আটলান্টায় বাংলাদেশী ড. রশীদ মালিক যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেস-এর নির্বাচনে প্রার্থী
- প্রকাশের সময় : ০৭:১৬:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ মার্চ ২০১৬
- / ৯৪০ বার পঠিত
আটলান্টা (জর্জিয়া): যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য জর্জিয়ার ডিষ্ট্রিক্ট-৭ আসন থেকে ইউএস কংগ্রেস রিপ্রেজেন্টেটিভ পদে প্রার্থী হলেন আটলান্টার বাংলাদেশী-আমেরিকান নাগরিক ড. রশীদ মালিক। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনে জাতীয় কংগ্রেসের প্রাথী হিসেবে ড. মালিকই প্রথম বাংলাদেশী-আমেরিকান।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির পক্ষ থেকে ড. মালিক ওরফে হাদী গত ৭ মার্চ তাঁর রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করে এই প্রার্থিতা পদ চূড়ান্ত করেন।
স্মরণ করা যেতে পারে, জর্জিয়ার রাজ্যের লরেন্সভিলের বাসিন্দা ড. রশীদ মালিক গত ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে জর্জিয়া স্টেট হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এরপর ২০১২ সালে জর্জিয়া স্টেট সিনেটর পদেও দ্বিতীয়বার প্রার্থী হন। তবে এবছর ডেমোক্র্যাটিক পার্টি তাঁকে স্টেট নির্বাচনের পরিবর্তে ইউ এস কংগ্রেস নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে। যদিও বিগত ঐ নির্বাচন দুটিতে ড. মালিক বিজয়ের মুখ দেখতে পারেন নি, তবে মূলধারার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর অগ্রযাত্রায় এইভাবে সক্রিয় হতে পারলে বাংলাদেশীরা একদিন ঠিক ঠিকই বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারবে বলে তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন।
নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর পরই ড. মালিক তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারে মূলধারায় কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে মাইক্রো ইন্টারপ্রিনারশিপ পদ্ধতির মাধ্যমে অনুকূল পরিবেশ তৈরির প্রচেষ্টা নেবেন বলে ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে ভালবাসুন, এখনও ভোটার না হলে অনতিবিলম্বে ভোটার হোন এবং ভোট প্রদান করে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হাতকে শক্তিশালী করুন। তিনি হিলারী ক্লিনটনকে ২০১৬ সালের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়যুক্ত করার আহবান জানান এবং মাইক্রো-ইন্টারপ্রিনারশিপ পদ্ধতিকে প্রতিষ্ঠা করতে ও সেই সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা, ইউনিভার্সাল হেলথ ও ইউনিভার্সাল শিক্ষা পদ্ধতিকে মূলধারার জীবন-ব্যবস্থায় চালু করতে তাঁকে ভোট দেয়ার আহবান জানান।
উল্লেখ্য, আটলান্টায় ডিপ্লোমা কোর্স অর্জনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মালিক কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ড. রশীদ মালিক বেশ কয়েক বছর আগে ‘চাইনিজ ইন্টারপ্রিনারশিপ ইন দ্যা ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট অব চায়না’ শীর্ষক একটি গ্রন্থ রচনা করেন এবং ১৯৯৭ সালে বইটি প্রকাশ করে জনপ্রিয় প্রকাশনা সংস্থা অ্যামাজন।