নিউইয়র্ক ১০:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

পেরুর রাষ্ট্রপতির কাছে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি’র পরিচয়পত্র পেশ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৩০:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ২৭ বার পঠিত

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে সমবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে পরিচয়পত্র পেশ করলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। রাষ্ট্রদূত মুহিত পেরু প্রজাতন্ত্রের রাজধানী লিমায় ও পেরুর রাষ্ট্রপতির কার্যালয়-‘গভর্মেন্ট প্যালেস’-এ গত ৮ ফেব্রুয়ারী রাষ্ট্রপতি ডিনা বলুয়ারটি’র কাছে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত মুহিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে পেরুর রাষ্ট্রপতি ও জনগণকে শুভেচ্ছা জানান। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, ‘আমাদের অভিন্ন মূল্যবোধ এবং পারস্পরিক সুবিধার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও পেরুর মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব’।বাংলাদেশে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন যে, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য এটি উপযুক্ত মূহুর্ত। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ ও পেরুর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে। এছাড়া জাতিসংঘ ও বহুপাক্ষিক প্লাটফর্মের মাধ্যমে শান্তিরক্ষা, শান্তি বিনির্মাণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে এক সঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। পেরুর রাষ্ট্রপতি ডিনা বলুয়ারটি রাষ্ট্রদূত মুহিতের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করেন এবং তার মেয়াদে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।পরিচয়পত্র উপস্থাপনের পর, রাষ্ট্রদূত মুহিত পেরুর পররাষ্ট্র মন্ত্রী জাভিয়ের গঞ্জালেজ-ওলেচিয়া ফ্রাঙ্কো, বাণিজ্য ও পর্যটন মন্ত্রী জুয়ান কর্লস ম্যাথিউস এবং সশস্ত্র বাহিনীর জয়েন্ট কমান্ডের প্রধান জেনারেল ডেভিড জুইলিরমো ওজেদাপ্যারা’র সাথে সাক্ষাৎ করেন। রাষ্ট্রদূত মুহিত এশিয়া ও ওশেনিয়া দপ্তরের মহাপরিচালক এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য সরকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এই বৈঠকে উভয় পক্ষ ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর পাশাপাশি পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির সম্ভাব্য উপায় সম্পর্কে মতবিনিময় করেন। বিশেষ করে শান্তিরক্ষা এবং শান্তি বিনির্মাণে যেখানে বাংলাদেশ পেরুর সাথে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং প্রযুক্তি শেয়ার করতে পারে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি পেরুর সশস্ত্র বাহিনীকে একটি রিমোটলি ওপারেটেড ভাইকেল (আরওভি) প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যা MINUSCA (এমআইএনইউএসসিএ)-তে পেরুর শান্তিরক্ষীরা ব্যবহার করতে পারবে। আগামী এপ্রিলের কোনো এক সময় ঢাকায় এ হস্তান্তর অনুষ্ঠান হবে বলে আশা করা যায়।পেরু কর্তৃপক্ষ দেশীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রদূত মুহিত উল্লেখ করেন যে, নিয়মিত দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ, ব্যবসায়িক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়ানো যেতে পারে। দুই পক্ষই বাংলাদেশ ও পেরুর মধ্যে নিয়মিত রাজনৈতিক পরামর্শের জন্য দ্রুততার সাথে একটি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বিষয়ে ঐক্যমত্য পোষন করেন। যেমন, বাংলাদেশ এবং পেরুর মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি), যা দুই বন্ধু প্রতীম দেশের মধ্যে সামগ্রিক দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার অগ্রগতির জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হতে পারে। রাষ্ট্রদূত মুহিত দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ের প্রস্তাব দেন। পেরুর রাষ্ট্রপতি ও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান।

এ সময় রাষ্ট্রদূত মুহিতের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী রুবি পারভীন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের মিনিস্টার শাহানারা মনিকা। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

পেরুর রাষ্ট্রপতির কাছে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি’র পরিচয়পত্র পেশ

প্রকাশের সময় : ০৮:৩০:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে সমবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে পরিচয়পত্র পেশ করলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। রাষ্ট্রদূত মুহিত পেরু প্রজাতন্ত্রের রাজধানী লিমায় ও পেরুর রাষ্ট্রপতির কার্যালয়-‘গভর্মেন্ট প্যালেস’-এ গত ৮ ফেব্রুয়ারী রাষ্ট্রপতি ডিনা বলুয়ারটি’র কাছে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত মুহিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে পেরুর রাষ্ট্রপতি ও জনগণকে শুভেচ্ছা জানান। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, ‘আমাদের অভিন্ন মূল্যবোধ এবং পারস্পরিক সুবিধার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও পেরুর মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব’।বাংলাদেশে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন যে, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য এটি উপযুক্ত মূহুর্ত। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ ও পেরুর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে। এছাড়া জাতিসংঘ ও বহুপাক্ষিক প্লাটফর্মের মাধ্যমে শান্তিরক্ষা, শান্তি বিনির্মাণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে এক সঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। পেরুর রাষ্ট্রপতি ডিনা বলুয়ারটি রাষ্ট্রদূত মুহিতের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করেন এবং তার মেয়াদে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।পরিচয়পত্র উপস্থাপনের পর, রাষ্ট্রদূত মুহিত পেরুর পররাষ্ট্র মন্ত্রী জাভিয়ের গঞ্জালেজ-ওলেচিয়া ফ্রাঙ্কো, বাণিজ্য ও পর্যটন মন্ত্রী জুয়ান কর্লস ম্যাথিউস এবং সশস্ত্র বাহিনীর জয়েন্ট কমান্ডের প্রধান জেনারেল ডেভিড জুইলিরমো ওজেদাপ্যারা’র সাথে সাক্ষাৎ করেন। রাষ্ট্রদূত মুহিত এশিয়া ও ওশেনিয়া দপ্তরের মহাপরিচালক এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য সরকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এই বৈঠকে উভয় পক্ষ ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর পাশাপাশি পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির সম্ভাব্য উপায় সম্পর্কে মতবিনিময় করেন। বিশেষ করে শান্তিরক্ষা এবং শান্তি বিনির্মাণে যেখানে বাংলাদেশ পেরুর সাথে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং প্রযুক্তি শেয়ার করতে পারে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি পেরুর সশস্ত্র বাহিনীকে একটি রিমোটলি ওপারেটেড ভাইকেল (আরওভি) প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যা MINUSCA (এমআইএনইউএসসিএ)-তে পেরুর শান্তিরক্ষীরা ব্যবহার করতে পারবে। আগামী এপ্রিলের কোনো এক সময় ঢাকায় এ হস্তান্তর অনুষ্ঠান হবে বলে আশা করা যায়।পেরু কর্তৃপক্ষ দেশীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রদূত মুহিত উল্লেখ করেন যে, নিয়মিত দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ, ব্যবসায়িক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়ানো যেতে পারে। দুই পক্ষই বাংলাদেশ ও পেরুর মধ্যে নিয়মিত রাজনৈতিক পরামর্শের জন্য দ্রুততার সাথে একটি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বিষয়ে ঐক্যমত্য পোষন করেন। যেমন, বাংলাদেশ এবং পেরুর মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি), যা দুই বন্ধু প্রতীম দেশের মধ্যে সামগ্রিক দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার অগ্রগতির জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হতে পারে। রাষ্ট্রদূত মুহিত দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ের প্রস্তাব দেন। পেরুর রাষ্ট্রপতি ও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান।

এ সময় রাষ্ট্রদূত মুহিতের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী রুবি পারভীন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের মিনিস্টার শাহানারা মনিকা। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।