নিউইয়র্ক ০৮:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কে বাংলাদেশী ছাত্র অপহণের ঘটনায় তোলপাড়

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৩৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩
  • / ১৪ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক :  নিউইয়র্কে বাংলাদেশী ছাত্র অপহণের ঘটনায় কমিউনিটিতে তোলপাড় চলছে। মাজহারুল ইসলাম (২৩) নামের এই শিক্ষার্থী গত ১০ মে বুধবার রাতে জ্যাকসন হাইটস এলাকা থেকে অপহরণ হন। ঘটনার ৩ দিন পর লং আইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে তার সন্ধান পাওয়া যায়। ঘটনার এখানেই শেষ নয়। এরই মধ্যে অপহরণকারীরা মাহজারের মুক্তিপন হিসেবে তার বাবার কাছে বাংলাদেশে ফোন করে ২০ লাখ টাকাও দাবী করে। মাজহার কেন, কি কারণে অপহরণ হন, কেন কে বা কারা তাকে অপহরণ করে তার সঠিক তথ্য এখনো জানা যায়নি। সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে মাজহার লং অ্যাইল্যান্ডের নর্থ সোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং তার অপারেশন সফর হয়েছে। খবর ইউএনএ’র।

বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, লাকসাম-এর সন্তান মাজহারুল ইসলাম প্রায় এক বছর আগে স্টুডেন্ট ভিষায় যুক্তরাষ্ট্র আসেন এবং নিউইয়র্কে বসবাস করেন। ৭০-৩৪ ব্রডওয়ে, জ্যাকসন হাইটস, নিউইয়র্ক-১১৩৭২ ঠিকানায় মাজহারুল ইসলাম রুমমেটের সাথে বসবাস করেন। ১০ মে রোববার রাত থেকে তার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছিলো না। ধারনা করা হচ্ছে ঐদিন রাতেই সে অপহরণের শিকার হয়। তার অপহরণের খবর কমিউনিটিতে ছড়িয়ে পড়লে লাকসাম সমিতি ইউএসএ’র সভাপতি আব্দুল তিতুমীর কমিউনিটির পরিচিত মুখ, মূলধারার রাজনীতিক ও কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার এন মজুমদারকে বিজয়টি জানান এবং তাকে উদ্ধারে সাহায্য কামনা করেন।

এন মজুমদার বিষয়টি জেনে বিভিন্ন হাসপাতাল ও পুলিশ প্রিসেক্টে ফোন কল করে খোঁজ খবর নেন। এন মজুমদার জানান, আমি জানতে পারি যে, ঘটনাদিন রাতে মাজহারের পরিচিত কয়েকজন যুবক একজন নারীকে নিয়ে তাদের বাসায় যান। সেখানে তাদের মধ্যে গন্ডগোল হয় এবং এক পর্যায়ে মাজহারকে জোর করে নিয়ে বাসা থেকে বেড়িয়ে যায়। পরবর্তীতে মাজহারকে লং আইল্যান্ডের একটি বাসায় আটকে রেখে তাকে মারধর করা হয়। এতে তার হাত ও কোমরের অংশ বিশেষ ভেঙ্গে যায়। অপরহরণকারীরা মাজহারের ফোন থেকে বাংলাদেশে তার বাবাকে ফোন করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে সিলেটে সেই অর্থ দেওয়ার কথা বলে এবং ফোনেই খারাপ ব্যবহার করে। এরই মধ্যে মাজহারের বাবার সাথে অপরহরকারীদের কথোপকথনের অডিও রেকর্ড প্রকাশ হয়ে যায়। মাজহার কৌশলে ঐ বাড়ী থেকে বের হয়ে নর্থশোর হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে এবং অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে।

এন মজুমদার জানান, পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে মাজহারের জবানবন্দি গ্রহণ করেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত জানা যায়নি। ঘটনার ব্যাপারে পুলিশী তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার বা আটক হয়নি। অপর একটি সূত্র জানায়, মাজহারুল ইসলাম লেখাপড়ার পাশাপাশি জ্যকসন হাইটসের একটি রেষ্টুরেন্টে কাজ করতো। তার বিরুদ্ধে মাদকাসক্ত হয়ে ঐ রেষ্টেুরেন্টের অপর স্টাফদের সাথে খারাপ ব্যবহারের করা অভিযোগ রয়েছে। এক পর্যয়ে মাজহার ঐ রেষ্টুরেন্টের কাজ ছেড়ে চলে যায়। গত ২০ এপ্রিল চাঁদরাতে জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশ স্ট্রীটে (৭৩ স্ট্রীট) মারামারির ঘটনায় মাজহারুল ইসলাম-কে পুলিশ গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে কুইন্স ক্রিমিনাল কোর্টে মামলা হয়েছে। মামলার নম্বর সিআর-০১১২৮৬-২৩ কিউএন। এই মামলার পরবর্তী শুনানী আগামী ৩০ জুন বলে জানা গেছে।

