নিউইয়র্কে পৃথক পৃথক সমাবেশ : গায়েবানা জানাজা : কনস্যুলেটে স্মারকিলিপি পেশ
বাংলাদেশে চলমান কোটা আন্দোলনের প্রতি প্রবাসীদের সমর্থন
- প্রকাশের সময় : ১১:৫৮:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪
- / ২৫১ বার পঠিত
বাংলাদেশের চলমান কোটা আন্দোলন এবং সহিংসতার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। আন্দোলনের সমর্থনে নিউইয়র্কে পৃথক পৃথক আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, গায়েবানা জানাজা, মানববন্ধন, সমাবেশ এবং বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল অফিসে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
প্রবাসী নাগরিক সমাজ, নিউইয়র্কের ব্যানারে মঙ্গলবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় আয়োজিত সমাবেশ থেকে কোটা আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানান প্রবাসী বাংলাদেশীরা। সমাবেশ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় নিহতের ঘটনায়। নিহতদের স্মরণে সমাবেশে গায়েবানা জানাজাও হয়। সমাবেশে অধ্যাপক ড. শওকত আলী, আব্দুল লতিফ সম্রাট, রিটা রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরহাদ খান, গোলাম ফারুক শাহীন, অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সাঈদুর রহমান সাঈদ, হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, আহবাব চৌধুরী খোকন, বদরুল হক আজাদ, জাহাঙ্গীর সোহরাওয়ার্দী, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে অনুষ্ঠিত গায়েবানা জানাজায় ইমামতি ও বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন আব্দুল লতিফ সম্রাট। এছাড়াও সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা স্থানীয় ৭৩ ষ্ট্রীটে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
এদিকে বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল অফিসের সামনে সচেতন প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক-এর ব্যানারে মানববন্ধনের ও প্রতিবাদ সমাবেশের আনুষ্ঠিত হয়। প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে প্রবাসের নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিরা দেশে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের উপর নির্যাতন এবং নিহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সমাবেশ থেকে কোটা সংস্কারের দাবী মেনে নিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে ক্লাসে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানানো হয়। অন্যথায় প্রবাসী রেমিটেন্স পাঠানো বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয় তারা। সমাবেশে ফাহাদ হোসেন, ওসমান গনি, আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশ শেষে বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল অফিসে একটি স্মারকলিপিও প্রদান করা হয়। কনস্যুলেটের ভাইস কনসাল আসিফ স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালের কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে চলছে দেশের সরকারি চাকুরির নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি। মুক্তিযোদ্ধা জেলা কোঠা এবং প্রতিবন্ধী কোটা বাদে সাধারণ শিক্ষার্থীরা শতকরা ৪৬ ভাগ সরকারী চাকুরির সুযোগ পাচ্ছেন। এ নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে কোটা বিরোধী আন্দোলন চলে আসলেও হয়নি কোন সুরাহা। বরং আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে বিষয়টি। দেশবাসীর মতো প্রবাসী বাংলাদেশীরাও কোটা সমস্যার যৌক্তিক সমাধান কামনা করছেন।