নিউইয়র্ক ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাপা’র নতুন কমিটি : এরশাদ প্রেসিডেন্ট রাসেক সেক্রেটারি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৫৫:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৫০ বার পঠিত

নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগে (এনওয়াইপিডি) কর্মরত বাংলাদেশীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশী আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন-বাপা’র নতুন কার্যকরী কমিটি (২০২৪-২০২৫) ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে ডিটেকটিভ স্কোয়াডের সার্জেন্ট এরশাদুর সিদ্দিক প্রেসিডেন্ট এবং ক্যাপ্টেন এ কে এম সফিউল আলম (প্রিন্স) ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ডিটেকটিভ রাসেকুর মালিক জেনারেল সেক্রেটারী নির্বাচিত হয়েছেন।

গত ১৫ ডিসেম্বর বুধবার বাপা’র তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন এই নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা হলেন- সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সৈয়দ সুমন মাহবুব, সাবেক সভাপতি লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শামসুল হক এবং লেফটেন্যন্ট সুহেল খান। গত ২৭ ডিসেম্বর বুধবার নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে বাপার নবনির্বাচিত কর্মকর্তারা শপথ নেন।

বাপা’র নতুন কমিটির অন্যান্য কর্মকর্তারা হলেন: সেকেন্ড ভাইস প্রেসিডেন্ট- ট্রাফিক সুপারভাইজার মোহাম্মদ চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ- সার্জেন্ট মেহেদি মামুন, সহ কোষাধ্যক্ষ- অফিসার জসিম মিয়া, ইভেন্ট কো অর্ডিনেটর- সার্জেন্ট শেখ আহমেদ, মিডিয়া লিয়াজোঁ- ডিটেক্টিভ জামিল সারোয়ার, কমিউনিটি লিয়াজোঁ- অফিসার সরদার আল মামুন, সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস- অফিসার মাহবুবুর জুয়েল এবং করেসপন্ডিং সেক্রেটারি- অক্সিলারি লেফটেন্যান্ট সৈয়দ এনায়েত আলী।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশী আমেরিকান পুলিশ এসোসিয়েশন-বাপা। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট মনোনীত হন লেফটেন্যান্ট সৈয়দ সুমন মাহবুব। ব্যক্তিগত কারণে তিনি দায়িত্ব থেকে সরে গেলে প্রেসিডেন্টের চলতি দায়িত্ব পালন করেন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শামসুল হক। এরপর একাধারে চার বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন লেফটেন্যান্ট সুজাত খান। এরপর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ক্যাপ্টেন কারাম চৌধুরী। ডিটেকটিভ স্কোয়াডের সার্জেন্ট এরশাদুর সিদ্দিক বাপা’র ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। সদ্য গঠিত নতুন কমিটিতে তিনি প্রেসিডেন্ট হলেন। ক্যাপ্টেন এ কে এম সফিউল আলম প্রিন্স বিদায়ী জেনারেল সেক্রেটারী, যিনি নতুন কমিটির ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। ডিটেক্টিভ জামিল সারোয়ার একটানা চার বার মিডিয়া লিয়াজোঁর দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি বাপা’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। এর আগে একবার কার্যকরী কমিটিতে তিনি ট্রাস্টি ছিলেন।

বাপা প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটিকে নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছে। এছাড়া এনওয়াইপিডিতে অফিসার ও ট্রাফিক এজেন্ট পদে নিয়োগে বাংলাদেশী নতুন প্রজন্মকে উৎসাহ জোগাচ্ছেন সংগঠনটির কর্মকর্তারা। নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে এখন বাংলাদেশীদের জয়-জয়কার। প্রিসিঙ্কটের কমান্ডিং অফিসারসহ নিউইয়র্ক পুলিশের বিভিন্ন শাখায় গুরুত্ব পদে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত পুলিশ অফিসাররা, যারা বাপা’র গর্বিত সদস্য। বর্তমানে বাপা’র সদস্য সংখ্যা প্রায় তিন হাজার। নিউইয়র্কে মূলধারায় বাপা শক্তিশালী ভূমিকা রাখছে। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বাপা’র নতুন কমিটি : এরশাদ প্রেসিডেন্ট রাসেক সেক্রেটারি

