মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে বেছে বেছে রাশিয়া শুধুই টার্গেট করছে আমেরিকাকে, যদিও এসব দাবিতে খুব একটা আমলে নিচ্ছে না ক্রেমলিন।

এখন পর্যন্ত কতজন যুক্তরাষ্ট্রর নাগরিক রুশ কারাগারগুলোতে রয়েছে, তার সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি মস্কো। এনিয়ে ওয়াশিংটন বারবার তাগাদা দিলেও পাত্তা দেয়নি মস্কো। তবে, সম্প্রতি গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদক ইভান গার্শকোভিচের আটকাদেশের মেয়াদ বাড়ানোয় আবারও আলোচনায় বন্দি ইস্যু। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, বিষয়টিকে রাজনৈতিক দর কষাকষির হাতিয়ার বানিয়েছে মস্কো।

শুধু ইভান নন, গত বছর রাশিয়ায় আরও এক যুক্তরাষ্ট্রর সাংবাদিক আলসু কুরমাশেভা গ্রেপ্তার হন। তিনি আবার যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার দ্বৈত নাগরিক হলেও, তার বিরুদ্ধে বিদেশি এজেন্ট হিসেবে নিবন্ধনে ব্যর্থতার অভিযোগ আনা হয়েছিল্র। এ ছাড়া রুশ কারাগারে আরেক যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক পল ওয়েলান এখনো আটক। বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিমা দেশে রুশ বন্দিদের ঘনিষ্ঠ নাগরিকদের মুক্ত করতেই এমন পদক্ষেপ নিচ্ছেন পুতিন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাইডেনকে বন্দি বিনিয়মে বাধ্য করতে চাইছেন পুতিন। এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসাবে বলা হচ্ছে, ২০২২ সালে অস্ত্রপাচারের অভিযোগ সাজা পাওয়া রুশ নাগরিক ভিক্টর বাউটের বিনিময়ে আমেরিকার বাস্কেটবল তারকা ব্রিটনি গ্রিনারকে মুক্তি দেয়ার ঘটনা। বন্দি ইস্যুর পাশাপাশি ইউক্রেন নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে ভ্লাদিমির পুতিনের আমলে রুশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক উন্নয়নের কোন সম্ভাবনা দেখছেন না বিশ্লেষকরা। সূত্র : একাত্তর টিভি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আমেরিকা ঘায়েলে রাশিয়ার নতুন কৌশল!

প্রকাশের সময় : ১২:২৩:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪

রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে শত্রুতা, সম্ভবত এই বিশ্বের সবচেয়ে বড় শত্রুতা। এই দুই দেশের মধ্যে এমন শত্রুতা, যা অতীতে বহু দেশকে ধ্বংস করেছে। শুধু কি তাই, অবস্থা এমন আমেরিকা-রাশিয়া একে অপরের দিকে গুলি শুরু করলেই তা হবে বিশ্বযুদ্ধ। একে অপরকে ঘায়েলে সব সময়ই তৎপর এই দুই পরাশক্তি। আর সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই টানা স্নায়ুযুদ্ধে জড়িয়ে আছে রাশিয়া-আমেরিকা।

যেমনটা বলা হচ্ছিলো, সুযোগ পেলেই একে অপরকে একহাত দেখে নিতে ছাড়ে না। যাকে বলে ছায়াযুদ্ধ। বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর আমেরিকা শুরু থেকেই ছায়াযুদ্ধে জড়িয়ে। কিয়েভকে হাত খুলে অস্ত্র ও গোলাবারুদ দেয়ার পাশাপাশি পশ্চিমা দোসরদের সঙ্গে নিয়ে রাশিয়া বিরুদ্ধে রীতিমতো জেহাদ ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের নেতা জো বাইডেন। সুযোগ বুঝে কোপ মারতে ভুল করছেন না পুতিনও।

আমেরিকাকে শায়েস্তা করতে এবার নতুন কৌশল খাটাতে শুরু করেছে রাশিয়া। গুপ্তচরগিরি আর মাদকের পাচারসহ নানা অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রর নাগরিকদের আটক করে জেলে পুরেছে মস্কো। পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো এই নিয়ে বেশ জোরে আওয়াজ তুলেছে। আর ওয়াশিংটন অভিযোগ করেছে, রাজনৈতিক দর কষাকষির জন্যই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদেরকে হাতিয়ার বানানোর চেষ্টা করছে মস্কো।

যুক্তরাষ্ট্রকে ধরাশায়ী করতে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে রাশিয়া। দুদেশের মধ্যে নতুনভাবে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে এই বন্দি ইস্যু। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর দাবি, গত কয়েক বছরে রুশ কারাগারে বেড়েই চলেছে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সংখ্যা। বলা হচ্ছে- গুপ্তচরবৃত্তি, মাদক মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে বেছে বেছে রাশিয়া শুধুই টার্গেট করছে আমেরিকাকে, যদিও এসব দাবিতে খুব একটা আমলে নিচ্ছে না ক্রেমলিন।

এখন পর্যন্ত কতজন যুক্তরাষ্ট্রর নাগরিক রুশ কারাগারগুলোতে রয়েছে, তার সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি মস্কো। এনিয়ে ওয়াশিংটন বারবার তাগাদা দিলেও পাত্তা দেয়নি মস্কো। তবে, সম্প্রতি গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদক ইভান গার্শকোভিচের আটকাদেশের মেয়াদ বাড়ানোয় আবারও আলোচনায় বন্দি ইস্যু। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, বিষয়টিকে রাজনৈতিক দর কষাকষির হাতিয়ার বানিয়েছে মস্কো।

শুধু ইভান নন, গত বছর রাশিয়ায় আরও এক যুক্তরাষ্ট্রর সাংবাদিক আলসু কুরমাশেভা গ্রেপ্তার হন। তিনি আবার যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার দ্বৈত নাগরিক হলেও, তার বিরুদ্ধে বিদেশি এজেন্ট হিসেবে নিবন্ধনে ব্যর্থতার অভিযোগ আনা হয়েছিল্র। এ ছাড়া রুশ কারাগারে আরেক যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক পল ওয়েলান এখনো আটক। বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিমা দেশে রুশ বন্দিদের ঘনিষ্ঠ নাগরিকদের মুক্ত করতেই এমন পদক্ষেপ নিচ্ছেন পুতিন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাইডেনকে বন্দি বিনিয়মে বাধ্য করতে চাইছেন পুতিন। এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসাবে বলা হচ্ছে, ২০২২ সালে অস্ত্রপাচারের অভিযোগ সাজা পাওয়া রুশ নাগরিক ভিক্টর বাউটের বিনিময়ে আমেরিকার বাস্কেটবল তারকা ব্রিটনি গ্রিনারকে মুক্তি দেয়ার ঘটনা। বন্দি ইস্যুর পাশাপাশি ইউক্রেন নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে ভ্লাদিমির পুতিনের আমলে রুশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক উন্নয়নের কোন সম্ভাবনা দেখছেন না বিশ্লেষকরা। সূত্র : একাত্তর টিভি।