নিউইয়র্ক ০২:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জ্যাকসন হাইটসে ‘মেমোরি অব বাংলাদেশ’ ম্যুরাল’র উপর হোমকেয়ার বিজ্ঞাপন

হককথা ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৮:০২:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১৭৬ বার পঠিত

জ্যাকসন হাইটসে ডাইভারসিটি প্লাজা সংলগ্ন একটি রেস্টুরেন্টের দেয়ালে আঁকা ‘সেলিব্রেশন অব ডাইভারসিটি : মেমোরি অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক ম্যুরালটির উপড় সাটানো হয়েছে হোমকেয়ারের বিজ্ঞাপন। ম্যুরাল আঁকার আগে সেখানে কখনোই কোনো বিজ্ঞাপন ছিল না। এখন এটি ঢাকা পড়েছে বাংলাদেশী মালিকানাধীন একটি হোমকেয়ারের বিজ্ঞাপনে। লোভে নাকি কোনো মহলের চাপে পড়ে রেস্টুরেন্টটির বাংলাদেশী মালিক ম্যুরালটিকে ধ্বংস করছেন তা নিয়ে নানান কথা শোনা যাচ্ছে। রেস্টুরেন্টটির মালিক বাংলাদেশী হলেও ভবনটির মালিক একজন পাকিস্তানী। রেস্টুরেন্ট মালিক একবারও ভাবেননি তার মাতৃভূমির কৃষ্টি-সংস্কৃতির কথা। মূল্যায়ন করেননি একজন শিল্পীর শিল্পকর্মকে। ওয়াল ভাড়া দিয়েছেন। এনিয়ে সচেতন প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। জানা যায়, গত বছর ১৯ মে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ম্যুরাল উদ্বোধন করেন সিটি কাউন্সিল মেম্বার শেখর কৃষ্ণান। ম্যুরালটিতে বাংলাদেশের চিরায়ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য তুলে ধরেছেন শিল্পী জিহান ওয়াজেদ। বাংলাদেশের রূপ, গন্ধ সুষমার ছোঁয়া রয়েছে ম্যুরালটিতে। ভাসমান নৌকা থেকে ঝিলের পানিতে ফুটন্ত জাতীয় ফুল শাপলা তুলছে এক তরুণী। গ্রাম-বাংলার এমন দৃশ্য আপ্লুত করছে অনেককেই। উদ্বোধনের পর প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ ভীড় করছেন ম্যুরালটি দেখতে। অনেকে ছবি দিচ্ছেন ফেসবুকে। ম্যুরালটির উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান, নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান স্টিভেন রাগা, জেসিকা রোজাস প্রমুখ। কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান ডাইভারসিটি প্লাজার মুর‌্যালটি জ্যাকসন হাইটস এলাকার সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করেছে এবং নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করেছে বলে উল্লেখ করেন।

নগরবাসীর মানসিক উৎকর্ষতা ও সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য নির্ভইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষ সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, হাসপাতাল ও বিনোদন কেন্দ্রে ম্যুরাল তৈরি করছে। কোন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি উদ্যোগে ম্যুরাল তৈরি করলেও সিটি কর্তৃপক্ষ তাতে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করে থাকে। যে সব কমিউনিটি যত সংস্কৃতি ও রুচিবান তাদের মাঝে এ ধরনের শিল্প কর্মের চাহিদা ও মর্যাদা রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি কমিউনিটিই তাদের দেশ- সমাজ ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্য বহুজাতিক এ নগরীতে বিভিন্ন ধরনের ম্যুরাল ও শিল্পকর্ম স্থাপন করছেন। অতি সম্প্রতি বাংলাদেশি কমিউনিটিতে এ ধরনের উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কুইন্সের জ্যাকসন হাইটসের ডাইর্ভাসিটি প্লাজা এবং জ্যামাইকা হিলসাইডে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরতে এধরনের দুটি ম্যুরাল এঁকেছেন নতুন প্রজন্মের প্রতিভান শিল্পী জিহান ওয়াজেদ। ড্রাইভার্সিটি প্লাজার ম্যুরালটি আঁকার জন্য তাকে অনুরোধ করেন স্থানীয় কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান। ম্যুরালটির উদ্বোধনীতে তিনিই ছিলেন প্রধান অতিথি। ‘মেমোরি অব বাংলাদেশ’ ম্যুরালটি দেখতে অনেকেই আসেন দূর-দূরান্ত থেকে। ম্যুরালের সাথে ছবি তুলেন। স্মরণ করেন নিজ দেশ ও তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যকে।