প্রকাশের সময় : ১০:৫৫:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪

নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগে (এনওয়াইপিডি) কর্মরত বাংলাদেশীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশী আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন-বাপা’র নতুন কার্যকরী কমিটি (২০২৪-২০২৫) ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে ডিটেকটিভ স্কোয়াডের সার্জেন্ট এরশাদুর সিদ্দিক প্রেসিডেন্ট এবং ক্যাপ্টেন এ কে এম সফিউল আলম (প্রিন্স) ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ডিটেকটিভ রাসেকুর মালিক জেনারেল সেক্রেটারী নির্বাচিত হয়েছেন।

গত ১৫ ডিসেম্বর বুধবার বাপা’র তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন এই নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা হলেন- সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সৈয়দ সুমন মাহবুব, সাবেক সভাপতি লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শামসুল হক এবং লেফটেন্যন্ট সুহেল খান। গত ২৭ ডিসেম্বর বুধবার নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে বাপার নবনির্বাচিত কর্মকর্তারা শপথ নেন।

বাপা’র নতুন কমিটির অন্যান্য কর্মকর্তারা হলেন: সেকেন্ড ভাইস প্রেসিডেন্ট- ট্রাফিক সুপারভাইজার মোহাম্মদ চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ- সার্জেন্ট মেহেদি মামুন, সহ কোষাধ্যক্ষ- অফিসার জসিম মিয়া, ইভেন্ট কো অর্ডিনেটর- সার্জেন্ট শেখ আহমেদ, মিডিয়া লিয়াজোঁ- ডিটেক্টিভ জামিল সারোয়ার, কমিউনিটি লিয়াজোঁ- অফিসার সরদার আল মামুন, সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস- অফিসার মাহবুবুর জুয়েল এবং করেসপন্ডিং সেক্রেটারি- অক্সিলারি লেফটেন্যান্ট সৈয়দ এনায়েত আলী।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশী আমেরিকান পুলিশ এসোসিয়েশন-বাপা। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট মনোনীত হন লেফটেন্যান্ট সৈয়দ সুমন মাহবুব। ব্যক্তিগত কারণে তিনি দায়িত্ব থেকে সরে গেলে প্রেসিডেন্টের চলতি দায়িত্ব পালন করেন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শামসুল হক। এরপর একাধারে চার বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন লেফটেন্যান্ট সুজাত খান। এরপর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ক্যাপ্টেন কারাম চৌধুরী। ডিটেকটিভ স্কোয়াডের সার্জেন্ট এরশাদুর সিদ্দিক বাপা’র ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। সদ্য গঠিত নতুন কমিটিতে তিনি প্রেসিডেন্ট হলেন। ক্যাপ্টেন এ কে এম সফিউল আলম প্রিন্স বিদায়ী জেনারেল সেক্রেটারী, যিনি নতুন কমিটির ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। ডিটেক্টিভ জামিল সারোয়ার একটানা চার বার মিডিয়া লিয়াজোঁর দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি বাপা’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। এর আগে একবার কার্যকরী কমিটিতে তিনি ট্রাস্টি ছিলেন।

বাপা প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটিকে নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছে। এছাড়া এনওয়াইপিডিতে অফিসার ও ট্রাফিক এজেন্ট পদে নিয়োগে বাংলাদেশী নতুন প্রজন্মকে উৎসাহ জোগাচ্ছেন সংগঠনটির কর্মকর্তারা। নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে এখন বাংলাদেশীদের জয়-জয়কার। প্রিসিঙ্কটের কমান্ডিং অফিসারসহ নিউইয়র্ক পুলিশের বিভিন্ন শাখায় গুরুত্ব পদে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত পুলিশ অফিসাররা, যারা বাপা’র গর্বিত সদস্য। বর্তমানে বাপা’র সদস্য সংখ্যা প্রায় তিন হাজার। নিউইয়র্কে মূলধারায় বাপা শক্তিশালী ভূমিকা রাখছে। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।