নিউইয়র্ক ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নবাগত ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৫১:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ২৬৮ বার পঠিত

ইউএনএ,নিউইয়র্ক : বর্ণাঢ্য আয়োজন আর উৎসবমুখর পরিবেশে ইউএস-বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (এইচ আর বিভাগ) ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৮ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় জ্যামাইকার আল আকসা পার্টি হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিলো শুভেচ্ছা বিনিময়, নবাগত কর্মকর্তা ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ফুল দিয়ে বরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নৈশভোজ প্রভৃতি। এতে সিটির এইচ আর বিভাগে কর্মরত দুই শতাধিক কর্মকর্তা ও তাদের পরিবার সহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। খবর ইউএনএ’র।

ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নিউইয়র্ক সিটি মেয়র অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাংলাদেশী-আমেরিকান মীর বাসার, বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন লীডার এন্থনী ওয়েলস ও সাপ্তাহিক বাঙালী সম্পাদক কৌশিক আহমেদ। যৌথভাবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এইচ আর বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর বাংলাদেশী-আমেরিকান রুহুল কদ্দুস ও রহিমা বেগম। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠান আয়োজকদের অন্যতম জাহাঙ্গীর আহমেদ।

অনুষ্ঠানে মেয়র অফিসের পক্ষ থেকে প্রদত্ত প্রোক্লেমশান হস্তান্তর করেন প্রধান অতিথি মীর বাসার। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইব্রাহীম ভূইয়া, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস এসোসিয়েশন ইউএসএ’র সভাপতি ডা. নাফিজুর রহমান, উপদেষ্টা মোমেন ভূইয়া প্রমুখ। সমাপনি বক্তব্য রাখেন আয়োজকদের অন্যতম আনোয়ার পারভেজ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মঞ্জুর কাদের, নূপুর চৌধুরী ও আব্দুল জলিল।

জনপ্রিয় সঙ্গীত ‘আগুণের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে…..’ গান দিয়ে শুরু অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে পুথিপাঠ করেন আরেক কর্মকর্তা অবনি কুন্ড এবং আবৃত্তি করেন মুমু আনসারী। এছাড়াও প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী শাহ মাহবুব সহ নতুন প্রজন্ম ও স্থানীয় শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এক সময় ছিলো সিটি প্রশাসনে কোন বাংলাদেশীর খোঁজখবর ছিলো না। প্রথম প্রথম যারা সিটি জবে যোগ দিয়েছেন তারা বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য অফিসে কোন লোক পেতেন না। আর এখন অর্থাৎ গত ৫/১০ বছরে হাজারো বাংলাদেশী কাজ করছেন। অনেকে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে পদোন্নতি পাচ্ছেন, কেউ কেউ ডেপুটি ডিরেক্টর পদ অলংকৃত করেছেন। সময় আসছে সিটির বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্ব নেয়ার। বক্তারা বলেন, সময় বেশী দূরে নয়, যেদিন সিটির বিভিন্ন বিভাগের নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশী-আমেরিকানরা।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নবাগত ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ

প্রকাশের সময় : ০৮:৫১:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪

ইউএনএ,নিউইয়র্ক : বর্ণাঢ্য আয়োজন আর উৎসবমুখর পরিবেশে ইউএস-বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (এইচ আর বিভাগ) ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৮ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় জ্যামাইকার আল আকসা পার্টি হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিলো শুভেচ্ছা বিনিময়, নবাগত কর্মকর্তা ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ফুল দিয়ে বরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নৈশভোজ প্রভৃতি। এতে সিটির এইচ আর বিভাগে কর্মরত দুই শতাধিক কর্মকর্তা ও তাদের পরিবার সহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। খবর ইউএনএ’র।

ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নিউইয়র্ক সিটি মেয়র অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাংলাদেশী-আমেরিকান মীর বাসার, বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন লীডার এন্থনী ওয়েলস ও সাপ্তাহিক বাঙালী সম্পাদক কৌশিক আহমেদ। যৌথভাবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এইচ আর বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর বাংলাদেশী-আমেরিকান রুহুল কদ্দুস ও রহিমা বেগম। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠান আয়োজকদের অন্যতম জাহাঙ্গীর আহমেদ।

অনুষ্ঠানে মেয়র অফিসের পক্ষ থেকে প্রদত্ত প্রোক্লেমশান হস্তান্তর করেন প্রধান অতিথি মীর বাসার। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইব্রাহীম ভূইয়া, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস এসোসিয়েশন ইউএসএ’র সভাপতি ডা. নাফিজুর রহমান, উপদেষ্টা মোমেন ভূইয়া প্রমুখ। সমাপনি বক্তব্য রাখেন আয়োজকদের অন্যতম আনোয়ার পারভেজ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মঞ্জুর কাদের, নূপুর চৌধুরী ও আব্দুল জলিল।

জনপ্রিয় সঙ্গীত ‘আগুণের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে…..’ গান দিয়ে শুরু অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে পুথিপাঠ করেন আরেক কর্মকর্তা অবনি কুন্ড এবং আবৃত্তি করেন মুমু আনসারী। এছাড়াও প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী শাহ মাহবুব সহ নতুন প্রজন্ম ও স্থানীয় শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এক সময় ছিলো সিটি প্রশাসনে কোন বাংলাদেশীর খোঁজখবর ছিলো না। প্রথম প্রথম যারা সিটি জবে যোগ দিয়েছেন তারা বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য অফিসে কোন লোক পেতেন না। আর এখন অর্থাৎ গত ৫/১০ বছরে হাজারো বাংলাদেশী কাজ করছেন। অনেকে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে পদোন্নতি পাচ্ছেন, কেউ কেউ ডেপুটি ডিরেক্টর পদ অলংকৃত করেছেন। সময় আসছে সিটির বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্ব নেয়ার। বক্তারা বলেন, সময় বেশী দূরে নয়, যেদিন সিটির বিভিন্ন বিভাগের নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশী-আমেরিকানরা।