জাতীয় নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীরাও ভোট দিলেন
- প্রকাশের সময় : ০৮:২৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪
- / ১৫১ বার পঠিত
ইউএনএ, নিউইয়র্ক : নানা জল্পনা-কল্পনা আর বিএনপি সহ সমমনা দলগুলোর বিরোধীতার পরও অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের দ্বাদশ নির্বাচন। কোন কোন স্থানে সহিংসতার পরও উৎসবমুখর পরিবেশে রোববার (৭ জানুয়ারী) অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে অনেকেই দেশে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আবার অনেকে ভোট দিয়েছেন, অংশ নিয়েছেন দল সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা-কর্মী যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ গমন করেন এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ফরিদ আলম, কার্যকরী সদস্য ও গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগরে সাবেক সভাপতি হিন্দোল কাদের বাপ্পা, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র জাসদ (ইনু) এর সভাপতি দেওয়ান শাহেদ চৌধুরী প্রমুখ। খবর ইউএনএ’র।
এবারের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী, সাবেক এমপি ও সাপ্তাহিক ঠিকানার কর্ণধার এম এম শাহীন মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসন থেকে, যুক্তরাষ্ট্র জাসদ-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় জাসদ-এর উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আব্দুল মুসাব্বির মৌলভীবাজার-৩ (সদর ও রাজনগর উপজেলা) থেকে এবং ম্যারিল্যান্ড আওয়ামী লীগ নেতা জেড আই রাসেল ঢাকা-১৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছেন।
এদিকে রোববারের নির্বাচনকে ‘প্রহসনের নির্বাচন’ আখ্যায়িত করে ভোটের দিন অপরাহ্নে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন মৌলভীবাজার-২ আসনের (কুলাউড়া উপজেলা) সাবেক এমপি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এম শাহীন। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের আগে তিনি বলেন ‘এটাই আমার শেষ নির্বাচন’।
এম এম শাহীন প্রধান নির্বাচন কমিশন বরাবর প্রেরীত তার নির্বাচন থেকে প্রত্যাহার ঘোষণার পর
নিজ ফেসবুক পেজে কুলাউড়াবাসীদের উদ্দেশ্যে লিখেন-
‘প্রিয় কুলাউড়াবাসী
আসসালামু আলাইকুম/আদাব।
আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন, আজ (৭ জানুয়ারী রোববার) বিকেল তিনটায় আমি এই প্রহসনের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে প্রশাসনকে জানিয়ে নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি।
এমন ন্যক্কারজনক নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ, জাতি ও গণতন্ত্রের যে ক্ষতি হলো, তার মাশুল আমাদের গুনতে হবে দীর্ঘকালব্যাপী। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হয়ে ন্যায়ভিত্তিক, কল্যাণকর, সর্বস্তরর মানুষের জন্য যে কুলাউড়া গড়ার প্রত্যয় আমি আপনাদের কাছে করেছিলাম, কলঙ্কিত ভোটের মাধ্যমে তা সূচনালগ্নেই নস্যাৎ করে দিল কুচক্রীরা। আমি কুলাউড়াবাসীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
আমি আশা করি, এমন একদিন আসবে, যখন এসব অপশক্তির বিনাশ হবে, জনগণ তাদের ন্যায্য পাওনা বুঝে নেবে, তাদের প্রিয় মানুষকে কুলাউড়ার সত্যিকার সমৃদ্ধি অর্জনে মনোনীত করতে সক্ষম হবে। কারণ ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। সে পর্যন্ত আমরা আশায় বুক বাঁধলাম। সত্যের জয় হবেই, মজলুমের বিজয় আসবেই।’
এর আগে তিনি তার ফেসবুক পেজে তার ভেটারদের উদ্দেশ্যে লিখেন-
‘প্রিয় ভোটারবৃন্দ
সালাম/ আদাব
এটি আমার শেষ নির্বাচন। জীবনের বাকি সময়টা আপনাদের কল্যাণে বিলিয়ে দিতে চাই। উন্নয়নবঞ্চিত কুলাউড়াকে গড়তে চাই সমৃদ্ধশালী ও শান্তির জনপদ রূপে। তাই আপনাদের প্রতি আমার সর্বশেষ আকুল নিবেদন, পরিবারের সবাইসহ সোনালী আঁশ (পাট) প্রতীকে মূল্যবান ভোটটি দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করার মাধ্যমে স্বপ্নের বদলে দেয়া কুলাউড়া বিনির্মাণে অংশীদার হোন।মনে রাখবেন আপনাদের প্রতিটি ভোট আমার কাছে একেকটি আমানত।
প্রশাসনসহ সবাইকে আবারও ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা।’

















