ইতিহাসে আজকের এই দিনে পানামা খাল উন্মুক্ত হয়
- প্রকাশের সময় : ০৮:২২:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩
- / ৩৪৪ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক : আজকের দিনটি কাল হয়ে যায় অতীত। তাই প্রতিটি দিনই এক একটি ইতিহাস। ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। আর এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখেই ‘দৈনিক আমাদের সময়’র পাঠকদের জন্য আমাদের নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’।
আজ মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনাবলি :
১৭৫৬ – লর্ড রবার্ট কাইভ মাদ্রাজ থেকে ৫টি যুদ্ধজাহাজে ৯০০ সৈন্য নিয়ে কলকাতা দখলের জন্য যাত্রা করে।
১৯০২ – হল্যান্ডের হেগ শহরে আন্তর্জাতিক আদালতের প্রথম বৈঠক বা এজলাস অনুষ্ঠিত হয়।
১৯১১ – চীনে দু হাজার বছরের রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে।
১৯১৩ – পানামা খালের গাম্বোয়া বাধ ভেঙে আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগর একাকার হয়ে যায়।
১৯১৭ – জার্মানির বিরুদ্ধে ব্রাজিল যুদ্ধ ঘোষণা করে।
১৯১৯ – পানামা খাল খনন শেষ হয় এবং একে উন্মুক্ত ঘোষণা করা হয়।
১৯৩২ – সোভিয়েত ইউনিয়নের নেভা নদীর উপর লেনিন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু হয়।
১৯৪২ – কবি কাজী নজরুল ইসলাম মস্তিক ব্যাধিতে আক্রান্ত (মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি আর সুস্থ হননি) হন।
১৯৪৩ – চিয়াং কাই শেক চীনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
১৯৫৬ – মাদ্রাজ থেকে লর্ড ক্রাইভের কলকাতা দখল অভিযানের যাত্রা শুরু হয়।
১৯৫৯ – আজেন্টিনায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।
১৯৬৪ – এশিয়ার প্রথম টোকিও অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৬৭ – প্রায় ১০০ দেশের মধ্যে মহাশূন্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
১৯৭০ – দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপ দেশ ফিজি দ্বীপপুঞ্জ ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৭১ সালেই এই দিনে দিনাজপুরের চড়ারহাট গ্রামে হানাদার বাহিনী মেতে ওঠে হত্যাযজ্ঞে। প্রায় শতাধিক মানুষকে গভীর রাতে ঘুম থেকে তুলে একত্রিত করে নির্মমভাবে হত্যা করে তারা। তাদের মধ্য থেকে গুলিবিদ্ধ ১১ জন প্রাণে বেঁচে গেলেও শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয় সেখানে। পাশের আন্দোল গ্রামটিও রেহাই পায়নি হানাদারদের হাত থেকে।
১৯৭২ – বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বশান্তি পরিষদের সর্বোচ্চ সম্মান ‘জুলিও কুরি’ পদক প্রদান করা হয়।
১৯৮৬ – সালভাদের ভুমিকম্পে দুই সহস্রাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটে।
১৯৯২ – থেকে ‘বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস’ পালন করা হচ্ছে।
১৯৯৭ – ফ্রান্সের ৪০ জাতি শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়।
জন্ম যাদের:
১৪৬৫ – প্রথম সেলিম, তিনি ছিলেন উসমানীয় খলিফা ও নবম উসমানীয় সুলতান।
১৬৮৪ – জাঁ-আন্টইনে ওয়াটেয়াউ, তিনি ছিলেন ফরাসি চিত্রশিল্পী।
১৭৩১ – হেনরি ক্যাভেন্ডিস, তিনি ছিলেন ফরাসি ইংরেজি রসায়নবিদ, পদার্থবিদ ও দার্শনিক।
১৮১৩ – জুসেপ্পে ভের্দি, তিনি ছিলেন ইতালীয় সুরকার।
১৮২৫ – পল ক্রুগার, তিনি ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার রাজনীতিবিদ ও ৫ম প্রেসিডেন্ট।
১৮৩০ – দ্বিতীয় ইসাবেলা, তিনি ছিলেন স্পেনের রানী।
১৮৪৪ – বদরুদ্দিন ত্যাবজী, তিনি ছিলেন অবিভক্ত ভারতের খ্যাতনামা বিচারপতি।
১৮৬১ – ফ্রিডটজফ নান্সেন, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নরওয়েজিয়ান এক্সপ্লোরার ও বিজ্ঞানী।
১৯০০ – হেলেন হায়েজ, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেত্রী।
১৯০১ – আলবার্তো গিয়াকোমেটি, তিনি ছিলেন সুইস ভাস্কর ও চিত্রকর।
১৯০৬ – আর. কে. নারায়ণ, তিনি ছিলেন ভারতীয় লেখক।
১৯০৮ – সবুর খান, তিনি ছিলেন রাজনৈতিক পার্লামেন্টারিয়ান।
১৯১২ – অনিল মুখার্জি, তিনি ছিলেন বাংলাদেশী লেখক ও রাজনীতিবিদ।
১৯১৩ – ক্লাউডে সাইমন, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মালাগাসি ফরাসি লেখক।
১৯১৬ – সমর সেন, তিনি ছিলেন ভারতীয় বাঙালি কবি ও সাংবাদিক।
১৯২৪ – এড উড, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।
