নিউইয়র্ক ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সংসদে মমতাজের গান, দিলেন বিদ্যুৎ নিয়ে সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৪৫:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩
  • / ৯০ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদে গান গাইলেন দেশের জনপ্রিয় ফোক সংগীতশিল্পী ও মানিকগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম। বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে আবারও সরকারের সফলতা তথ্য তুলে ধরেছেন। একই সঙ্গে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। আজ সোমবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের ওপর আলোচনাকালে তিনি নিজের দুটি গানের কিছু অংশ গেয়ে শোনান।

একটি গান পরিবেশন করেন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে। অপরটি ছিল বর্তমান সরকারের উন্নয়ন নিয়ে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গানটির কথা ছিল এমন—‘লোকে বলে বাংলায় যতদিন রবে, ওই পদ্মা মেঘনা বহমান/ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান/আমি বলি না না লোকে তো জানে না, ওই কীর্তি রবে তোমার কতদিন/হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ নও তুমি শ্রেষ্ঠ রবে ওই ততদিন ওই চন্দ্র রবে যতদিন, ওই সূর্য রবে যতদিন’।

তিনি বলেন, ‘যতদিন বাংলা ভাষাভাষী মানুষ পৃথিবীতে থাকবে ততদিন তুমি রবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।যতদিন আকাশে চন্দ্র উঠবে, সূর্য উঠবে ততদিন তোমার কীর্তি রবে তুমি শেখ মুজিবুর রহমান।’
বক্তব্যের শেষে মমতাজ বেগম সরকারের উন্নয়ন নিয়ে গান গেয়ে শোনান। সেই গানটির কথাগুলো হচ্ছে, ‘(সাধারণ মানুষ বলে) ওরে রাখবো ধরে এই উন্নয়ন (২)/ আমরা দেশের জনতা/শেখ হাসিনার হাতে আবার দিয়ে ক্ষমতা/পদ্মা সেতু পদ্মা নদীতে/এগিয়ে চলছে দেশ দ্রুতগতিতে/করল আবার সমুদ্র জয়/সমুদ্র সম্পদ আহরণে নাই আর কোনো ভয়/এই যে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযুদ্ধ ভাতা, আজকে উপকার পাইতেছে কত মাতা-পিতা।’

বিএনপির সমালোচনা করে মমতাজ বেগম বলেন, ‘যারা দেশটাকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছেন তাদের মুখে বড় বড় কথা শুনতে হয়।আমাদের সত্য কথাকে তারা মিথ্যা বানিয়ে ট্রল করার চেষ্টা করছে। এটা বড়ই দুঃখজনক। বড়ই হতভাগা আমরা।’ তিনি বলেন, ‘গার্মেন্টে এত সফলতা দেখাতে পারতাম না যদি বিদ্যুতের উন্নতি করতে না পারতাম। এরা চোখ থাকতে অন্ধ হয়েছে।সব সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছে কিন্তু সেটা অস্বীকার করছে। প্রধানমন্ত্রী আজকে প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরেই কেবল বিদ্যুতের আলো দেননি, প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে আলো হয়ে হাজার বছর তিনি বেঁচে থাকবেন।’

বক্তব্য দেওয়ার এক পর্যায়ে ওই সংসদ সদস্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেরি করে বিদ্যুৎ বিক্রির বিষয়ে ২০১৭ সালে সংসদে দেওয়া একটি বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, যারা সরকারের ভালোকে দেখতে পারে না তারা নানাবিধ কুকথা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার দিনরাত চালাচ্ছে। তিনি বলেন, “২০১৭ সালে আমি এই সংসদে একটি বক্তব্য দিয়েছিলাম। আমার নির্বাচনী এলাকা মানিকগঞ্জ-২ আসনে ২৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা রয়েছে।

