হককথা ডেস্ক : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়ায় নারাজ যুক্তরাষ্ট্র। মস্কোর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ করতে নয়াদিল্লি যে আপাতত প্রস্তুত নয় সেই কথাই ফের একবার স্পষ্ট হয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্রের
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথায়। খবর বার্তা সংস্থা এএনআই এর।
বিগত কয়েক বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্র সঙ্গে সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক মজবুত করছে ভারত। বিশেষ করে চীনকে নজরে রেখে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ভারতের কোয়াড বা চতুর্দেশীয় অক্ষ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু পুরনো বন্ধু রাশিয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ সত্বেও আপোস করতে নারাজ নয়াদিল্লি।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে কাটছাঁট করেনি মোদি সরকার। একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের বিদেশনীতি যে স্বাধীন তা স্পষ্ট করার চেষ্টা করছে তারা।
সোমবার ওয়াশিংটনে এক বাণিজ্য সভায় ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ভারতের অবস্থানের বিষয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন বাইডেন। উত্তরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কোয়াডে জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার প্রতিক্রিয়া খুবই কঠোর। তারা পুতিনের আগ্রাসনের তীব্র বিরোধিতা করেছে। শুধু ভারত ব্যতিক্রম এবং নড়বড়ে।’
বাইডেন বলেন, ‘পুতিন ভেবেছিলেন, ন্যাটোকে ভেঙে দিতে পারবেন। কিন্তু সেটা হয়নি। ন্যাটোকে অতীতে কখনো এতটা ঐক্যবদ্ধ, এতটা শক্তিশালী দেখা যায়নি।’
কিছুদিন আগেই ভারতের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ভারত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নিজের প্রয়োজনের ৮৫ শতাংশ অপরিশোধিত তেল আমদানি করে। তার মধ্যে রাশিয়া থেকে আসে মাত্র এক শতাংশ। এখন বিশ্বে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ভারতের চ্যালেঞ্জও বেড়ে গেছে। ফলে ভারত বিকল্পের খোঁজ করছে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে চলতি মাসের শুরুর দিকেই বৈঠকে বসেছিল কোয়াড। সেখানে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরব হয় যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান। তবে সরাসরি মস্কোর বিরুদ্ধে কোনো মন্তব্য না করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ভারত জাতিসংঘে তিনবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদানে বিরত থেকেছে। নয়াদিল্লির দাবি, তারা নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে। তারা রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুই পক্ষকেই লড়াই থামিয়ে আলোচনায় বসে বিরোধ মেটানোর জন্য অনুরোধ করেছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
হককথা/এমউএ