বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন-২০২৪
সেলিম-আলী প্যানেল চুড়ান্ত : নোয়াখালীর সিদ্ধান্তহীনতায় থমকে আছে পাল্টা প্যানেল
- প্রকাশের সময় : ০১:১৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪
- / ১১৫ বার পঠিত
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের ‘আমব্রেলা’ সংগঠন হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটির আসন্ন নির্বাচন ঘিরে সদস্যপদ নবায়ন শেষ হয়েছে। গত ৩০ জুন রোববার ছিলো সদস্য নবায়নের শেষ দিন। এদিন উৎসবমুখর পরিবেশে সদস্য নবায়ন প্রক্রিয়া শেষ হয়। এদিনের হিসেবে নতুন ১৭ হাজার ১৮৭জন সদস্য ফরম নবায়ন করা হয়। এতে সোসাইটির আয় হয় ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৭৪০ ডলার। প্রাথমিক হিসেবে সোসাইটির মোট সদস্য হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৩০ জন। এরাই হবেন সোসাইটির ভোটার। এরমধ্যে আজীবন সদস্য ৮৫৩জন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী অক্টোবরে বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যকরী পরিষদের দ্বি-বার্ষিক (২০২৪-২০২৫) নির্বাচন। খবর ইউএনএ’র।
এদিকে সোসাইটির নির্বাচন ঘিরে কমিউনিটিতে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম ও সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে ‘সেলিম-আলী’ প্যানেল গঠন চুড়ান্ত হলেও বর্তমান সভাপতি ও গ্রেটার নোয়াখালী সোসাইটি ইউএসএ’র সাবেক সভাপতি আব্দুর রব মিয়ার নেতৃত্বাধীন নোয়াখালীবাসীর সিদ্ধান্তহীনতায় থমকে আছে পাল্টা প্যানেল। সংশ্লিস্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। উল্লেখ্য, গত নির্বাচনে সোসাইটির ভোটার ছিলেন ২৭ হাজার ৫৫০জন। অতীতের মতো এবারের নির্বাচনেও বৃহত্তর নোয়াখালীবাসী ছাড়াও বৃহত্তর সিলেটবাসী, চাঁদপুরবাসী, চট্টগ্রামবাসী ও মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুরবাসী সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠনগুলো নেপথ্যে ভূমিকাও গণ্য হচ্ছে।
জানা যায়, অগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি আব্দুর রব মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন সিদ্দিকীর নাম আলোচনায় রয়েছে। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে সোসাইটির সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী ছাড়াও বর্তমান কোষাধ্যক্ষ নওশেদ হোসেন, বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মিন্টুর নাম আলোচনায় উঠার পর এবার কমিউনিটির পরিচিত মুখ রেজাউল করীম চৌধুরীর নাম উঠে এসেছে।
জানা গেছে, নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরুর দিকে আতাউর রহমান সেলিম নিজেকে সভাপতি প্রার্থী করে সর্বাজনীনভাবে একটি প্যানেল গঠনের চেষ্টা করেছিলেন। এজন্য তিনি সোসাইটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা সহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনাও করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রস্তাব বা আলোচনা সংশ্লিস্টরা গুরুত্ব না দেওয়ায় তিনি বিকল্প হিসেবে মোহাম্মদ আলীকে সাথে নিয়ে নতুন করে প্যানেল ঘোষণার চিন্তা-ভাবনা করেন। এজন্য তিনি সদস্য নবায়ন বা ভোটার প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করেন এবং পরবর্তীকে ‘সেলিম-আলী’ প্যানেল চুড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। সোসাইটির সাথে সম্পৃক্ত একটি সূত্র জানায়, ভোটার প্রক্রিয়ায় ‘সেলিম-আলী’ প্যানেল ৫ হাজারের মতো ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। তার এই প্যানেলে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন অব আমেরিকা’র সাবেক সভাপতি কাজী আযম ও তরুণ রিয়েল এষ্টেট ব্যবসায়ী নাঈম টুটুল সহ আরো অনেকেই।
অপরদিকে সোসাইটির বর্তমান সভাপতি আব্দুর রব মিয়া নির্বাচন করবেন, কি করবেন না এমন দ্বিধা-দ্বন্দ্বের ফলে থমকে গেছে সম্ভাব্য পাল্টা প্যানেল গঠন প্রক্রিয়া। এনিয়ে ক্ষমতাসীন ‘রব-রুহুল’ প্যানেলে মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। এই প্যানেল থেকে সভাপতি পদে আব্দুর রব মিয়া অথবা সোসাইটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন সিদ্দিকী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জাহিদ মিন্টু অথবা সোসাইটির ক্রীড়া ও অ্যাপায়ন সম্পাদক মাইনুল উদ্দিন মাহবুব নাম আলোচনায় উঠে আসে। কিন্তু রব মিয়া, জাহিদ মিন্টু ও মাহবুব নোয়াখালী অঞ্চলের মানুষ হওয়ায় তাদের প্যানেল গঠনে সংশ্লিস্টরা সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। আবার সোসাইটির পর পর দুইবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় সোসাইটির গঠনতন্ত্র মোতবেক একই পদে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছেন না। সে ক্ষেত্রে তার বিকল্প হিসেবে সোসাইটির সাবেক সভাপতি মরহুম কামাল আহমেদের জনপ্রিয়তা কাজে লাগাতে তার পরিবারে কোন সদস্যকে নিয়ে প্যানেল গঠনের চিন্তা-ভাবনা করছেন। সে ক্ষেত্রে কামাল কন্যা রুমানা আহমেদের নাম আলোচিত হচ্ছে। তবে সংশ্লিস্ট সূত্র জানানায়, রব মিয়া পুনরায় নির্বাচন না করলে সেক্ষেত্রে ‘রুহুল-মিন্টু’ প্যানেল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অবার বিল্প হিসেবে ‘রব-নওশাদ’ প্যানেল হওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। নওশাদ হোসেন সিদ্দিকী সোসাইটির বর্তমান কোষাধ্যক্ষ এবং তিনি এই প্যানেলের পক্ষে ভোটার প্রক্রিয়ায় বিশেষ ভূমিকা রাখেন বলে জানা গেছে।
আরো উল্লেখ্য, সোসাইটির সোসাইটির সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এডভোকেট জামাল আহমেদ জনি পুনরায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ছেন। ৭ সদস্যের কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- আব্দুল হাকিম মিয়া, মোঃ আনোয়ার হোসেন, আব্দুল মান্নান, মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান বাদল ও আহবাব চৌধুরী খোকন।