করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে ফের লকডাউনের পথে নিউইয়র্ক

- প্রকাশের সময় : ১০:১২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অক্টোবর ২০২০
- / ৪৪ বার পঠিত
হককথা রিপোর্ট: করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে। সিটির বেশ কয়েকটি এলাকায় গত কয়েক দিনে বেড়েছে সংক্রমণের হার। যার জেরে এই সিটির কয়েকটি এলাকায় ফের জারি হয়েছে লকডাউনের বিধি-নিষেধ। রোববার এই লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন সিটি মেয়র বিল ডি বøাজিয়ো।
নিউইয়র্ক সিটি মেয়র অফিস সূত্রে জানা যায়, নতুন করে আছড়ে পড়া করোনার ঢেউ রুখতে ২০টি হটস্পট চিহ্নিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সেগুলো মূলত: সিটির ৫ বরোর মধ্যে দুই বরো ব্রæকলীন ও কুইন্স এলাকায়। পাশাপাশি এসব এলাকার স্কুলগুলো পুনরায় বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সিটির ১৪৬টি জিপ কোডের মধ্যে ৯টি জিপ কোড এলাকায় থাকবে কড়া বিধি-নিষেধ। জিপ কোডগুলো হলো: ১১৬৯১, ১১২১৯, ১১২২৩, ১১২৩০, ১১২০৪, ১১২১০, ১১২২৯, ১১৪১৫ এবং ১১৩৬৭। এসব জিপ কোড এলাকায় গত ১৪ দিনে ৩ থেকে ৮% করোনা আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে গোটা নিউইয়র্ক শহরের সংক্রমণের হার মাত্র ১.৫ শতাংশ। সিটির বাকি এলাকাগুলোর বাসিন্দারা কিছু ব্যাপারে ছাড়া পাবে। ওই ৯টি এলাকার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ যাতে শহরের বাকি অংশে ছড়িয়ে না পড়ে, যে জন্যই এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। ৭ অক্টোবর বুধবার সকাল থেকে কুইন্স ও ব্রæকলীনের এলাকাগুলোতে জারি হবে বিধি-নিষেধ। অত্যাবশ্যক পরিষেবা ছাড়া বাকি সব কিছু বন্ধ রাখা হবে সেখানে। সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খোলা থাকবে না ওই এলাকার রেস্তোরাঁও। তবে রেস্তোরাঁ থেকে ডেলিভারি পাবেন সেখানকার বাসিন্দারা। বাকি ১১টি এলাকায় রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকলেও স্কুল বন্ধ রাখা হবে না।
অপরদিকে সিটির ১১২০৫, ১১২১১, ১১২৪৯, ১১২৩৫, ১১২৩৪, ১১২১৩, ১১২১৮, ১১৩৭৪, ১১৩৬৬, ১১৪৩২ এবং ১১৩৬৫ জিপ কোড এলাকাগুলো হাই-রিক্স এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব জিপ কোড এলাকায় গত ১৪ দিনে ১ থেকে ৩% করোনা আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
নিউইয়র্কের মেয়র বøাজিও রোববার তাঁর সংবাদ সম্মেলনে বিধি-নিষেধ জারি নিয়ে বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আজকের দিনটি উদযাপনের নয়। আজ কঠিন দিন।’ নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘শহরের কিছু এলাকা, বিশেষত কুইনস ও ব্রæকলীনে নতুন করে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বসন্তেও সমস্যা এত প্রবল ছিল না। তা ঠেকাতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ এর পরই ওই সব এলাকায় কোনো ধরনের বিধি-নিষেধ বলবৎ হবে তা জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, করোনায় এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর হার নিউইয়র্কে। করোনায় মারা গেছে ৩৩ হাজার মানুষ। গেল এক মাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকার পর আবারও বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ।
আরো উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস যখন প্রথম ছড়াতে শুরু করে আমেরিকায়, সে সময় কেন্দ্রবিন্দু ছিল নিউইয়র্ক। হু হু করে সেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী ভাইরাস। এখন অবধি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর সাক্ষী নিউইয়র্ক সিটি। জন হপকিন্সের তথ্য অনুসারে নিউইয়র্ক শহরে এখন অবধি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ৩৩ হাজার।