নিউইয়র্ক ০৮:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগে তোলপাড়

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১০:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৩০ বার পঠিত

বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০০৭ সালের বহুল আলোচিত ওয়ান ইলেভেনের সময় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ সবাই শেখ হাসিনার বিরোধীতা করেছেন। এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি বলেছেন সেসময় তিনি এবং তার পরিবারের লোকজন ছাড়া আর কেউ যুক্তরাষ্ট্রে শেখ হাসিনার পক্ষে কাজ করেনি। শনিবার (৬ এপ্রিল) আব্দুল মোমেনের এ বক্তব্য অনলাইনে ভাইরাল হওয়ার পর এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতারা। তোলপাড় শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগে।

ড. মোমেনের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ২০০৭ সালের ওয়ান ইলেভেনের সেনা সমর্থিত সরকারের নানা অন্যায় কর্মকান্ডের প্রতিবাদে এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির দাবীতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি, স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে একের পর এক কর্মসূচির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে বাংলাদেশের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ।

ড. মোমেনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামের সেই উত্তাল সময়ে ড. মোমেনকে পাওয়া যায়নি। বেশিরভাগ আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে নিউইয়র্ক ভিত্তিক। অথচ সেসময় ড. মোমেন বোস্টনে থাকতেন। মাঝে মাঝে তিনি কিছু কর্মসূচিতে এসে যোগ দিলেও কখনও তিনি নেতৃত্ব পর্যায়ে ছিলেন না। তিনি বলেন, ড. মোমেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালেও বিভিন্ন সময় বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন। এখন মন্ত্রীত্ব হারিয়ে তিনি আরো ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ১/১১-এর সময় প্রথম নিউইয়র্কের ব্রুকলীনে স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি মিসবাহ আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আলমের নেতৃত্বেও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসব সভায় আমি সংগঠনের উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। তিনি বলেন, শুধু ১/১১ নয় পদ্মা সেতু সহ দেশের সকল ক্রান্তিলগ্নে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ অব্যাহত সভা-সমাবেশ করে দল, দেশ ও নেত্রীর পাশে অবস্থান নিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ বলেন, ড. মোমেনের বক্তব্য অবান্তর কথা ছাড়া আর কিছুই নয়। এর চেয়ে বেশী মন্তব্য করার কিছু নেই।

সংগঠনের সহ সভাপতি সামসুদ্দীন আজাদ তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ড. মোমেন একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তিনি জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন, হাসিনা সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। তার মতো মানুষের মুখে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নিয়ে মানায় না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও দলে কর্মকান্ড সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল। তাই ড. মোমেনের কথায় কিছু যায় আসে না।

উল্লেখ্য, ১/১১ এর সময় যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদশ যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সাথে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ৮ জন শীর্ষস্থানীয় নেতা তাঁর সফর সঙ্গী হয়েছিলেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগে তোলপাড়

প্রকাশের সময় : ০৬:১০:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০০৭ সালের বহুল আলোচিত ওয়ান ইলেভেনের সময় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ সবাই শেখ হাসিনার বিরোধীতা করেছেন। এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি বলেছেন সেসময় তিনি এবং তার পরিবারের লোকজন ছাড়া আর কেউ যুক্তরাষ্ট্রে শেখ হাসিনার পক্ষে কাজ করেনি। শনিবার (৬ এপ্রিল) আব্দুল মোমেনের এ বক্তব্য অনলাইনে ভাইরাল হওয়ার পর এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতারা। তোলপাড় শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগে।

ড. মোমেনের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ২০০৭ সালের ওয়ান ইলেভেনের সেনা সমর্থিত সরকারের নানা অন্যায় কর্মকান্ডের প্রতিবাদে এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির দাবীতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি, স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে একের পর এক কর্মসূচির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে বাংলাদেশের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ।

ড. মোমেনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামের সেই উত্তাল সময়ে ড. মোমেনকে পাওয়া যায়নি। বেশিরভাগ আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে নিউইয়র্ক ভিত্তিক। অথচ সেসময় ড. মোমেন বোস্টনে থাকতেন। মাঝে মাঝে তিনি কিছু কর্মসূচিতে এসে যোগ দিলেও কখনও তিনি নেতৃত্ব পর্যায়ে ছিলেন না। তিনি বলেন, ড. মোমেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালেও বিভিন্ন সময় বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন। এখন মন্ত্রীত্ব হারিয়ে তিনি আরো ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ১/১১-এর সময় প্রথম নিউইয়র্কের ব্রুকলীনে স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি মিসবাহ আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আলমের নেতৃত্বেও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসব সভায় আমি সংগঠনের উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। তিনি বলেন, শুধু ১/১১ নয় পদ্মা সেতু সহ দেশের সকল ক্রান্তিলগ্নে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ অব্যাহত সভা-সমাবেশ করে দল, দেশ ও নেত্রীর পাশে অবস্থান নিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ বলেন, ড. মোমেনের বক্তব্য অবান্তর কথা ছাড়া আর কিছুই নয়। এর চেয়ে বেশী মন্তব্য করার কিছু নেই।

সংগঠনের সহ সভাপতি সামসুদ্দীন আজাদ তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ড. মোমেন একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তিনি জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন, হাসিনা সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। তার মতো মানুষের মুখে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নিয়ে মানায় না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও দলে কর্মকান্ড সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল। তাই ড. মোমেনের কথায় কিছু যায় আসে না।

উল্লেখ্য, ১/১১ এর সময় যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদশ যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সাথে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ৮ জন শীর্ষস্থানীয় নেতা তাঁর সফর সঙ্গী হয়েছিলেন।