এই এত বড় একটা আসনের মাত্র ৩০ ভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ ছিল। এই সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে ২০১৭ সালে যখন সংসদে বক্তব্য দেই তখন শতভাগ বিদ্যুতায়ন আমার আসনে করেছি। শুধু তা-ই নয়, যখন এলাকায় যেতাম তখন সবাই এসে বলত, একটা মিটার দেন, একটা মিটার দেন। আমাদের আগে যারা ছিল তারা মিটার তো দিতেই পারেনি। কিন্তু দেবে বলে ২০ হাজার থেকে শুরু করে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত দুর্নীতি করেছে। আমরা বলেছিলাম, একটা টাকাও দুর্নীতি হবে না। মিটারের জন্য সরকারি যে রেট আছে সেটই আপনারা জমা করবেন।

আপনাদের ঘরে ঘরে বিদ্যুতের লাইন ও মিটার আমরা পৌঁছে দেব। দিয়েছিলামও তাই। শুধু তা-ই নয়, আমরা ইউনিয়ন পরিষদে মাইকিং করে মানুষকে বলেছিলাম মিটার লাগবে আপনাদের? কার মিটার লাগবে আপনারা ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করে নিয়েন। এই বক্তব্যটাই জাতীয় সংসদে আমার ছিল যে ‘এখন ফেরি করে দেওয়ার মতো অবস্থা হয়ে গেছে।

মিটার ফেরি করে দিতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ আমরা মানুষের ঘরে ঘরে এ রকম করে পৌঁছে দিচ্ছি।’ এই কথাটাকেই ট্রল করে… বিএনপি-জামাতের জাতীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দও বিভিন্নভাবে বক্তব্যে একই কথা, কই ফেরি করে দিচ্ছেন না। আমরা দিয়েছি তো। আর যদি সেটা না দিতে পারতাম―আজকের এই যে বাজেট দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে, আমরা প্রতিবছর বাজেট বাড়াতে পারছি। মানুষকে আজকে সুখে-শান্তিতে রাখতে পারছি। যদি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ না যেত এটা কোনোভাবেই সম্ভব হতো না।” সূত্র : কালের কন্ঠ
সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সংসদে মমতাজের গান, দিলেন বিদ্যুৎ নিয়ে সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যা

প্রকাশের সময় : ১১:৪৫:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদে গান গাইলেন দেশের জনপ্রিয় ফোক সংগীতশিল্পী ও মানিকগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম। বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে আবারও সরকারের সফলতা তথ্য তুলে ধরেছেন। একই সঙ্গে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। আজ সোমবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের ওপর আলোচনাকালে তিনি নিজের দুটি গানের কিছু অংশ গেয়ে শোনান।

একটি গান পরিবেশন করেন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে। অপরটি ছিল বর্তমান সরকারের উন্নয়ন নিয়ে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গানটির কথা ছিল এমন—‘লোকে বলে বাংলায় যতদিন রবে, ওই পদ্মা মেঘনা বহমান/ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান/আমি বলি না না লোকে তো জানে না, ওই কীর্তি রবে তোমার কতদিন/হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ নও তুমি শ্রেষ্ঠ রবে ওই ততদিন ওই চন্দ্র রবে যতদিন, ওই সূর্য রবে যতদিন’।

তিনি বলেন, ‘যতদিন বাংলা ভাষাভাষী মানুষ পৃথিবীতে থাকবে ততদিন তুমি রবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।যতদিন আকাশে চন্দ্র উঠবে, সূর্য উঠবে ততদিন তোমার কীর্তি রবে তুমি শেখ মুজিবুর রহমান।’
বক্তব্যের শেষে মমতাজ বেগম সরকারের উন্নয়ন নিয়ে গান গেয়ে শোনান। সেই গানটির কথাগুলো হচ্ছে, ‘(সাধারণ মানুষ বলে) ওরে রাখবো ধরে এই উন্নয়ন (২)/ আমরা দেশের জনতা/শেখ হাসিনার হাতে আবার দিয়ে ক্ষমতা/পদ্মা সেতু পদ্মা নদীতে/এগিয়ে চলছে দেশ দ্রুতগতিতে/করল আবার সমুদ্র জয়/সমুদ্র সম্পদ আহরণে নাই আর কোনো ভয়/এই যে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযুদ্ধ ভাতা, আজকে উপকার পাইতেছে কত মাতা-পিতা।’