‘ম্যুরালটি বিজ্ঞাপনে ঢেকে দেয়া একজন শিল্পীর জন্য কষ্টের। এর মধ্য দিয়ে শিল্পীসত্ত্বাকে অপমান করা হয়েছে। একটি ম্যুরাল কখনো স্বল্প সময়ের জন্য আঁকা হয় না। বাংলাদেশী-আমেরিকান তরুণ শিল্পী জিহান ওয়াজেদ। সামান্য লোভে এ ধরনের অরুচিকর কাজের জন্য কমিউনিটিক বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই করছেন কঠোর সমালোচনা। বন্ধু রেস্টুরেন্ট মালিকই নয় হোমকেয়ারের মালিক যিনি বিজ্ঞাপনটি দিয়েছেন তার রুচি ও মনমানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। ম্যুরালটি কলংকিত করার মধ্য দিয়ে সিটির সৌন্দর্য্য বর্ধন কমসূচিকে অবমাননা করেছেন তারা। বাংলাদেশী কমিউনিটিতে নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করা এবং বাংলাদেশী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কথা যারা বলেনÑ তাদের উচিত হবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার। এ ব্যাপারে জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন (জেবিবিএ) এর কার্যকর ভূমিকা দেখতে চান সচেতন প্রবাসী বাংলাদেশীরা।

শুধু জ্যাকসন হাইটস নয়, জিহান ওয়াজেদ নিউইয়র্কের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনায় মূর‌্যাল এঁকে মূলধারার শিল্পকর্মে নিজের অবস্থান সংহত করার পাশাপাশি কুঁড়িয়ে চলেছেন সুনাম। অতি সম্প্রতি নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আকর্ষনীয় একটি মুর‌্যাল একেঁছেন জিহান। জিহানের শিল্প কর্মের মধ্যে নিউইয়র্ক সিটি হেলথ এন্ড হসপিটাল বিভাগের কুইন্স হাসপাতালে বারো’শ পঞ্চাশ বর্গফুটের বিশালকায় ‘রুটস অফ মেডিসিন’ ম্যুরাল, নিউইয়র্ক সিটির এস্টোরিয়ার ই্স্ট রিভার তীরেও ‘এ সিটি ইন মোশন’ নামে একটি ম্যুরাল এঁকেছেন জিহান। হল্টারস পয়েন্ট মেগা ডেভেলপমেন্টে ৭৫০ ফুটের এই ম্যুরালটির স্থিরচিত্র সচল হয়ে উঠে মোবাইল অ্যাপসে। আকর্ষনীয় ভিন্নমাত্রিক আঙ্গিকে আঁকা দৃষ্টিন্দন মুর‌্যালটি ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছে।

এদিকে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল সিবিএস মূর‌্যালটি নিয়ে জিহান ওয়াজেদের একটি সাক্ষাতকার প্রচার করেছে। এছাড়া ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ভবন, নিউইয়র্ক ইন্টারন্যাশনাল স্পোর্টস কমপ্লেক্স, বিলি জিন কিং ন্যাশনাল টেনিস সেন্টার, এস্টোরিয়ায় ১৭৭ ফিট দীর্ঘ ম্যুরাল ‘ওয়েলকাম এস্টোরিয়া’ মুর‌্যাল এবং সিটিতে বাংলাদেশিদের প্রাণকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় ‘বাংলাদেশ ম্যুরাল’ অন্যতম। এছাড়া সিটির বিভিন্ন স্থানে তার শিল্পকর্ম রয়েছে। একজন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত শিল্পী হিসাবে জিহান বাংলাদেশের সুনাম বয়ে আনছে। অথচ ডাইভারসিটি প্লাজায় ‘সেলিব্রেশন অব ডাইভারসিটি : মেমোরি অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক ম্যুরালটি ধ্বংস করা হচ্ছে। এটি একটি নিন্দনীয় কাজ বলে মনে করছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