১৯৩০ – হ্যারল্ড পিন্টার, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্রিটিশ অভিনেতা, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও নাট্যকার।
১৯৩০ – ইভস চাউভিন, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি রসায়নবিদ ও অধ্যাপক।
১৯৩৫ – খলিল আল-ওয়াজির, তিনি ছিলেন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী যোদ্ধা।
১৯৩৬ – গেরহার্ড এরটল, তিনি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী ও রসায়নবিদ।
১৯৩৭ – সিরাজুল ইসলাম, তিনি ছিলেন বাংলাদেশী মঞ্চ, বেতার ও টিভির সুপরিচিত অভিনেতা।
১৯৪১ – কেন সারো-ওয়িওা, তিনি ছিলেন নাইজেরিয়া লেখক ও সমাজ কর্মী।
১৯৫৪ – ফার্নান্দো সান্টস, তিনি সাবেক পর্তুগিজ ফুটবলার ও ম্যানেজার।
১৯৫৭ – রুমিকো তিনি তাকাহাশি, তিনি জাপানি লেখক ও অঙ্কনশিল্পী।
১৯৬৬ – টনি আলেকজান্ডার অ্যডামস, তিনি সাবেক ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড় ও ম্যানেজার।
১৯৭৪ – জুলিও রিকার্ডো ক্রুজ, তিনি সাবেক আর্জেন্টিনার ফুটবলার।
১৯৭৯ – নিকোলাস মাসু, তিনি চিলির টেনিস খেলোয়াড়।
১৯৮২ – ইয়াসির আল-কাহতানি, তিনি সৌদি আরব ফুটবল।
১৯৮৬ – এজেকিয়েল গারাই, তিনি আর্জেন্টিনীয় ফুটবলার।
১৯৯১ – জারদান শাকিরি, তিনি সুইস ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৯৪ – বায় সূজী, তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার গায়ক, ড্যান্সার ও অভিনেত্রী।
মৃত্যু যাদের:
০০১৯ – গেরমানিকুস, তিনি ছিলেন রোমান জেনারেল।
০৬৪৪ – পলিনুস, তিনি ছিলেন ইয়র্কের আর্চবিশপ।
০৬৮০ – আল-হোসেইন ইবন আলী ইবন আবি তালিব, তিনি ছিলেন ফাতিমা জাহরা-এর পুত্র ও হাসান ইবন আলী-এর কনিষ্ঠ ভ্রাতা।
১৫৩৯ – নানক, তিনি ছিলেন প্রথম শিখগুরু।
১৬৫৯ – আবেল তাসমান, তিনি ছিলেন ডাচ বণিক ও এক্সপ্লোরার।
১৮২৭ – উগো ফস্কল, তিনি ছিলেন ইতালীয় লেখক ও কবি।
১৮৩৭ – চার্লস ফুরিয়ার, তিনি ছিলেন ফরাসি দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ।
১৮৭২ – উইলিয়াম এইচ. সেওারড, তিনি ছিলেন আমেরিকান আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও ২৪ তম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
১৯১৩ – জাপান কাতসুরা তারো, তিনি ছিলেন জাপানি রাজনীতিবিদ ও ৬ষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী।
১৯৬৩ – এডিথ পিয়াফ, তিনি ছিলেন ফরাসি গায়ক, গীতিকার ও অভিনেত্রী।
১৯৭১ – সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ, তিনি ছিলেন একজন বাঙালি কথাশিল্পী।
১৯৮৪ – আবদুল করিম আমিরি ফিরুজকুহি, তিনি ছিলেন ইরানের প্রখ্যাত কবি, গবেষক ও অধ্যাপক। আয়াতুল্লাহ মীর্যা খলিল কামারেহয়ী, তিনি ছিলেন বিখ্যাত মুফাসসির ও অধ্যাপক।
১৯৮৫ – ইয়ুল বরয়নের, তিনি ছিলেন রাশিয়ান অভিনেতা। জর্জ অরসন ওয়েলস, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।
১৯৯৪ – শেখ মোহাম্মদ সুলতান (এস এম সুলতান), তিনি ছিলেন একজন বাংলাদেশী প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী।
২০০০ – সিরিমাভো বন্দরনায়েকে, তিনি ছিলেন শ্রীলংকার ৬ষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী ও রাজনীতিবিদ।
২০০৪ – ক্রিস্টোফার রীভ, তিনি সুপারম্যান চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন।
২০০৫ – মিল্টন অবোটে, তিনি ছিলেন উগান্ডা রাজনীতিবিদ ও ২য় প্রেসিডেন্ট।
২০১০ – জোয়ান সুথেরলান্ড, তিনি ছিলেন অস্ট্রেলীয় সুইস সরু ও অভিনেত্রী।
২০১১ – জগজিৎ সিং, তিনি ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম গজল গায়ক।
২০১৫ – রিচার্ড এফ. হেক, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান রসায়নবিদ ও শিক্ষাবিদ।
২০১৯ – রামমোহন, দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে শিক্ষামূলক জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র মীনার রূপদানকারী।
২০২১ – পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমার জনক আবদুল কাদের।
২০২২ – মুলায়ম সিং যাদব, ভারতীয় রাজনীতিবিদ, উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও এক সময়ের ভারতের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
দিবস
আন্তর্জাতিক মানসিক স্বাস্থ্য দিবস।
স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস।
আন্তর্জাতিক মৃত্যুদণ্ড বিরোধী দিবস।
সূত্র : আমাদের সময়