নিউইয়র্ক ০৯:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাফেলোতে দূর্বত্তের গুলিতে ২ বাংলাদেশী নিহত : সন্দেহভাজন ঘাতক আটক

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৪৭:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৬৯ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিনিধি : নিউইয়র্ক রাজ্যের বাফেলো সিটিতে দূর্বৃত্তের গুলিতে ২ বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইস্টফেরী এন্ড বেইলি এভিনিউয়ের কাছে হ্যাজেল উড স্ট্রিটে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের একজনের নাম আবু সালেহ মোহাম্মদ ইউসুফ জনি (৫৮), তার গ্রামের বাড়ী সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার মেজরটিলা। অপরজনের নাম মোহাম্মদ বাবুল উদ্দিন (৪৩), তার গ্রামের বাড়ী কুমিল্লা বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় বাংলাদেশী কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোকে স্তবদ্ধ হয়ে পড়েছে বাফেলোর বাংলাদেশী কমিউনিটি। অপরদিকে বাফেলো আর বাংলাদেশে নিহতদের বাড়তে শোকের মাতম চলছে বলে জানা গেছে। বাফেলো পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীকে ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। সন্দেহভান এক যুবককে আটক করা হয়েছে।

নিউইয়র্ক ভিত্তিক বার্তা সংস্থা ইউএনএ জানায়, নিহত দুই বাংলাদেশী একটি বাড়ীর কনস্ট্রাকশনের কাজ করতে গেলে সেখানে দূর্বৃত্তরা গুলি করে। ফলে ঘটনাস্থলেই উভয়ে মৃত্যুবরণ করেন বলে কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট মতিউর রহমান লিটু জানিয়েছেন। তারা দু’জনই কিছুদিন আগে মেরিল্যান্ড থেকে বাফেলোতে গিয়ে সেখানে একাধিক বাড়ী কিনে পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলেন। অপর একটি সূত্রে জানা যায়, হত্যার শিকার দু’জন তাদের নিজেদের বাসার কন্সট্রাকশনের কাজ দেখতে যাওয়ার পর বাসার ভিতর থেকে তাদের লক্ষ্য করে গুলি করা হলে তারা ঘটনাস্থলেই মারা যান। রাত ৮টার দিকে নিহতের পরিবারকে ঘটনার কথা জানায় স্থানীয় পুলিশ। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহত দুই বাংলাদেশীর মরদেহ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। অপরদিকে ঘাতককে ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে এবং একজনকে সন্দেহ করে তার ছবি প্রকাশ করেছে। জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে ইউসুফ জনি ২ কন্যা সন্তানের জনক এবং তার স্ত্রী সন্তান সম্ভাবা। আর বাবুল উদ্দিন ৭ সন্তানের জনক।

বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, ইউসুফের উপস্থিতিতে তার বাফেলোর বাড়িতে বাবুল কাজ করছিলেন। এ সময় একজন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক এসে তাদের কাছে কিছু অর্থ দাবি করে। উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক তাদের ওপর গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে তাদের লাশ উদ্ধার করে। লাশ দুটি ইসিএমসি হাসপাতালে রাখা হয়েছে। নিহত বাবুল কুমিল্লা পৌরসদরের হরিপুর উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের অষ্টম সন্তান। সে গত ১৯৯১ সালে ডিভি লটারির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে আগমন করেন। ৩ বছর পর দেশে ফিরে পার্শ্ববর্তী দাউদপুর গ্রামে বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্ত্রী হাবিবাকে (৪০) নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস শুরু করেন। প্রথমদিকে বাবুল হোটেলে চাকুরী করতেন। এরপর হাউজিং ব্যবসা শুরু করে। বর্তমানে তিনি একাধিক বাড়ির মালিক হয়ে বাড়ির দেখাশোনা করেন। সাত সন্তানের মধ্যে তার দেড় বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। তার বড় ছেলে সিফাত নাগরিকত্ব পেয়ে সেখানে গাড়ি চালান। বর্তমানে বাবুলের পুরো পরিবার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।

সিলেটে ইউসুফের পরিবারে শোকের মাতম: নিহত ইউসুফের বাড়ি কানাইঘাট উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নে। তার পুরো নাম আবু সালেহ মো. ইউসুফ জনি। বছরখানেক আগে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। ইউসুফ নিহত হওয়ার খবর রোববার সকাল ৭টায় ফোনে জানানো হয় তার বাড়িতে। ছেলে নিহত হওয়ার খবর পাওয়ার পরই মা নাজিরা বেগম বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। নাজিরা বেগম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। ইউসুফের বাবা নুরুল হক দুইবারের ইউপি সদস্য এবং একবারের ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তিনি ঢাকার দৈনিক যুগান্তরকে বলেন, পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর পাশাপাশি নিজের বাচ্চাদের ভালো প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করানোর স্বপ্ন নিয়ে বিদেশে গিয়েছিল ইউসুফ। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। ইউসুফের চাচা সাহাব উদ্দিন জানান, ইউসুফেরা তিন ভাই, এক বোন। এক ভাই মাল্টায় এবং অপর ভাই ঢাকায় থাকেন। একমাত্র বোন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক। তিনি বলেন, লাশ দেশে আনার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ওখানে আইনি বিষয় সম্পন্ন হলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।

