নিউইয়র্ক ০৫:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আমেরিকার বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ ! আমেরিকায় এবার কম্পিউটারে ‘লাল সন্ত্রাস’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:১৩:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩
  • / ১০৫ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রবল ছায়াযুদ্ধ শুরু করেছে চীন। সাইবার জগতে মুখোমুখি দুই মহাশক্তি। সূত্রের খবর, এবার আমেরিকার কম্পিউটারগুলিকে নিশানা করছে চীনা সরকার তথা লালফৌজের মদতপ্রাপ্ত হ্যাকাররা।

‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ সূত্রে খবর, সম্প্রতি একটি রহস্যময় কোডের সন্ধান পেয়েছে মাইক্রোসফ্ট ও আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। প্রশান্ত মহাসাগরে গুয়াম থেকে শুরু করে মূল আমেরিকার ভূখণ্ডের টেলিকমিউনিকেশন কম্পিউটারগুলিতে আচমকাই দেখা মিলেছে এই কোডের। মাইক্রোসফ্টের দাবি, এটা সাইবার হামলা। এর নেপথ্যে রয়েছে চীন সরকার ও লালফৌজের মদতপ্রাপ্ত হ্যাকাররা। অত্যন্ত কৌশলে এই কোডগুলি স্থাপন করা হয়েছে। রাউটার বা ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবহার করা হয় এমন গেজেটের মাধ্যমে এই হ্যাকিং করা হয়েছে। ফলে এগুলি খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন।

আমেরিকার গোয়েন্দাদের মতে, গোয়াম থেকে এই ছায়াযুদ্ধ শুরু হয়েছে। এবং এটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, প্যাসিফিক বা প্রশান্ত মহাসাগরের গুয়ামে আমেরিকার ফৌজের ঘাঁটি রয়েছে। তাইওয়ানে লালফৌজের হামলা হলে গুয়াম থেকেই পালটা মার দেবে আমেরিকা। ফলে গুয়ামের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপন্ন হলে আমেরিকার সেনাবাহিনী বড় ধাক্কা খাবে।

আরোও পড়ুন। যুক্তরাষ্ট্রের‘প্রেসিডেন্ট’ পদ নিয়ে রিপাবলিকানের টানাটানি

উল্লেখ্য, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ‘ট্রেঞ্চ ওয়ার’ থেকে নাৎসি জার্মানির ‘ব্লিৎসক্রেগ’। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পালটেছে রণকৌশল। রাইফেল হাতে সন্মুখ সমর থেকে ঠান্ডাঘরে বসে বোতাম টিপে ড্রোন হামলা। প্রযুক্তির দ্রুত উন্নতিতে আরও শক্তিশালী হয়েছে যুদ্ধাস্ত্র। এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তৈরি হয়েছে ‘ভার্চুয়াল ওয়ার’ বা সাইবার যুদ্ধের আশঙ্কা। ফলে এবার আর মাটিতে নয়, যুদ্ধ হতে পারে ইন্টারনেটের দুনিয়ায়। বলে রাখা ভাল, গোলা-বারুদ নয়, আজকাল একটি কম্পিউটার ও ইন্টারনেট কানেকশনই হচ্ছে যুদ্ধাস্ত্র। যে কোনও দেশের ব্যাংকিং পরিষেবা, যান চলাচল, এমনকি মিসাইল সিস্টেম তছনছ করে দিতে অহরহ চেষ্টা চালাচ্ছে হ্যাকাররা। গতবছর, ভারতীয় সেনা ও হ্যাল-এর ওয়েবসাইটে হামলা চালায় পাকিস্তানি হ্যাকাররা। অভিযোগ, একইভাবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রভাবিত করেছিল রাশিয়া। তাই সবসময় চোখের আড়ালে সাইবার যুদ্ধের আশঙ্কা প্রবল। এই দিশায় অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে চীন ও উত্তর কোরিয়া। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, একটি ডেডিকেটেড সাইবার কমান্ড রয়েছে চীনের। ভারতের প্রতিরক্ষা ও ব্যাংকিং সেক্টরে প্রায়ই হানা দিচ্ছে চীনা হ্যাকাররা। ফলে বাড়ছে বিপদের আশঙ্কা।
সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আমেরিকার বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ ! আমেরিকায় এবার কম্পিউটারে ‘লাল সন্ত্রাস’

