দায়মুক্তি পাবেন না ট্রাম্প, ভোটের ফলাফল পাল্টানোর চেষ্টায় বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন
- প্রকাশের সময় : ০৫:৪৮:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৬০ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক : সাবেক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করা যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আপিল আদালত মঙ্গলবার এ রায় দিয়েছেন।
‘নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগে বিচার হওয়া উচিত নয়’ এমন যুক্তি খারিজ করে আদালত বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর পদে থাকাকালীন সংঘটিত কাজের জন্য ফৌজদারি মামলা থেকে মুক্ত নন। অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিচার থেকে দায়মুক্তি পাবেন না তিনি। খবর-বিবিসি
আদালত অভিমত দিয়ে বলেছেন- ২০২০ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে ট্রাম্পের বিচার করা যাবে। ওয়াশিংটন ডিসির তিন সার্কিট জজের প্যানেলের সর্বসম্মত অভিমতে আরও বলা হয়েছে, একজন সাবেক প্রেসিডেন্টকে দায়িত্ব পালনের সময় তাঁর নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে তাঁকে বিচারের মুখোমুখি করার সুযোগ রয়েছে।
এদিকে আদালতের এ অভিমতকে ‘জাতি বিধ্বংসী’ বলে মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, দেশের ভালোর জন্য যা করতে হবে তা করার পূর্ণ দায়মুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রেসিডেন্টের অবশ্যই থাকতে হবে।আদালতের এ অভিমতের বিরুদ্ধে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারবেন ট্রাম্প। এ সময়ের পর আদালতের এই অভিমতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন সুপ্রিম কোর্ট।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা চারটি অভিযোগ রয়েছে। এগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা, ষড়যন্ত্র করা, সাক্ষ্য জাল করা এবং নাগরিকদের অধিকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে হওয়া দাঙ্গার ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনা হয়। এর মাধ্যমে চার মাসের মধ্যে তিনটি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হলেন তিনি।
৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্প ২০২৪ সালের নির্বাচনে পুনরায় প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অনেকেই মনে করছেন, ঘটনার আড়াই বছর পর এবং পরবর্তী নির্বাচন সামনে রেখে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ও মামলার গতিপ্রকৃতি যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। কিন্তু এ নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে পরাজয় মানতে অস্বীকৃতি জানান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বাইডেনের জয়ের সত্যায়নে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন বসে। আইনপ্রণেতারা যখন জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করার জন্য অধিবেশনে ছিলেন তখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের শত শত সমর্থক এ প্রক্রিয়া ঠেকাতে কংগ্রেস ভবনে (ক্যাপিটল) তাণ্ডব চালায়। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে সেদিনই অন্তত চারজন নিহত হয়। পরে নিহত হন এক পুলিশ কর্মকর্তা। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ বলছে, দাঙ্গায় জড়িত এক হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তারর করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫৭০ জনকে দোষী সাব্যস্ত হয়।
হককথা/নাছরিন