নিউইয়র্ক ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় উপেক্ষিত ড. সিদ্দিক বিরোধীরা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৬৩৫ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক সফরের সময় উপেক্ষিত হলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. সিদ্দিক বিরোধী গ্রুপ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সহ সবক্ষেত্রেই এরা ছিলেন বঞ্চিত ও উপেক্ষিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াশিংটন ত্যাগ করার সময়ও সিদ্দিক বিরোধী এক নেতা প্রধানমন্ত্রীর সাথে ছবি তুলতে উদ্যোগ নিলে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বাঁধা দেন। যাতে তার ইচ্ছেতে গুড়ে বালি হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় বিরোধী হিসেবে পরিচিত নুরুন্নবী কমান্ডার, জাকারিয়া চৌধুরী সহ যারা সভাপতির প্রকাশ্য বিরোধীতায় নেমেছিলেন তাদের প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগে এখন তারা বহিরাগদের মতই বঞ্চিত ও উপেক্ষিত।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে উপলক্ষ করে নুরুন্নবী কমান্ডার এবং তার কতিপয় খয়ের খা নেপথ্যে ব্ল্যাক মেইল উদ্দেশ্য নিয়ে সভাপতির বিরুদ্ধে বিশোধগার শুরু করেছিল।
শুরুতে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে দরকষাকষি করতেই তারা এই অপকৌশলের আশ্রয় নেয়। সভাপতি তাদের অন্যায় আবদারের সামনে নতি স্বীকার না করার সিদ্ধান্ত নিলে নুরুন্নবী কমান্ডার সাংবাদিক সম্মেলন ডাকেন। সেখানে অহেতুক দুটি মিডিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যার বেশাতি করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নাশকতার ভূয়া আশংকার কথা তুলে ধরেন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ডঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আসলে তারা নিজেরাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বানচাল করতে চক্রান্তের আশ্রয় নিয়ের্ছিল। কিন্তু তাদের কথাবার্তা বিবৃতি যে ভূয়া এটা একটি সফল সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে এর আগেও এই গ্রুপটি বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন কোনদিনই সফল হবে না।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম বাদশা বলেন, এবার যারা সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বানচালের চক্রান্ত করেছিল তারা আওয়ামী লীগ নামধারী। মুখোশধারী এসব ব্যক্তিদের আসল চেহারা উন্মোচিত হয়ে গেছে। যার ফলে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এদের উপস্থিতি ছিল পেছনের সারিতে। অনেকটা লোক চক্ষুর আড়ালে তারা লুকিয়ে রেখেছিল নিজেদের। কারণ যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রাণ নেতা কর্মীরা তাদের তৎপরতায় ক্ষুব্ধ।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক সুলেমান আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াশিংটন ত্যাগের দিন নিজাম চৌধুরী তার সাথে দেখা করতে এগিয়ে গেলে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তাকে থামিয়ে দেন। যার ফলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা না করেই বিফল মনোরথ হয়ে ফিরে যান। প্রধানমন্ত্রীর সাথে সর্বশেষ একটি ছবি তোলার ইচ্ছে প্রকাশ করেও জয়ের কঠোর অবস্থানের কারণে তিনি সফল হননি। গত বছর তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিতে গেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ধমক দিয়ে সরিয়ে দেন।
এর আগে নিজাম চৌধুরী ও তার সমর্থকরা বিভিন্নভাবে প্রধানমন্ত্রীর পাশে যেতে চেয়েও যেতে পারেননি বলে আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় উপেক্ষিত ড. সিদ্দিক বিরোধীরা

প্রকাশের সময় : ১১:০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৬

নিউইয়র্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক সফরের সময় উপেক্ষিত হলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. সিদ্দিক বিরোধী গ্রুপ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সহ সবক্ষেত্রেই এরা ছিলেন বঞ্চিত ও উপেক্ষিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াশিংটন ত্যাগ করার সময়ও সিদ্দিক বিরোধী এক নেতা প্রধানমন্ত্রীর সাথে ছবি তুলতে উদ্যোগ নিলে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বাঁধা দেন। যাতে তার ইচ্ছেতে গুড়ে বালি হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় বিরোধী হিসেবে পরিচিত নুরুন্নবী কমান্ডার, জাকারিয়া চৌধুরী সহ যারা সভাপতির প্রকাশ্য বিরোধীতায় নেমেছিলেন তাদের প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগে এখন তারা বহিরাগদের মতই বঞ্চিত ও উপেক্ষিত।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে উপলক্ষ করে নুরুন্নবী কমান্ডার এবং তার কতিপয় খয়ের খা নেপথ্যে ব্ল্যাক মেইল উদ্দেশ্য নিয়ে সভাপতির বিরুদ্ধে বিশোধগার শুরু করেছিল।
শুরুতে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে দরকষাকষি করতেই তারা এই অপকৌশলের আশ্রয় নেয়। সভাপতি তাদের অন্যায় আবদারের সামনে নতি স্বীকার না করার সিদ্ধান্ত নিলে নুরুন্নবী কমান্ডার সাংবাদিক সম্মেলন ডাকেন। সেখানে অহেতুক দুটি মিডিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যার বেশাতি করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নাশকতার ভূয়া আশংকার কথা তুলে ধরেন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ডঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আসলে তারা নিজেরাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বানচাল করতে চক্রান্তের আশ্রয় নিয়ের্ছিল। কিন্তু তাদের কথাবার্তা বিবৃতি যে ভূয়া এটা একটি সফল সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে এর আগেও এই গ্রুপটি বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন কোনদিনই সফল হবে না।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম বাদশা বলেন, এবার যারা সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বানচালের চক্রান্ত করেছিল তারা আওয়ামী লীগ নামধারী। মুখোশধারী এসব ব্যক্তিদের আসল চেহারা উন্মোচিত হয়ে গেছে। যার ফলে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এদের উপস্থিতি ছিল পেছনের সারিতে। অনেকটা লোক চক্ষুর আড়ালে তারা লুকিয়ে রেখেছিল নিজেদের। কারণ যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রাণ নেতা কর্মীরা তাদের তৎপরতায় ক্ষুব্ধ।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক সুলেমান আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াশিংটন ত্যাগের দিন নিজাম চৌধুরী তার সাথে দেখা করতে এগিয়ে গেলে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তাকে থামিয়ে দেন। যার ফলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা না করেই বিফল মনোরথ হয়ে ফিরে যান। প্রধানমন্ত্রীর সাথে সর্বশেষ একটি ছবি তোলার ইচ্ছে প্রকাশ করেও জয়ের কঠোর অবস্থানের কারণে তিনি সফল হননি। গত বছর তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিতে গেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ধমক দিয়ে সরিয়ে দেন।
এর আগে নিজাম চৌধুরী ও তার সমর্থকরা বিভিন্নভাবে প্রধানমন্ত্রীর পাশে যেতে চেয়েও যেতে পারেননি বলে আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)