প্রকাশের সময় : ১১:১৩:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩

হককথা ডেস্ক : আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রবল ছায়াযুদ্ধ শুরু করেছে চীন। সাইবার জগতে মুখোমুখি দুই মহাশক্তি। সূত্রের খবর, এবার আমেরিকার কম্পিউটারগুলিকে নিশানা করছে চীনা সরকার তথা লালফৌজের মদতপ্রাপ্ত হ্যাকাররা।

‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ সূত্রে খবর, সম্প্রতি একটি রহস্যময় কোডের সন্ধান পেয়েছে মাইক্রোসফ্ট ও আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। প্রশান্ত মহাসাগরে গুয়াম থেকে শুরু করে মূল আমেরিকার ভূখণ্ডের টেলিকমিউনিকেশন কম্পিউটারগুলিতে আচমকাই দেখা মিলেছে এই কোডের। মাইক্রোসফ্টের দাবি, এটা সাইবার হামলা। এর নেপথ্যে রয়েছে চীন সরকার ও লালফৌজের মদতপ্রাপ্ত হ্যাকাররা। অত্যন্ত কৌশলে এই কোডগুলি স্থাপন করা হয়েছে। রাউটার বা ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবহার করা হয় এমন গেজেটের মাধ্যমে এই হ্যাকিং করা হয়েছে। ফলে এগুলি খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন।

আমেরিকার গোয়েন্দাদের মতে, গোয়াম থেকে এই ছায়াযুদ্ধ শুরু হয়েছে। এবং এটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, প্যাসিফিক বা প্রশান্ত মহাসাগরের গুয়ামে আমেরিকার ফৌজের ঘাঁটি রয়েছে। তাইওয়ানে লালফৌজের হামলা হলে গুয়াম থেকেই পালটা মার দেবে আমেরিকা। ফলে গুয়ামের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপন্ন হলে আমেরিকার সেনাবাহিনী বড় ধাক্কা খাবে।

আরোও পড়ুন। যুক্তরাষ্ট্রের‘প্রেসিডেন্ট’ পদ নিয়ে রিপাবলিকানের টানাটানি

উল্লেখ্য, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ‘ট্রেঞ্চ ওয়ার’ থেকে নাৎসি জার্মানির ‘ব্লিৎসক্রেগ’। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পালটেছে রণকৌশল। রাইফেল হাতে সন্মুখ সমর থেকে ঠান্ডাঘরে বসে বোতাম টিপে ড্রোন হামলা। প্রযুক্তির দ্রুত উন্নতিতে আরও শক্তিশালী হয়েছে যুদ্ধাস্ত্র। এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তৈরি হয়েছে ‘ভার্চুয়াল ওয়ার’ বা সাইবার যুদ্ধের আশঙ্কা। ফলে এবার আর মাটিতে নয়, যুদ্ধ হতে পারে ইন্টারনেটের দুনিয়ায়। বলে রাখা ভাল, গোলা-বারুদ নয়, আজকাল একটি কম্পিউটার ও ইন্টারনেট কানেকশনই হচ্ছে যুদ্ধাস্ত্র। যে কোনও দেশের ব্যাংকিং পরিষেবা, যান চলাচল, এমনকি মিসাইল সিস্টেম তছনছ করে দিতে অহরহ চেষ্টা চালাচ্ছে হ্যাকাররা। গতবছর, ভারতীয় সেনা ও হ্যাল-এর ওয়েবসাইটে হামলা চালায় পাকিস্তানি হ্যাকাররা। অভিযোগ, একইভাবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রভাবিত করেছিল রাশিয়া। তাই সবসময় চোখের আড়ালে সাইবার যুদ্ধের আশঙ্কা প্রবল। এই দিশায় অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে চীন ও উত্তর কোরিয়া। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, একটি ডেডিকেটেড সাইবার কমান্ড রয়েছে চীনের। ভারতের প্রতিরক্ষা ও ব্যাংকিং সেক্টরে প্রায়ই হানা দিচ্ছে চীনা হ্যাকাররা। ফলে বাড়ছে বিপদের আশঙ্কা।
সুমি/হককথা