স্মরণ : শাসুল হক
																
								
							
                                - প্রকাশের সময় : ০৪:৩৭:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
 - / ৮০৫ বার পঠিত
 
হককথা ডেস্ক: টাঙ্গাইলের কৃতি সন্তান জননেতা শামসুল হক ছিলেন পাকিস্তানবিরোধীআন্দোলনের বলিষ্ঠ নেতা এবং ভাষা আন্দোলনের একজন শীর্ষ নেতা। চল্লিশ ও পঞ্চাশের দশকে এই অঞ্চলের রাজনীতিতে, বিশেষ করে যুবসমাজকে সংগঠিত করতে তাঁর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা আছে। তিনি যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন।
শামসুল হক অল্প বয়সেই রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ছাত্রজীবনেই নেতৃত্বগুণে তিনি বলিষ্ঠতা অর্জন করেন। এ কারণে ১৯৩৯ সালে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় করটিয়া সা’দত কলেজের ভিপি নির্বাচিত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর থেকে তাঁর চিন্তা ও কর্মের জগৎ প্রসারিত হয়।
সে সময় ঢাকার আহসান মঞ্জিলকেন্দ্রিক খাজা পরিবারের নেতৃত্বের বিপরীতে তিনি সোহরাওয়ার্দী-আবুল হাশিম গ্রæপের সমর্থক ছিলেন। দেশ বিভাগের আগেই তাঁর নেতৃত্বে ঢাকা জেলা মুসলিম লীগ খাজা পরিবারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয়।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার পর মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সভাপতি আর শমাসুল হক এর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৪৯ সালে তিনি টাঙ্গাইল থেকে উপনির্বাচনে মুসলিম লীগের প্রার্থী ও করোটিয়ার জমিদার খুররম খান পন্নীকে পরাজিত করে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। এই নির্বাচনে বিজয়ের পর তিনি পূর্ববঙ্গের রাজনীতির এক অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হন। ‘মূল দাবি’ নামে আওয়ামী লীগের প্রথম ম্যানিফেস্টো তিনি রচনা করেন।
১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং দুই দফায় তিনি অনেক দিন কারাগারে ছিলেন। কারাগারে থাকাকালে তাঁর মস্তিষ্কবিকৃতি ঘটে। এরপর বেশ কয়েক বছর বেঁচে থাকলেও তিনি আর স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেননি। ১৯৬৪ সালের সেপ্টেম্বরে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘ ৪২ বছর ধরে তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। অপার সম্ভাবনার এই রাজনীতিবিদ উল্কাপিন্ডের মতো আবির্ভূত হয়ে আপন দ্যুতি ছড়াতে ছড়াতে আকস্মিকভাবে যেন নিভে যান।
অবিসংবাদিত এই নেতা ১৯১৮ সালের ১ ফেব্রæয়ারী টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার মাইঠান গ্রামে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। (সূত্র: আজকের পত্রিকা)
																			



