জ্যাকসন হাইটসে ‘মেমোরি অব বাংলাদেশ’ ম্যুরাল’র উপর হোমকেয়ার বিজ্ঞাপন

প্রকাশের সময় : ০৮:০২:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪

জ্যাকসন হাইটসে ডাইভারসিটি প্লাজা সংলগ্ন একটি রেস্টুরেন্টের দেয়ালে আঁকা ‘সেলিব্রেশন অব ডাইভারসিটি : মেমোরি অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক ম্যুরালটির উপড় সাটানো হয়েছে হোমকেয়ারের বিজ্ঞাপন। ম্যুরাল আঁকার আগে সেখানে কখনোই কোনো বিজ্ঞাপন ছিল না। এখন এটি ঢাকা পড়েছে বাংলাদেশী মালিকানাধীন একটি হোমকেয়ারের বিজ্ঞাপনে। লোভে নাকি কোনো মহলের চাপে পড়ে রেস্টুরেন্টটির বাংলাদেশী মালিক ম্যুরালটিকে ধ্বংস করছেন তা নিয়ে নানান কথা শোনা যাচ্ছে। রেস্টুরেন্টটির মালিক বাংলাদেশী হলেও ভবনটির মালিক একজন পাকিস্তানী। রেস্টুরেন্ট মালিক একবারও ভাবেননি তার মাতৃভূমির কৃষ্টি-সংস্কৃতির কথা। মূল্যায়ন করেননি একজন শিল্পীর শিল্পকর্মকে। ওয়াল ভাড়া দিয়েছেন। এনিয়ে সচেতন প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। জানা যায়, গত বছর ১৯ মে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ম্যুরাল উদ্বোধন করেন সিটি কাউন্সিল মেম্বার শেখর কৃষ্ণান। ম্যুরালটিতে বাংলাদেশের চিরায়ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য তুলে ধরেছেন শিল্পী জিহান ওয়াজেদ। বাংলাদেশের রূপ, গন্ধ সুষমার ছোঁয়া রয়েছে ম্যুরালটিতে। ভাসমান নৌকা থেকে ঝিলের পানিতে ফুটন্ত জাতীয় ফুল শাপলা তুলছে এক তরুণী। গ্রাম-বাংলার এমন দৃশ্য আপ্লুত করছে অনেককেই। উদ্বোধনের পর প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ ভীড় করছেন ম্যুরালটি দেখতে। অনেকে ছবি দিচ্ছেন ফেসবুকে। ম্যুরালটির উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান, নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান স্টিভেন রাগা, জেসিকা রোজাস প্রমুখ। কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান ডাইভারসিটি প্লাজার মুর‌্যালটি জ্যাকসন হাইটস এলাকার সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করেছে এবং নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করেছে বলে উল্লেখ করেন।

নগরবাসীর মানসিক উৎকর্ষতা ও সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য নির্ভইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষ সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, হাসপাতাল ও বিনোদন কেন্দ্রে ম্যুরাল তৈরি করছে। কোন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি উদ্যোগে ম্যুরাল তৈরি করলেও সিটি কর্তৃপক্ষ তাতে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করে থাকে। যে সব কমিউনিটি যত সংস্কৃতি ও রুচিবান তাদের মাঝে এ ধরনের শিল্প কর্মের চাহিদা ও মর্যাদা রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি কমিউনিটিই তাদের দেশ- সমাজ ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্য বহুজাতিক এ নগরীতে বিভিন্ন ধরনের ম্যুরাল ও শিল্পকর্ম স্থাপন করছেন। অতি সম্প্রতি বাংলাদেশি কমিউনিটিতে এ ধরনের উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কুইন্সের জ্যাকসন হাইটসের ডাইর্ভাসিটি প্লাজা এবং জ্যামাইকা হিলসাইডে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরতে এধরনের দুটি ম্যুরাল এঁকেছেন নতুন প্রজন্মের প্রতিভান শিল্পী জিহান ওয়াজেদ। ড্রাইভার্সিটি প্লাজার ম্যুরালটি আঁকার জন্য তাকে অনুরোধ করেন স্থানীয় কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান। ম্যুরালটির উদ্বোধনীতে তিনিই ছিলেন প্রধান অতিথি। ‘মেমোরি অব বাংলাদেশ’ ম্যুরালটি দেখতে অনেকেই আসেন দূর-দূরান্ত থেকে। ম্যুরালের সাথে ছবি তুলেন। স্মরণ করেন নিজ দেশ ও তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যকে।

