বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী ২ আগষ্ট
- প্রকাশের সময় : ০৯:৩৩:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ অগাস্ট ২০১৫
- / ১৯৩৬ বার পঠিত
ঢাকা: মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক রাষ্ট্রপতি, বিচারপিত আবু সাঈদ চৌধুরীর চৌধুরীর ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী ২ আগষ্ট। তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মরহুমের গ্রামের বাড়ী টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী জামে মসজিদে কুরআনখানি এবং মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী জাতীয় স্মৃতি সংসদ এ উপলক্ষে শিগগিরই স্মরণসভার আয়োজন করবে সংসদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর জন্ম ১৯২১ সালের ৫ জানুয়ারী। ১৯৪০ সালে তিনি কলকাতার বিখ্যাত প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন লাভ করেন। পরবর্তীতে ১৯৪২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ও আইনে ডিগ্রী অর্জন করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিন লন্ডন থেকে বার এট ল ডিগ্রীপ্রাপ্ত হন। ১৯৪৭ সালে কলকাতা হাইকোর্টে যোগদানের মধ্য দিয়ে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। ১৯৪৮ সালে দেশ বিভাগের পর তিনি ঢাকা হাইকোর্টে যোগ দেন এবং খ্যাতিমান আইনজীবি হিসেবে ১৯৬০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের এডভোকেট জেনারেল পদে যোগ দেন। ১৯৬১ সালের ৭ জুলাই তিনি ঢাকা হাইকোর্টের অতিরিক্ত জজ হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
১৯৬৯ সালে নিযুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিযুক্ত হন বিচারপতি চৌধুরী। এরপর ১৯৭১ সালের ১৫ মার্চ পাক হানাদার বাহিনীর গুলিবর্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন ছাত্র নিহত হওয়ার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে ভিসির পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। পরে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে মহান মুক্তি সংগ্রামের স্বপক্ষে বিশ্ব জনমত সংগঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন এবং ১৯৭১ সালের ২৪ এপ্রিল ‘দ্য কাউন্সিল ফর দ্য পিপলস রিপাবলিক অফ বাংলাদেশ ইন ইউকে’ গঠন করেন। পরবর্তীতে ১৯৭১-১৯৭২ সালে তিনি লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন।
স্বাধীনতার পর বিচারপতি চৌধুরী লন্ডন থেকে দেশে ফিরেন এবং ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন। তিনি বঙ্গবন্ধু সরকারেরও মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৮৫ সালে তিনি সর্বসম্মতিক্রমে জাতিসক্সঘ মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি নির্বাচিত হন।
ছাত্রজীবনে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী নিখিল বাংলা, মুসলিম ছাত্রলীগ এবং কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৬ সালে তিনি নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশন ব্রিটেন শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।