বিএনপির সমালোচনা করে মমতাজ বেগম বলেন, ‘যারা দেশটাকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছেন তাদের মুখে বড় বড় কথা শুনতে হয়।আমাদের সত্য কথাকে তারা মিথ্যা বানিয়ে ট্রল করার চেষ্টা করছে। এটা বড়ই দুঃখজনক। বড়ই হতভাগা আমরা।’ তিনি বলেন, ‘গার্মেন্টে এত সফলতা দেখাতে পারতাম না যদি বিদ্যুতের উন্নতি করতে না পারতাম। এরা চোখ থাকতে অন্ধ হয়েছে।সব সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছে কিন্তু সেটা অস্বীকার করছে। প্রধানমন্ত্রী আজকে প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরেই কেবল বিদ্যুতের আলো দেননি, প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে আলো হয়ে হাজার বছর তিনি বেঁচে থাকবেন।’

বক্তব্য দেওয়ার এক পর্যায়ে ওই সংসদ সদস্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেরি করে বিদ্যুৎ বিক্রির বিষয়ে ২০১৭ সালে সংসদে দেওয়া একটি বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, যারা সরকারের ভালোকে দেখতে পারে না তারা নানাবিধ কুকথা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার দিনরাত চালাচ্ছে। তিনি বলেন, “২০১৭ সালে আমি এই সংসদে একটি বক্তব্য দিয়েছিলাম। আমার নির্বাচনী এলাকা মানিকগঞ্জ-২ আসনে ২৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা রয়েছে।

এই এত বড় একটা আসনের মাত্র ৩০ ভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ ছিল। এই সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে ২০১৭ সালে যখন সংসদে বক্তব্য দেই তখন শতভাগ বিদ্যুতায়ন আমার আসনে করেছি। শুধু তা-ই নয়, যখন এলাকায় যেতাম তখন সবাই এসে বলত, একটা মিটার দেন, একটা মিটার দেন। আমাদের আগে যারা ছিল তারা মিটার তো দিতেই পারেনি। কিন্তু দেবে বলে ২০ হাজার থেকে শুরু করে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত দুর্নীতি করেছে। আমরা বলেছিলাম, একটা টাকাও দুর্নীতি হবে না। মিটারের জন্য সরকারি যে রেট আছে সেটই আপনারা জমা করবেন।

আপনাদের ঘরে ঘরে বিদ্যুতের লাইন ও মিটার আমরা পৌঁছে দেব। দিয়েছিলামও তাই। শুধু তা-ই নয়, আমরা ইউনিয়ন পরিষদে মাইকিং করে মানুষকে বলেছিলাম মিটার লাগবে আপনাদের? কার মিটার লাগবে আপনারা ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করে নিয়েন। এই বক্তব্যটাই জাতীয় সংসদে আমার ছিল যে ‘এখন ফেরি করে দেওয়ার মতো অবস্থা হয়ে গেছে।

মিটার ফেরি করে দিতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ আমরা মানুষের ঘরে ঘরে এ রকম করে পৌঁছে দিচ্ছি।’ এই কথাটাকেই ট্রল করে… বিএনপি-জামাতের জাতীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দও বিভিন্নভাবে বক্তব্যে একই কথা, কই ফেরি করে দিচ্ছেন না। আমরা দিয়েছি তো। আর যদি সেটা না দিতে পারতাম―আজকের এই যে বাজেট দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে, আমরা প্রতিবছর বাজেট বাড়াতে পারছি। মানুষকে আজকে সুখে-শান্তিতে রাখতে পারছি। যদি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ না যেত এটা কোনোভাবেই সম্ভব হতো না।” সূত্র : কালের কন্ঠ
সুমি/হককথা