‘ম্যুরালটি বিজ্ঞাপনে ঢেকে দেয়া একজন শিল্পীর জন্য কষ্টের। এর মধ্য দিয়ে শিল্পীসত্ত্বাকে অপমান করা হয়েছে। একটি ম্যুরাল কখনো স্বল্প সময়ের জন্য আঁকা হয় না। বাংলাদেশী-আমেরিকান তরুণ শিল্পী জিহান ওয়াজেদ। সামান্য লোভে এ ধরনের অরুচিকর কাজের জন্য কমিউনিটিক বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই করছেন কঠোর সমালোচনা। বন্ধু রেস্টুরেন্ট মালিকই নয় হোমকেয়ারের মালিক যিনি বিজ্ঞাপনটি দিয়েছেন তার রুচি ও মনমানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। ম্যুরালটি কলংকিত করার মধ্য দিয়ে সিটির সৌন্দর্য্য বর্ধন কমসূচিকে অবমাননা করেছেন তারা। বাংলাদেশী কমিউনিটিতে নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করা এবং বাংলাদেশী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কথা যারা বলেনÑ তাদের উচিত হবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার। এ ব্যাপারে জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন (জেবিবিএ) এর কার্যকর ভূমিকা দেখতে চান সচেতন প্রবাসী বাংলাদেশীরা।

শুধু জ্যাকসন হাইটস নয়, জিহান ওয়াজেদ নিউইয়র্কের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনায় মূর‌্যাল এঁকে মূলধারার শিল্পকর্মে নিজের অবস্থান সংহত করার পাশাপাশি কুঁড়িয়ে চলেছেন সুনাম। অতি সম্প্রতি নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আকর্ষনীয় একটি মুর‌্যাল একেঁছেন জিহান। জিহানের শিল্প কর্মের মধ্যে নিউইয়র্ক সিটি হেলথ এন্ড হসপিটাল বিভাগের কুইন্স হাসপাতালে বারো’শ পঞ্চাশ বর্গফুটের বিশালকায় ‘রুটস অফ মেডিসিন’ ম্যুরাল, নিউইয়র্ক সিটির এস্টোরিয়ার ই্স্ট রিভার তীরেও ‘এ সিটি ইন মোশন’ নামে একটি ম্যুরাল এঁকেছেন জিহান। হল্টারস পয়েন্ট মেগা ডেভেলপমেন্টে ৭৫০ ফুটের এই ম্যুরালটির স্থিরচিত্র সচল হয়ে উঠে মোবাইল অ্যাপসে। আকর্ষনীয় ভিন্নমাত্রিক আঙ্গিকে আঁকা দৃষ্টিন্দন মুর‌্যালটি ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছে।

এদিকে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল সিবিএস মূর‌্যালটি নিয়ে জিহান ওয়াজেদের একটি সাক্ষাতকার প্রচার করেছে। এছাড়া ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ভবন, নিউইয়র্ক ইন্টারন্যাশনাল স্পোর্টস কমপ্লেক্স, বিলি জিন কিং ন্যাশনাল টেনিস সেন্টার, এস্টোরিয়ায় ১৭৭ ফিট দীর্ঘ ম্যুরাল ‘ওয়েলকাম এস্টোরিয়া’ মুর‌্যাল এবং সিটিতে বাংলাদেশিদের প্রাণকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় ‘বাংলাদেশ ম্যুরাল’ অন্যতম। এছাড়া সিটির বিভিন্ন স্থানে তার শিল্পকর্ম রয়েছে। একজন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত শিল্পী হিসাবে জিহান বাংলাদেশের সুনাম বয়ে আনছে। অথচ ডাইভারসিটি প্লাজায় ‘সেলিব্রেশন অব ডাইভারসিটি : মেমোরি অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক ম্যুরালটি ধ্বংস করা হচ্ছে। এটি একটি নিন্দনীয় কাজ বলে মনে করছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা।