নিউইয়র্ক ০৩:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ভ্যাকেশনে আ.লীগ, চুপচাপ বিএনপি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:২২:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৫২ বার পঠিত

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের দ্বাদশ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ভ্যাকেশন সময় কাটাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আর চুপচাপ রয়েছে কমিটিহীন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র নেতা-কর্মী। চলতি বছরের শুরুতে গত ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য আওয়ামী লেিগর অনেকে নেতা-কর্মী দেশে গমন করেন এবং তারা নিজ নিজ এলাকার নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। তাদের মধ্যে অনেকেই এখনো দেশে অবস্থান করেন আবার অনেকেই প্রবাসে ফিরে এসেছেন। অপরদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপি নির্বাচন বর্জন করায় প্রবাসের দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে আগ্রহ না থাকলেও নির্বাচন বিরোধী সভা-সমাবেশে সক্রিয় ভূমিকা ছিলো। তবে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে প্রবাসে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কোন কর্মসূচী পরিলক্ষিত হচ্ছে না। প্রবাসের চলমান দেশীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সচেতন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা ‘রাজনৈতিক ভ্যাকেশন টাইম’ বলে অভিহিত করেছেন।

জানা যায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ সহ উল্লেখযোগ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের আইরীন পারভীন, জি আই রাসেল, ফরিদ আলম, হিন্দাল কাদির বাপ্পা, সাখাওয়াত বিশ্বাস প্রমুখ দেশে গমন করেন। এদের মধ্যে আব্দুস সামাদ আজাদ সহ অনেকেই ফিরে এসেছেন। আবার কেউ কেউ দেশেই অবস্থান করছেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হওয়ার পর দলীয় নেতা-কর্মীরা আনন্দ সমাবেশ করলেও তাদের আর কোন কর্মসূচী পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

এব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সামাদ আজাদ বলেন, নানা ষড়যন্ত্র আর বিএনপির বর্জনের পরও দেশের জনগণ নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা টানা চারবারের জন্য সরকার গঠন করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। নির্বাচন শেষ বলেই এখন আপাতত: কোন কর্মসূচী না থাকায় দলীয় নেতা-কর্মীরা দেশের মতো প্রবাসেও ‘রিল্যাক্স মুড’-এ রয়েছে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

অপরদিকে কমিটিহীন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিরও নির্বাচন পরবর্তী কোন কর্মসূচী পরিলক্ষিত হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় বিএনপি একটু-আধটু সরকার বিরোধী কর্মসূচী গ্রহণ করলেও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র নির্বাচন পরবর্তী কোন কর্মসূচী নেই। তবে কমিটি না থায় দৃশ্যত: দলের মধ্যকার বিভেদ-বিভক্তি নিরবে-নিভৃতে বিরাজমান থাকায় দলীয় নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারছেন না। সচেতন দলীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন, নেতৃত্বের কোন্দলের কারণেই যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি মূলত: নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

এব্যাপারে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে স্থানীয় ভাবে সভা-সমাবেশ হলেও কেন্দ্রীয়ভাবে কোন কর্মসূচী নেই। তবে আমরা সক্রিয় ও ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। সকলের সহযোগিতায় অচিরেই ডামি নির্বাচনের সরকার বিরোধী আন্দোলন জোরদার হবে।

কেন্দ্রীয় বিএনপি’র আপর জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান ভূইয়া মিলটন বলেন, আমরা চুপচাপ নেই, দেশের রাজনীতি ‘অবজার্ভ’ করছি আর কেন্দ্রর নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছি। আওয়ামী লীগের এক দলীয় নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সরকারের পদক্ষেপ আর কৌশল আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আশা করছি অচিরেই সরকার বিরোধী আন্দোলন জোরদার হবে।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ভ্যাকেশনে আ.লীগ, চুপচাপ বিএনপি

প্রকাশের সময় : ০৬:২২:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের দ্বাদশ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ভ্যাকেশন সময় কাটাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আর চুপচাপ রয়েছে কমিটিহীন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র নেতা-কর্মী। চলতি বছরের শুরুতে গত ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য আওয়ামী লেিগর অনেকে নেতা-কর্মী দেশে গমন করেন এবং তারা নিজ নিজ এলাকার নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। তাদের মধ্যে অনেকেই এখনো দেশে অবস্থান করেন আবার অনেকেই প্রবাসে ফিরে এসেছেন। অপরদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপি নির্বাচন বর্জন করায় প্রবাসের দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে আগ্রহ না থাকলেও নির্বাচন বিরোধী সভা-সমাবেশে সক্রিয় ভূমিকা ছিলো। তবে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে প্রবাসে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কোন কর্মসূচী পরিলক্ষিত হচ্ছে না। প্রবাসের চলমান দেশীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সচেতন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা ‘রাজনৈতিক ভ্যাকেশন টাইম’ বলে অভিহিত করেছেন।

জানা যায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ সহ উল্লেখযোগ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের আইরীন পারভীন, জি আই রাসেল, ফরিদ আলম, হিন্দাল কাদির বাপ্পা, সাখাওয়াত বিশ্বাস প্রমুখ দেশে গমন করেন। এদের মধ্যে আব্দুস সামাদ আজাদ সহ অনেকেই ফিরে এসেছেন। আবার কেউ কেউ দেশেই অবস্থান করছেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হওয়ার পর দলীয় নেতা-কর্মীরা আনন্দ সমাবেশ করলেও তাদের আর কোন কর্মসূচী পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

এব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সামাদ আজাদ বলেন, নানা ষড়যন্ত্র আর বিএনপির বর্জনের পরও দেশের জনগণ নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা টানা চারবারের জন্য সরকার গঠন করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। নির্বাচন শেষ বলেই এখন আপাতত: কোন কর্মসূচী না থাকায় দলীয় নেতা-কর্মীরা দেশের মতো প্রবাসেও ‘রিল্যাক্স মুড’-এ রয়েছে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

অপরদিকে কমিটিহীন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিরও নির্বাচন পরবর্তী কোন কর্মসূচী পরিলক্ষিত হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় বিএনপি একটু-আধটু সরকার বিরোধী কর্মসূচী গ্রহণ করলেও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র নির্বাচন পরবর্তী কোন কর্মসূচী নেই। তবে কমিটি না থায় দৃশ্যত: দলের মধ্যকার বিভেদ-বিভক্তি নিরবে-নিভৃতে বিরাজমান থাকায় দলীয় নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারছেন না। সচেতন দলীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন, নেতৃত্বের কোন্দলের কারণেই যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি মূলত: নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

এব্যাপারে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে স্থানীয় ভাবে সভা-সমাবেশ হলেও কেন্দ্রীয়ভাবে কোন কর্মসূচী নেই। তবে আমরা সক্রিয় ও ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। সকলের সহযোগিতায় অচিরেই ডামি নির্বাচনের সরকার বিরোধী আন্দোলন জোরদার হবে।

কেন্দ্রীয় বিএনপি’র আপর জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান ভূইয়া মিলটন বলেন, আমরা চুপচাপ নেই, দেশের রাজনীতি ‘অবজার্ভ’ করছি আর কেন্দ্রর নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছি। আওয়ামী লীগের এক দলীয় নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সরকারের পদক্ষেপ আর কৌশল আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আশা করছি অচিরেই সরকার বিরোধী আন্দোলন জোরদার হবে।