নিউইয়র্ক ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

‘নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা’ ২৪-২৭ মে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:১৫:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৯ বার পঠিত

‘যত বই তত প্রাণ’ এই শ্লোগানে আগামী ২৪-২৭ মে ৩৩ তম ‘নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা’ অনুষ্ঠিত হবে। নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্ট সেন্টারে এই বইমেলা’ অনুষ্ঠিত হবে। রোববার (২৮ জানুয়ারী) দুপুরে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এবারের মেলা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। মেলা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জানান, মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারপারসন নিনি ওয়াহেদ, প্রাক্তন চেয়ারপার্সন ফেরদৌস সাজেদীন, নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলার সাবেক আহ্বায়ক সৌউদ চৌধুরী এবং গোলাম ফারুক ভূঁইয়া। কার্যনির্বাহী সদস্য রানু ফেরদৌস, ওবায়দুল্লাহ মামুন, সেমন্তী ওয়াহেদ এবং প্রচার সম্পাদক তোফাজ্জল লিটন।

জ্যাকসন হাইটসের একটি মিলনায়তনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বইমেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. নূরুন নবী ও আহবায়ক হাসান ফেরদৌস। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মেলার সাবেক আহ্বায়ক ফেরদৌস সাজেদীন, গোলাম ফারুক ভূইয়া, নিনি ওয়াহেদ, সউদ চৌধুরী, রানু ফেরদৌস, নতুন প্রজন্মের সেমন্তী ওয়াহেদ ও মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারী বিশ্বজিত সাহা।

সভায় বলা হয়, প্রবাসের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন মুক্তধারার আয়োজনে গত তিন দশকের বেশি ধরে অনুষ্ঠিত নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলা বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বাইরে সর্ববৃহৎ বাংলা বইমেলা ও বাংলা ভাষা ও সাহিত্য সম্মেলন হিসাবে ইতোমধ্যেই সর্বত্র আদৃত হয়েছে। বিগত ঐতিহ্য অনুসরণ করে ৩৩তম আসরেও বাংলা ভাষার সেরা লেখক এবং উভয় বাংলার জনপ্রিয় প্রকাশকবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন। মেলায় নিউইয়র্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরের সাহিত্য সংগঠনকেও তাদের প্রকাশিত নতুন গ্রন্থ প্রদর্শনীর জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। মেলাটি সফল করতে সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়।

মতবিনিময় সভায় মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ড. নুরুন নবী বলেন, ৩২ বছর আগে শুরু হওয়া বইমেলা এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নতি হয়েছে। গত বছর অজস্র দর্শকের অনুরোধে বইমেলার নতুন নাম করা হয়েছে নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বই মেলা। ঢাকা ও কলকাতার পর, বাংলা বইয়ের সবচেয়ে বড় এই মেলায় এবার বিশ্বের অন্তত ১০ টি দেশ থেকে লেখক পাঠক এবং প্রকাশক অংশ নেবেন।

মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের সিইও বিশ্বজিত সাহা বলেন, বাংলাদেশ, কলকাতাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অন্তত ৩০টি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নেবে। এই বই মেলায় প্রায় ২ হাজারেরও অধিক নতুন বই পাবেন পাঠকরা। মেলায় প্রতিবারের মতো এবারো থাকবে সেমিনার, কবিতা পাঠ, বই পরিচিতি, নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

৩৩তম নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলার আহবায়ক হাসান ফেরদৌস বলেন, এবার মেলায় নতুন যুক্ত হবে উন্মুক্ত প্রাঙ্গনে গানের আসর, প্রদর্শিত হবে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, তারুণ্যের উৎসব নামে নতুন প্রজন্মের জন্য থাকবে পুরো একটি দিন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য মেলার পক্ষ থেকে দেয়া হবে জিএফবি-মুক্তধারা সাহিত্য পুরস্কার। এছাড়া প্রবাসী লেখকদের জন্য দেয়া হবে শহীদ কাদরী স্মৃতি পুরস্কার।

এক প্রশ্নের উত্তরে আয়োজকরা বলেন, প্রবাসীদর অংশগ্রহন ছাড়াও নতুন প্রজন্মকে আরো ব্যাপকভাবে বইমেলায় সম্পৃক্ত করাই এবারের মূল লক্ষ্য। এছাড়াও মেলার ভালোমন্দ নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের মতামত নেয়া হয়।

উল্লেখ্য, বিগত মেলার মতো এবারের ৩৩তম মেলাতেও বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে ‘জি এফ বি/মুক্তধারা সাহিত্য পুরষ্কার’ দেওয়া হবে। এই পুরষ্কারের মূল্যমান ৩,০০০ ইউএস ডলার। ইতিপূর্বে যারা এই পুরষ্কার পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন নির্মলেন্দু গুণ, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, দিলারা হাশেম, শামসুজ্জামান খান ও আসাদ চৌধুরী। এছাড়াও মেলায় অংশগ্রহণকারী সেরা প্রকাশককে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা প্রকাশক পুরষ্কার’ প্রদান করা হবে। এই পুরষ্কারের মূল্যমান হবে ৫০০ ইউএস ডলার।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

