নিউইয়র্ক ০৮:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আবদুল বাছির খানের ইন্তেকাল

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:২৫:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
  • / ১৩৬ বার পঠিত

হাবিব রহমান : নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসের পার্কচেষ্টার জামে মসজিদ ও বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার সাবেক সহ সভাপতি, কমিউনিটির সুপরিচিত আবদুল বাছির খান আর নেই। শনিবার দুপুর ১২.১০ মিনিটে লং আইল্যান্ডের একটি নার্সিং হোমে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। অসুস্থ অবস্থায় বেশ কিছুদিন যাবত তিনি এই নার্সিং হোমে ভর্তি ছিলেন। বিকাল ৫টায় মরহুমের মরদেহ পার্কচেস্টার জামে মসজিদে আনা হবে এবং আগামীকাল রোববার বাদ জোহর (১.৩০ মিনিট) মসজিদে তার জানাজা নামাজে এবং সোমবার লং আইল্যান্ডের ওয়াশিংটন মেমোরিয়ালে দাফন করা হবে।

উল্লেখ্য, আবদুল বাছির খান মাত্র ১২ বছর বয়সে বাবার হাত ধরে পাড়ি জমান বিলেতে। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ব্রিটেনে বসবাসের পর ব্রিটিশ পাসপোর্ট নিয়ে বাছির খান যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। এখানে আসার পর নিউইয়র্কেই কেটেছে তাঁর প্রবাস জীবনের ৫৫ বছর। গ্রহণ করেছেন আমেরিকান পাসপোর্ট। তবে কখনো পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশের পাসপোর্ট ছিল না তাঁর। বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জের বাসিন্দা আবদুল বাছির খান মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে যান। তাঁর পরিবারের সবাই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। বাছির খান ছিলেন একাধারে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।

ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ জীবনে তিনি সব সময় বাংলাদেশী বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে লন্ডনের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভেও অংশগ্রহণ করেন তিনি। ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে রাজপথে মিছিল করেছেন, সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন সমাবেশে। যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর থেকে বাংলাদেশের স্বপক্ষে কিংবা কমিউনিটির বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ে মিছিল-মিটিং-সামাজিক কর্মকান্ডে সোচ্চার ছিলেন তিনি। প্রবাসী বাংলাদেশেদের কোনো অনুষ্ঠানের খবর পেলেই ছুটে যেতেন সেখানে। প্রবাসের অনেক সংগঠনেরই প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ছিলেন এই বাছির খান। কোনো কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বহু বছর ধরে।

সংগঠন প্রিয় আবদুল বাছির খান যুক্তরাষ্ট্র হবিগঞ্জ সমিতির সঙ্গে যুক্ত সেই প্রতিষ্ঠা থেকেই। প্রবাসের অন্যতম বৃহত্তম আঞ্চলিক সংগঠন জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা তিনি ছিলেন সহ সভাপতি। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নবীগঞ্জবাসীদের একমাত্র সংগঠন নবীগঞ্জ উপজেলা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ইউএসএ’র কার্যকরী কমিটিতে ছিলেন ১৯৯৬ সাল থেকে। তা ছাড়া বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কসের তিনি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ব্রঙ্কস বাংলা স্কুলের শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন দীর্ঘদিন। ‘ব্রঙ্কসের কলম্বাস’ খ্যাত বাছির খান ১৯৯৬ সালে অবসর গ্রহণের পর থেকে পার্কচেস্টারে বসবাস করতেন। গত দুবছর ধরে তিনি তার মেয়ের সাথে লং আইল্যান্ডে বসবাস করছিলেন। দলমত-নির্বিশেষে সবাই ভালোবাসতেন অজাতশত্রু সদা হাস্যোজ্জ্বল আবদুল বাছির খানকে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আবদুল বাছির খানের ইন্তেকাল

প্রকাশের সময় : ০৪:২৫:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

হাবিব রহমান : নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসের পার্কচেষ্টার জামে মসজিদ ও বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার সাবেক সহ সভাপতি, কমিউনিটির সুপরিচিত আবদুল বাছির খান আর নেই। শনিবার দুপুর ১২.১০ মিনিটে লং আইল্যান্ডের একটি নার্সিং হোমে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। অসুস্থ অবস্থায় বেশ কিছুদিন যাবত তিনি এই নার্সিং হোমে ভর্তি ছিলেন। বিকাল ৫টায় মরহুমের মরদেহ পার্কচেস্টার জামে মসজিদে আনা হবে এবং আগামীকাল রোববার বাদ জোহর (১.৩০ মিনিট) মসজিদে তার জানাজা নামাজে এবং সোমবার লং আইল্যান্ডের ওয়াশিংটন মেমোরিয়ালে দাফন করা হবে।

উল্লেখ্য, আবদুল বাছির খান মাত্র ১২ বছর বয়সে বাবার হাত ধরে পাড়ি জমান বিলেতে। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ব্রিটেনে বসবাসের পর ব্রিটিশ পাসপোর্ট নিয়ে বাছির খান যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। এখানে আসার পর নিউইয়র্কেই কেটেছে তাঁর প্রবাস জীবনের ৫৫ বছর। গ্রহণ করেছেন আমেরিকান পাসপোর্ট। তবে কখনো পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশের পাসপোর্ট ছিল না তাঁর। বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জের বাসিন্দা আবদুল বাছির খান মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে যান। তাঁর পরিবারের সবাই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। বাছির খান ছিলেন একাধারে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।

ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ জীবনে তিনি সব সময় বাংলাদেশী বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে লন্ডনের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভেও অংশগ্রহণ করেন তিনি। ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে রাজপথে মিছিল করেছেন, সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন সমাবেশে। যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর থেকে বাংলাদেশের স্বপক্ষে কিংবা কমিউনিটির বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ে মিছিল-মিটিং-সামাজিক কর্মকান্ডে সোচ্চার ছিলেন তিনি। প্রবাসী বাংলাদেশেদের কোনো অনুষ্ঠানের খবর পেলেই ছুটে যেতেন সেখানে। প্রবাসের অনেক সংগঠনেরই প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ছিলেন এই বাছির খান। কোনো কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বহু বছর ধরে।

সংগঠন প্রিয় আবদুল বাছির খান যুক্তরাষ্ট্র হবিগঞ্জ সমিতির সঙ্গে যুক্ত সেই প্রতিষ্ঠা থেকেই। প্রবাসের অন্যতম বৃহত্তম আঞ্চলিক সংগঠন জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা তিনি ছিলেন সহ সভাপতি। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নবীগঞ্জবাসীদের একমাত্র সংগঠন নবীগঞ্জ উপজেলা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ইউএসএ’র কার্যকরী কমিটিতে ছিলেন ১৯৯৬ সাল থেকে। তা ছাড়া বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কসের তিনি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ব্রঙ্কস বাংলা স্কুলের শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন দীর্ঘদিন। ‘ব্রঙ্কসের কলম্বাস’ খ্যাত বাছির খান ১৯৯৬ সালে অবসর গ্রহণের পর থেকে পার্কচেস্টারে বসবাস করতেন। গত দুবছর ধরে তিনি তার মেয়ের সাথে লং আইল্যান্ডে বসবাস করছিলেন। দলমত-নির্বিশেষে সবাই ভালোবাসতেন অজাতশত্রু সদা হাস্যোজ্জ্বল আবদুল বাছির খানকে।