নাছরিন/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নিউইয়র্কে বাংলাদেশী ছাত্র অপহণের ঘটনায় তোলপাড়

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

হককথা ডেস্ক :  নিউইয়র্কে বাংলাদেশী ছাত্র অপহণের ঘটনায় কমিউনিটিতে তোলপাড় চলছে। মাজহারুল ইসলাম (২৩) নামের এই শিক্ষার্থী গত ১০ মে বুধবার রাতে জ্যাকসন হাইটস এলাকা থেকে অপহরণ হন। ঘটনার ৩ দিন পর লং আইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে তার সন্ধান পাওয়া যায়। ঘটনার এখানেই শেষ নয়। এরই মধ্যে অপহরণকারীরা মাহজারের মুক্তিপন হিসেবে তার বাবার কাছে বাংলাদেশে ফোন করে ২০ লাখ টাকাও দাবী করে। মাজহার কেন, কি কারণে অপহরণ হন, কেন কে বা কারা তাকে অপহরণ করে তার সঠিক তথ্য এখনো জানা যায়নি। সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে মাজহার লং অ্যাইল্যান্ডের নর্থ সোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং তার অপারেশন সফর হয়েছে। খবর ইউএনএ’র।

বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, লাকসাম-এর সন্তান মাজহারুল ইসলাম প্রায় এক বছর আগে স্টুডেন্ট ভিষায় যুক্তরাষ্ট্র আসেন এবং নিউইয়র্কে বসবাস করেন। ৭০-৩৪ ব্রডওয়ে, জ্যাকসন হাইটস, নিউইয়র্ক-১১৩৭২ ঠিকানায় মাজহারুল ইসলাম রুমমেটের সাথে বসবাস করেন। ১০ মে রোববার রাত থেকে তার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছিলো না। ধারনা করা হচ্ছে ঐদিন রাতেই সে অপহরণের শিকার হয়। তার অপহরণের খবর কমিউনিটিতে ছড়িয়ে পড়লে লাকসাম সমিতি ইউএসএ’র সভাপতি আব্দুল তিতুমীর কমিউনিটির পরিচিত মুখ, মূলধারার রাজনীতিক ও কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার এন মজুমদারকে বিজয়টি জানান এবং তাকে উদ্ধারে সাহায্য কামনা করেন।

এন মজুমদার বিষয়টি জেনে বিভিন্ন হাসপাতাল ও পুলিশ প্রিসেক্টে ফোন কল করে খোঁজ খবর নেন। এন মজুমদার জানান, আমি জানতে পারি যে, ঘটনাদিন রাতে মাজহারের পরিচিত কয়েকজন যুবক একজন নারীকে নিয়ে তাদের বাসায় যান। সেখানে তাদের মধ্যে গন্ডগোল হয় এবং এক পর্যায়ে মাজহারকে জোর করে নিয়ে বাসা থেকে বেড়িয়ে যায়। পরবর্তীতে মাজহারকে লং আইল্যান্ডের একটি বাসায় আটকে রেখে তাকে মারধর করা হয়। এতে তার হাত ও কোমরের অংশ বিশেষ ভেঙ্গে যায়। অপরহরণকারীরা মাজহারের ফোন থেকে বাংলাদেশে তার বাবাকে ফোন করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে সিলেটে সেই অর্থ দেওয়ার কথা বলে এবং ফোনেই খারাপ ব্যবহার করে। এরই মধ্যে মাজহারের বাবার সাথে অপরহরকারীদের কথোপকথনের অডিও রেকর্ড প্রকাশ হয়ে যায়। মাজহার কৌশলে ঐ বাড়ী থেকে বের হয়ে নর্থশোর হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে এবং অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে।

এন মজুমদার জানান, পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে মাজহারের জবানবন্দি গ্রহণ করেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত জানা যায়নি। ঘটনার ব্যাপারে পুলিশী তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার বা আটক হয়নি। অপর একটি সূত্র জানায়, মাজহারুল ইসলাম লেখাপড়ার পাশাপাশি জ্যকসন হাইটসের একটি রেষ্টুরেন্টে কাজ করতো। তার বিরুদ্ধে মাদকাসক্ত হয়ে ঐ রেষ্টেুরেন্টের অপর স্টাফদের সাথে খারাপ ব্যবহারের করা অভিযোগ রয়েছে। এক পর্যয়ে মাজহার ঐ রেষ্টুরেন্টের কাজ ছেড়ে চলে যায়। গত ২০ এপ্রিল চাঁদরাতে জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশ স্ট্রীটে (৭৩ স্ট্রীট) মারামারির ঘটনায় মাজহারুল ইসলাম-কে পুলিশ গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে কুইন্স ক্রিমিনাল কোর্টে মামলা হয়েছে। মামলার নম্বর সিআর-০১১২৮৬-২৩ কিউএন। এই মামলার পরবর্তী শুনানী আগামী ৩০ জুন বলে জানা গেছে।

নাছরিন/হককথা