‘নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা’ ২৪-২৭ মে

প্রকাশের সময় : ০৯:১৫:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

‘যত বই তত প্রাণ’ এই শ্লোগানে আগামী ২৪-২৭ মে ৩৩ তম ‘নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা’ অনুষ্ঠিত হবে। নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্ট সেন্টারে এই বইমেলা’ অনুষ্ঠিত হবে। রোববার (২৮ জানুয়ারী) দুপুরে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এবারের মেলা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। মেলা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জানান, মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারপারসন নিনি ওয়াহেদ, প্রাক্তন চেয়ারপার্সন ফেরদৌস সাজেদীন, নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলার সাবেক আহ্বায়ক সৌউদ চৌধুরী এবং গোলাম ফারুক ভূঁইয়া। কার্যনির্বাহী সদস্য রানু ফেরদৌস, ওবায়দুল্লাহ মামুন, সেমন্তী ওয়াহেদ এবং প্রচার সম্পাদক তোফাজ্জল লিটন।

জ্যাকসন হাইটসের একটি মিলনায়তনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বইমেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. নূরুন নবী ও আহবায়ক হাসান ফেরদৌস। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মেলার সাবেক আহ্বায়ক ফেরদৌস সাজেদীন, গোলাম ফারুক ভূইয়া, নিনি ওয়াহেদ, সউদ চৌধুরী, রানু ফেরদৌস, নতুন প্রজন্মের সেমন্তী ওয়াহেদ ও মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারী বিশ্বজিত সাহা।

সভায় বলা হয়, প্রবাসের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন মুক্তধারার আয়োজনে গত তিন দশকের বেশি ধরে অনুষ্ঠিত নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলা বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বাইরে সর্ববৃহৎ বাংলা বইমেলা ও বাংলা ভাষা ও সাহিত্য সম্মেলন হিসাবে ইতোমধ্যেই সর্বত্র আদৃত হয়েছে। বিগত ঐতিহ্য অনুসরণ করে ৩৩তম আসরেও বাংলা ভাষার সেরা লেখক এবং উভয় বাংলার জনপ্রিয় প্রকাশকবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন। মেলায় নিউইয়র্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরের সাহিত্য সংগঠনকেও তাদের প্রকাশিত নতুন গ্রন্থ প্রদর্শনীর জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। মেলাটি সফল করতে সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়।

মতবিনিময় সভায় মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ড. নুরুন নবী বলেন, ৩২ বছর আগে শুরু হওয়া বইমেলা এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নতি হয়েছে। গত বছর অজস্র দর্শকের অনুরোধে বইমেলার নতুন নাম করা হয়েছে নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বই মেলা। ঢাকা ও কলকাতার পর, বাংলা বইয়ের সবচেয়ে বড় এই মেলায় এবার বিশ্বের অন্তত ১০ টি দেশ থেকে লেখক পাঠক এবং প্রকাশক অংশ নেবেন।

মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের সিইও বিশ্বজিত সাহা বলেন, বাংলাদেশ, কলকাতাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অন্তত ৩০টি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নেবে। এই বই মেলায় প্রায় ২ হাজারেরও অধিক নতুন বই পাবেন পাঠকরা। মেলায় প্রতিবারের মতো এবারো থাকবে সেমিনার, কবিতা পাঠ, বই পরিচিতি, নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

৩৩তম নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলার আহবায়ক হাসান ফেরদৌস বলেন, এবার মেলায় নতুন যুক্ত হবে উন্মুক্ত প্রাঙ্গনে গানের আসর, প্রদর্শিত হবে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, তারুণ্যের উৎসব নামে নতুন প্রজন্মের জন্য থাকবে পুরো একটি দিন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য মেলার পক্ষ থেকে দেয়া হবে জিএফবি-মুক্তধারা সাহিত্য পুরস্কার। এছাড়া প্রবাসী লেখকদের জন্য দেয়া হবে শহীদ কাদরী স্মৃতি পুরস্কার।

এক প্রশ্নের উত্তরে আয়োজকরা বলেন, প্রবাসীদর অংশগ্রহন ছাড়াও নতুন প্রজন্মকে আরো ব্যাপকভাবে বইমেলায় সম্পৃক্ত করাই এবারের মূল লক্ষ্য। এছাড়াও মেলার ভালোমন্দ নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের মতামত নেয়া হয়।

উল্লেখ্য, বিগত মেলার মতো এবারের ৩৩তম মেলাতেও বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে ‘জি এফ বি/মুক্তধারা সাহিত্য পুরষ্কার’ দেওয়া হবে। এই পুরষ্কারের মূল্যমান ৩,০০০ ইউএস ডলার। ইতিপূর্বে যারা এই পুরষ্কার পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন নির্মলেন্দু গুণ, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, দিলারা হাশেম, শামসুজ্জামান খান ও আসাদ চৌধুরী। এছাড়াও মেলায় অংশগ্রহণকারী সেরা প্রকাশককে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা প্রকাশক পুরষ্কার’ প্রদান করা হবে। এই পুরষ্কারের মূল্যমান হবে ৫০০ ইউএস ডলার।