দেশের বন্যার্তদের জন্য ১৫০০ ডলার সংগ্রহ
নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের বনভোজন ও মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
- প্রকাশের সময় : ১১:৪২:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪
- / ২৪২ বার পঠিত
ব্যস্ত প্রবাসী জীবনের ক্লান্তিময় সময়ে একটি দিন আনন্দময় করতে আর একে অপরের মধ্যকার সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি জোরদারের লক্ষ্যে নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ইউএসএ’র বনভোজন-২০২৪ ও মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৫ আগষ্ট রোববার লং আইল্যান্ডের গাছ-গাছালী আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ঘেরা ভ্যালী স্ট্রীম ষ্টেট পার্কে দিনব্যাপী আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে দেশের উত্তরবঙ্গের ৪ শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশী অংশ নেন বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন। উৎসবমুখর পরিবেশে প্রবাসীরা সপরিবারে এতে অংশ নেয়ায় বনভোজন অনুষ্ঠান মিলনমেলায় পরিণত হয়। উল্লেখ্য, দেশের উত্তর বঙ্গের ১৬টি জেলার সমন্বয়ে গঠিত নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন (এনবিএফ)। বনভোজন অনুষ্ঠানে দেশের বন্যার্তদের সাহাযার্থ্যে তাৎক্ষনিকভাবে ১,৫০০ ডলার সংগৃহীত হয়। খবর ইউএনএ’র।
এনবিএফ’র সভাপতি ডা. চৌধুরী সারোয়ারুল হাসান, সাবেক সভাপতি ডা. আব্দুল লতিফ, উপদেষ্টা নাসির আলী খান পল, সিনিয়র সহ সভাপতি মিজানুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোজাফফর হোসেন এবং বনভোজন আয়োজক কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ আবু তাহের, প্রধান সমন্বয়ারী মোহাম্মদ রাকিবুজ্জামান খান তনু ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সহ সংগঠনের অন্যান্য কর্মকর্তারা বনভোজনে আগত প্রবাসীদের স্বাগত জানান। বনভোজন অনুষ্ঠানের কর্মকান্ডের মধ্যে ছিলো শুভেচ্ছা বিনিময়, আড্ডা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ভুড়ি ভোজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র্যাফল ড্র প্রভৃতি। তবে এসব অনুষ্ঠানের মধ্যে ব্যতিক্রম ছিলো বনভোজন স্থলে তৈরী সকালের নাস্তা পরিবেশন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বনভোজন আয়োজক কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ আবু তাহের। এসময় প্রধান সমন্বয়ারী মোহাম্মদ রাকিবুজ্জামান খান তনু, সদস্য সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, সাধারণ সম্পাদক মোজাফফর হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ হোসেন রোজেন, তাজকিনুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক রোজনুজ্জামান রোকন, মোহর খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সকালের নাস্তা, দুপুরের মধ্যাহ্ন ভোজ, বিকেলের চা-নাস্তার পর শুরু হয় সঙ্গীতানুষ্ঠান। এতে বাংলাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী আব্দুল আলীমের পুত্র আজগর আলীম ছাড়াও প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীদের মধ্যে নার্গিস রহমান, তাজকিনুল হক, মোহর খান ও মসিতুল্লাহ মাসুম সঙ্গীত পরিবেশন করেন। মোহাম্মদ দুলু মিয়ার নেতৃত্বে সকালের নাস্তা (পরটা, ডিম ভাজি, সুজি ও সবজি) পরিবেশে বিশেষ সহযোগিতায় ছিলেন মোতাহার হোসেন, ফরহাদ হোসেন রোজেন, শমসের আলী, শরিফুল ইসলাম, ইমন প্রমুখ। এছাড়াও মুডি তৈরী ও তরমুজ পরিবেশনে দায়িত্ব পালন করেন আব্দুস কুদ্দুস কানন ও বিপুল সরকার। ক্রীড়া সম্পাদক গোলাম রব্বানী ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ও চাঁদা আদায় করেন কোষাধ্যক্ষ এ, রাকিব ও মোঃ শরিফুল ইসলাম। অপরদিকে বনভোজন অনুষ্ঠানের মূল পর্ব দুপুরের খাবার পরিবেশে সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন মোতাহার হোসেন সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।
পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের অন্যতম উপদেষ্টা জুলকিকুল রহমানের কন্যা জাবিনা রহমানকে ক্রেস্ট সহ নগদ ৫০০ ডলার উপহার দিয়ে সম্মানিত করা হয়। শিক্ষার্থী হিসেবে কৃতিত্বের জন্য জাবিনা-কে সংগঠনের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট এবং ডা. চৌধুরী সারোয়ারুল হাসানের পক্ষ থেকে ৫০০ ডলার উপহার দেয়া হয়। এছাড়াও বিগত বছরগুলোর বনভোজন আয়োজনে ভালো কাজের জন্য মোহাম্মদ দুলু মিয়াকে একটি ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। অপরদিকে ‘ব্যাক টু স্কুল’ কর্মসূচীর আওতায় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল সামগ্রীও বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা নাসির আলী খান পল, ড. রুহুল কুদ্দুস, এডভোকেট মাহাবুবার রহমান বকুল ও মনিরুল ইসলাম, বৃহত্তর রাজশাহী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মজিব উদ্দিন জেন্টু, সহ সভাপতি মনির আহমেদ, রাজশাহী জেলা সমিতি ইউএসএ’র সভাপতি শমসের আলী, চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমিতি ইউএসএ’র সভাপতি মোহাম্মদ কাউসার আলী, নাটোর জেলা সমিতি ইউএসএ’র সভাপতি মোহাম্মদ শামীম আহমেদ, ঠাকুর জেলা সমিতি ইউএসএ’র সভাপতি মোস্তফা কামাল মিল্টন, সাবেক সভাপতি ফিলিপ, লালমনিরহাট জেলা সমিতি ইউএসএ’র সভাপতি মোহর খান, পঞ্চগড় জেলা সমিতি ইউএসএ’র সাধারণ সম্পাদক রেজা বিন হায়াত, নিলফামারী জেলা সমিতি ইউএসএ’র সভাপতি রোকনুজ্জামান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহীন আলম, দিনাজপুর জেলা সমিতি ইউএসএ’র সিনিয়র সহ সভাপতি জাবেদ চৌধুরী ভুট্টো ও আব্দুর রশিদ প্রমুখ। এসময় বক্তারা তাদের বক্তব্যে উপস্থিত সকলের প্রতি শুভেচ্ছা এবং সুন্দর বনভোজন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য কার্যকরী কমিটিকে ধন্যবাদ জানান।
আকষর্ণী রাফেল ড্র’র প্রথম পুরষ্কার ‘ঢাকা-নিউইয়র্ক-ঢাকা’ রুটের বিমানের টিকেট স্পন্সর করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাসানুজ্জামান হাসান আর দ্বিতীয় পুরষ্কার স্বর্ণের চেইন স্পন্সর করেন সাবেক সভাপতি ডা. মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ। এছাড়াও আরো ১৫টি আকর্ষনীয় পুরষ্কার ছিলো। রাফেল ড্র ও আর্থিকভাবে স্পন্সরকারীরা ছিলেন- ডা. চৌধুরী সারোয়ারুল হাসান, এটর্নী মঈন চৌধুরী, ডা. চৌধুরী মঞ্জুরুল হাসান, গিয়াস আহমেদ, মোহাম্মদ জন ফাহিম, মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, শেফ খলিলুর রহমান, ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, জাকির হোসেন সিপিএ, এডভোকেট মাহাবুবার রহমান বকুল, ওয়াসি চৌধুরী, স্টারলিং ফার্মাসী এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আদন ইসলাম, রাকিবুজ্জামান খান তনু, বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে প্রাথী ‘সেলিম-আলী’ পরিষদ, মফিজুল ইসলাম রুমি, জাবেদ চৌধুরী ভুট্টু, আল-আকসা রেষ্টুরেন্ট এন্ড হালাল ফুড, লিয়ন শেখ, নূর ব্যাপারী ও মোহাম্মদ হাশেম।
নর্থবেঙ্গল ফাউন্ডেশন ইনক বনভোজন সফল করতে গঠিত আয়োজক কমিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি ডা. মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ এবং প্রধান তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাসানুজ্জামান হাসান। এছাড়াও অন্যান্য কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন যুগ্ম আহ্বাহক মুন্না, ফরহাদ হোসেন রোজেন ও তাসকিনুল হক, সমন্বয়কারী যথাক্রমে মোস্তফা কামাল মিল্টন, মিজানুর রহমান মিলন ও মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সদস্য সচিব যথাক্রমে মোহাম্মদ রোকানুজ্জামান রোকন, মোহর উদ্দিন খান ও মোহাম্মদ আব্দুল কদ্দুস কানন।