নিউইয়র্ক ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ট্রাসের ফোন হ্যাকিং ঘটনা তদন্তের আহ্বান বিরোধী দলের

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৫৫:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২২
  • / ১২৬ বার পঠিত

সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনটি হ্যাক করেছিলো ক্রেমলিনের গুপ্তচররা। শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ডেইলি মেইল। এরপরই যুক্তরাজ্যের বিরোধী নেতারা এই ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাস যখন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, তখন এই হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষে কাজ করা ক্রেমলিনের এজেন্টরা এ কাজ করেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে সংবাদপত্রটি এর সঠিক কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি।

প্রতিবেদন অনুসারে, হ্যাকাররা তার সহযোগী কোয়াসি কোয়ার্টেংয়ের সাথে ট্রাসের চ্যাটগুলিতেও অ্যাক্সেস পেয়েছিল যেখানে তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সমালোচনা করেছিলেন। এছাড়াও ইউক্রেনের যুদ্ধের বিষয়ে ‘অত্যন্ত সংবেদনশী‘ আলোচনাসহ প্রায় এক বছরের অনেক তথ্য হ্যাক করা হয়েছিলো।

একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে ডেইলি মেইল জানিয়েছে হ্যাক হওয়ার পর ফোনটি একটি সুরক্ষিত সরকারি সুবিধার মধ্যে একটি লক করা সেফের ভিতরে রাখা হয়েছে ৷ এদিকে বিবিসি এবং স্কাই নিউজ উভয়ই দাবি করেছে, তারা ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনটি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।

অন্যদিকে কেন এবং কীভাবে তথ্য এই তথ্যগুলো হ্যাক করা হয়েছিল তা তদন্তের আহ্বান জানান লেবার পার্টির ইয়েভেট কুপার, যিনি হোমল্যান্ড সিকিউরিটির বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। ইয়েভেট কুপারের মতে রিপোর্টটি ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা সমস্যা’ উপস্থাপন করে।

তিনি বলেন, এই সমস্ত নিরাপত্তা-সম্পর্কিত দুর্বলতাগুলি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খতিয়ে দেখতে হবে এবং সমাধান করতে হবে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বিষয়ক লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের মুখপাত্র লায়লা মোরান বলেছেন,সত্য উদঘাটনের জন্য আমাদের জরুরি স্বাধীন তদন্তের প্রয়োজন। সূত্র: এএফপি, ইয়ন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ট্রাসের ফোন হ্যাকিং ঘটনা তদন্তের আহ্বান বিরোধী দলের

প্রকাশের সময় : ০৬:৫৫:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২২

সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনটি হ্যাক করেছিলো ক্রেমলিনের গুপ্তচররা। শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ডেইলি মেইল। এরপরই যুক্তরাজ্যের বিরোধী নেতারা এই ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাস যখন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, তখন এই হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষে কাজ করা ক্রেমলিনের এজেন্টরা এ কাজ করেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে সংবাদপত্রটি এর সঠিক কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি।

প্রতিবেদন অনুসারে, হ্যাকাররা তার সহযোগী কোয়াসি কোয়ার্টেংয়ের সাথে ট্রাসের চ্যাটগুলিতেও অ্যাক্সেস পেয়েছিল যেখানে তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সমালোচনা করেছিলেন। এছাড়াও ইউক্রেনের যুদ্ধের বিষয়ে ‘অত্যন্ত সংবেদনশী‘ আলোচনাসহ প্রায় এক বছরের অনেক তথ্য হ্যাক করা হয়েছিলো।

একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে ডেইলি মেইল জানিয়েছে হ্যাক হওয়ার পর ফোনটি একটি সুরক্ষিত সরকারি সুবিধার মধ্যে একটি লক করা সেফের ভিতরে রাখা হয়েছে ৷ এদিকে বিবিসি এবং স্কাই নিউজ উভয়ই দাবি করেছে, তারা ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনটি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।

অন্যদিকে কেন এবং কীভাবে তথ্য এই তথ্যগুলো হ্যাক করা হয়েছিল তা তদন্তের আহ্বান জানান লেবার পার্টির ইয়েভেট কুপার, যিনি হোমল্যান্ড সিকিউরিটির বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। ইয়েভেট কুপারের মতে রিপোর্টটি ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা সমস্যা’ উপস্থাপন করে।

তিনি বলেন, এই সমস্ত নিরাপত্তা-সম্পর্কিত দুর্বলতাগুলি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খতিয়ে দেখতে হবে এবং সমাধান করতে হবে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বিষয়ক লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের মুখপাত্র লায়লা মোরান বলেছেন,সত্য উদঘাটনের জন্য আমাদের জরুরি স্বাধীন তদন্তের প্রয়োজন। সূত্র: এএফপি, ইয়ন