নিউইয়র্ক ১২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সাধারণ ক্ষমা পেলেন অং সান সু চি, মুক্তির জন্য অপেক্ষা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৩৬:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১০৩ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেতা অং সান সু চির জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে জান্তা প্রশাসন। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি। শুধু সু চিকেই নয়, মোটমাট সাত হাজারের বেশি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে দেশটির সামরিক সরকার। মঙ্গলবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এ খবর জানানো হয়েছে। খবর ব্লুমবার্গের।

সম্প্রচারে বলা হয়েছে, আদালতের রায়ে সাজাপ্রাপ্ত অং সান সু চিকে ক্ষমা করেছেন রাষ্ট্রীয় প্রশাসন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, সু চির পাশাপাশি মিয়ানমারের সাবেক প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টও দুই বছরেরও বেশি সময় পর ছাড়া পেয়েছেন।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সে সময় সু চিসহ বেসামরিক সরকারের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর সু চির বিরুদ্ধে অন্তত ১৯টি অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিচার শুরু করে জান্তা সরকার।

তবে সামরিক আদালতে মামলার শুনানির সময় গণমাধ্যমকর্মী বা অন্য পর্যবেক্ষকদের কেউ উপস্থিত থাকতে পারেননি। ফলে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো সু চির বিরুদ্ধে গোপন বিচারকে প্রতারণা বলে নিন্দা জানায়। এর পরও দফায় দফায় রায় ঘোষণায় মোট ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত এ নেতাকে।

সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে গৃহবন্দি থাকলেও অং সান সু চিকে গত বছর রাজধানীর একটি নির্জন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। গত দুই বছর তার প্রায় কোনো খবরই পাওয়া যায়নি। তিনি অসুস্থ ছিলেন বলে গুঞ্জন শোনা গেলেও সামরিক বাহিনী এ তথ্য অস্বীকার করে। ৭৮ বছর বয়সী সু চির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ৩৩ বছরের সাজা দিয়েছিলেন মিয়ানমারের আদালত।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সাধারণ ক্ষমা পেলেন অং সান সু চি, মুক্তির জন্য অপেক্ষা

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৬:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেতা অং সান সু চির জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে জান্তা প্রশাসন। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি। শুধু সু চিকেই নয়, মোটমাট সাত হাজারের বেশি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে দেশটির সামরিক সরকার। মঙ্গলবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এ খবর জানানো হয়েছে। খবর ব্লুমবার্গের।

সম্প্রচারে বলা হয়েছে, আদালতের রায়ে সাজাপ্রাপ্ত অং সান সু চিকে ক্ষমা করেছেন রাষ্ট্রীয় প্রশাসন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, সু চির পাশাপাশি মিয়ানমারের সাবেক প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টও দুই বছরেরও বেশি সময় পর ছাড়া পেয়েছেন।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সে সময় সু চিসহ বেসামরিক সরকারের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর সু চির বিরুদ্ধে অন্তত ১৯টি অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিচার শুরু করে জান্তা সরকার।

তবে সামরিক আদালতে মামলার শুনানির সময় গণমাধ্যমকর্মী বা অন্য পর্যবেক্ষকদের কেউ উপস্থিত থাকতে পারেননি। ফলে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো সু চির বিরুদ্ধে গোপন বিচারকে প্রতারণা বলে নিন্দা জানায়। এর পরও দফায় দফায় রায় ঘোষণায় মোট ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত এ নেতাকে।

সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে গৃহবন্দি থাকলেও অং সান সু চিকে গত বছর রাজধানীর একটি নির্জন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। গত দুই বছর তার প্রায় কোনো খবরই পাওয়া যায়নি। তিনি অসুস্থ ছিলেন বলে গুঞ্জন শোনা গেলেও সামরিক বাহিনী এ তথ্য অস্বীকার করে। ৭৮ বছর বয়সী সু চির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ৩৩ বছরের সাজা দিয়েছিলেন মিয়ানমারের আদালত।