এদিকে নিহত জনি-বাবুলের মরদেহ ময়না তদন্তের পর পরবর্তীতে তাদের জানা ও দাফন সহ অন্যান্য কার্যক্রমের কর্মসূচী নেয়া হবে বলে জানা যায়। অপরদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদ, বিচার এবং বাফেলোর সকল বাংলাদেশীর নিরাপত্তার দাবীতে রোববার (২৮ এপ্রিল) সমাবেশ আহ্বান করা হয়। এদিন বাদ জোহর নামাজের পর বাফেলো মুসলিম সেন্টারে (৯৯৫ ফিলমোর এভিনিউ, বাফেলো, নিউইয়র্ক ১৪২১১) এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার দাবী করা হয়। সমাবেশে সিটি মেয়র ও পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা যোগ দেন এবং অপরাধীকে গ্রেফতার সহ ন্যায় বিচারের আশ্বাস দেন। কিন্তু এসময় বিক্ষুদ্ধ প্রবাসীদের ক্ষোভ আর প্রতিবাদের মুখে এক পর্যায়ে মেয়র সহ বাফেলো প্রশাসনের কর্মকর্তারা সভাস্থল ত্যগ করেন। এরপর বৃষ্টির মধ্যেও ক্ষুব্ধ প্রবাসীরা জনি-বাবুল হত্যার প্রতিবাদে মসজিদ সংলগ্ল রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করে। অনির্ধারিত ও অনুমতিহীন এই সমাবেশে তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ বাধাও দেয়নি।

স্টপ দ্য ভায়োলেন্স কোয়ালিশনের নির্বাহী পরিচালক মারে হলম্যান বলেন, বাফেলো শহর খুব শান্ত। এখানে এ ধরনের ঘটনা খুব দুঃখজনক। সহিংসতাবিরোধী সম্প্রদায়ের অন্য সদস্যরা আমাদের এ ব্যাপারে সাহায্য করবে বলে আশা করি। উল্লেখ্য, কয়েকমাস যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী নিউইয়র্ক সহ বিভিন্ন রাজ্যে নানাভাবে হত্যার শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ পুলিশের হাতে, কেউবা দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হন। এসব ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বাফেলোতে দূর্বত্তের গুলিতে ২ বাংলাদেশী নিহত : সন্দেহভাজন ঘাতক আটক

প্রকাশের সময় : ১২:৪৭:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধি : নিউইয়র্ক রাজ্যের বাফেলো সিটিতে দূর্বৃত্তের গুলিতে ২ বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইস্টফেরী এন্ড বেইলি এভিনিউয়ের কাছে হ্যাজেল উড স্ট্রিটে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের একজনের নাম আবু সালেহ মোহাম্মদ ইউসুফ জনি (৫৮), তার গ্রামের বাড়ী সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার মেজরটিলা। অপরজনের নাম মোহাম্মদ বাবুল উদ্দিন (৪৩), তার গ্রামের বাড়ী কুমিল্লা বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় বাংলাদেশী কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোকে স্তবদ্ধ হয়ে পড়েছে বাফেলোর বাংলাদেশী কমিউনিটি। অপরদিকে বাফেলো আর বাংলাদেশে নিহতদের বাড়তে শোকের মাতম চলছে বলে জানা গেছে। বাফেলো পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীকে ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। সন্দেহভান এক যুবককে আটক করা হয়েছে।

নিউইয়র্ক ভিত্তিক বার্তা সংস্থা ইউএনএ জানায়, নিহত দুই বাংলাদেশী একটি বাড়ীর কনস্ট্রাকশনের কাজ করতে গেলে সেখানে দূর্বৃত্তরা গুলি করে। ফলে ঘটনাস্থলেই উভয়ে মৃত্যুবরণ করেন বলে কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট মতিউর রহমান লিটু জানিয়েছেন। তারা দু’জনই কিছুদিন আগে মেরিল্যান্ড থেকে বাফেলোতে গিয়ে সেখানে একাধিক বাড়ী কিনে পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলেন। অপর একটি সূত্রে জানা যায়, হত্যার শিকার দু’জন তাদের নিজেদের বাসার কন্সট্রাকশনের কাজ দেখতে যাওয়ার পর বাসার ভিতর থেকে তাদের লক্ষ্য করে গুলি করা হলে তারা ঘটনাস্থলেই মারা যান। রাত ৮টার দিকে নিহতের পরিবারকে ঘটনার কথা জানায় স্থানীয় পুলিশ। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহত দুই বাংলাদেশীর মরদেহ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। অপরদিকে ঘাতককে ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে এবং একজনকে সন্দেহ করে তার ছবি প্রকাশ করেছে। জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে ইউসুফ জনি ২ কন্যা সন্তানের জনক এবং তার স্ত্রী সন্তান সম্ভাবা। আর বাবুল উদ্দিন ৭ সন্তানের জনক।

বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, ইউসুফের উপস্থিতিতে তার বাফেলোর বাড়িতে বাবুল কাজ করছিলেন। এ সময় একজন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক এসে তাদের কাছে কিছু অর্থ দাবি করে। উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক তাদের ওপর গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে তাদের লাশ উদ্ধার করে। লাশ দুটি ইসিএমসি হাসপাতালে রাখা হয়েছে। নিহত বাবুল কুমিল্লা পৌরসদরের হরিপুর উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের অষ্টম সন্তান। সে গত ১৯৯১ সালে ডিভি লটারির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে আগমন করেন। ৩ বছর পর দেশে ফিরে পার্শ্ববর্তী দাউদপুর গ্রামে বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্ত্রী হাবিবাকে (৪০) নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস শুরু করেন। প্রথমদিকে বাবুল হোটেলে চাকুরী করতেন। এরপর হাউজিং ব্যবসা শুরু করে। বর্তমানে তিনি একাধিক বাড়ির মালিক হয়ে বাড়ির দেখাশোনা করেন। সাত সন্তানের মধ্যে তার দেড় বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। তার বড় ছেলে সিফাত নাগরিকত্ব পেয়ে সেখানে গাড়ি চালান। বর্তমানে বাবুলের পুরো পরিবার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।

সিলেটে ইউসুফের পরিবারে শোকের মাতম: নিহত ইউসুফের বাড়ি কানাইঘাট উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নে। তার পুরো নাম আবু সালেহ মো. ইউসুফ জনি। বছরখানেক আগে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। ইউসুফ নিহত হওয়ার খবর রোববার সকাল ৭টায় ফোনে জানানো হয় তার বাড়িতে। ছেলে নিহত হওয়ার খবর পাওয়ার পরই মা নাজিরা বেগম বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। নাজিরা বেগম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। ইউসুফের বাবা নুরুল হক দুইবারের ইউপি সদস্য এবং একবারের ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তিনি ঢাকার দৈনিক যুগান্তরকে বলেন, পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর পাশাপাশি নিজের বাচ্চাদের ভালো প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করানোর স্বপ্ন নিয়ে বিদেশে গিয়েছিল ইউসুফ। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। ইউসুফের চাচা সাহাব উদ্দিন জানান, ইউসুফেরা তিন ভাই, এক বোন। এক ভাই মাল্টায় এবং অপর ভাই ঢাকায় থাকেন। একমাত্র বোন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক। তিনি বলেন, লাশ দেশে আনার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ওখানে আইনি বিষয় সম্পন্ন হলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।

এদিকে নিহত জনি-বাবুলের মরদেহ ময়না তদন্তের পর পরবর্তীতে তাদের জানা ও দাফন সহ অন্যান্য কার্যক্রমের কর্মসূচী নেয়া হবে বলে জানা যায়। অপরদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদ, বিচার এবং বাফেলোর সকল বাংলাদেশীর নিরাপত্তার দাবীতে রোববার (২৮ এপ্রিল) সমাবেশ আহ্বান করা হয়। এদিন বাদ জোহর নামাজের পর বাফেলো মুসলিম সেন্টারে (৯৯৫ ফিলমোর এভিনিউ, বাফেলো, নিউইয়র্ক ১৪২১১) এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার দাবী করা হয়। সমাবেশে সিটি মেয়র ও পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা যোগ দেন এবং অপরাধীকে গ্রেফতার সহ ন্যায় বিচারের আশ্বাস দেন। কিন্তু এসময় বিক্ষুদ্ধ প্রবাসীদের ক্ষোভ আর প্রতিবাদের মুখে এক পর্যায়ে মেয়র সহ বাফেলো প্রশাসনের কর্মকর্তারা সভাস্থল ত্যগ করেন। এরপর বৃষ্টির মধ্যেও ক্ষুব্ধ প্রবাসীরা জনি-বাবুল হত্যার প্রতিবাদে মসজিদ সংলগ্ল রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করে। অনির্ধারিত ও অনুমতিহীন এই সমাবেশে তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ বাধাও দেয়নি।

স্টপ দ্য ভায়োলেন্স কোয়ালিশনের নির্বাহী পরিচালক মারে হলম্যান বলেন, বাফেলো শহর খুব শান্ত। এখানে এ ধরনের ঘটনা খুব দুঃখজনক। সহিংসতাবিরোধী সম্প্রদায়ের অন্য সদস্যরা আমাদের এ ব্যাপারে সাহায্য করবে বলে আশা করি। উল্লেখ্য, কয়েকমাস যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী নিউইয়র্ক সহ বিভিন্ন রাজ্যে নানাভাবে হত্যার শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ পুলিশের হাতে, কেউবা দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হন। এসব ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।