সোসাইটিকে ‘কালো পাথর’ তথা ‘গড ফাদার’ মুক্ত করার জন্য নতুন কর্মকর্তদের প্রতি আহ্বান
- প্রকাশের সময় : ০৯:২১:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০১৪
- / ১২২৫ বার পঠিত
বাংলাদেশ সোসাইটি ইন্ক নিউইয়র্ক-এর নির্বাচনোত্তর সাংবাদিক সম্মেলনে ‘কামাল-সানী’ প্যানেল নির্বাচনকে ‘প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন’ হিসেবে উল্লেখ ও ভোটিং মেশিন ক্রুটিযুক্তসহ কতিপয় অনিয়মের অভিযোগ এবং সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যানেরকে ব্যর্থ বলে কমিউনিটির বৃহত্তর স্বার্থে আর সোসাইটিকে গতিশীল করতে নির্বাচনী ফলাফল মেনে নির্বাচিত সকল কর্মকর্তাকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। সেই সাথে বাংলাদেশ সোসাইটি থেকে নানা অন্যায়, অনিয়ম আর আবর্জনায় ঘেরা ‘কালো পাথর’ তথা ‘গড ফাদার’ মুক্ত করার জন্য সোসইটির নতুন কর্মকর্তদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে প্যানেলটির নির্বাচনী বিশ্লেষনে এই ফল হচ্ছে ‘আউট অব অ্যাসপেক্টেশন, আউট আউট অব এস্টিমেশন এন্ড আউট অব ক্যালক্যুলেশন’।
সিটির জ্যাকসন হাইটস্থ পালকি পার্টি সেন্টারে গত ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় আয়োজিত জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ‘কামাল-সানী’ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আলী ইমাম শিকদার। সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা কালাম। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ডা. খন্দকার মাসুদুর রহমান।
সাংবাদিক সম্মেলনে ডা. খন্দকার মাসুদুর রহমান ছাড়াও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ‘কামাল-সানী’ প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী ও সোসাইটির বর্তমান সভাপতি কামাল আহমেদ, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা আজিজুর রহমান পাখি, মোহাম্মদ হোসেন খান ও সোসাইটির নব নির্বাচিত সিনিয়র সহ সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান। সাংবাদিক সম্মেলনে ‘কামাল-সানী’ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জে মোল্লা সানী সহ প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কর্মকর্তাদের মধ্যে রশিদ আহমদ, ফিরোজ পাটোয়ারী, নিশান রহীম, হাজী আব্দুস শহীদ, মোস্তফা কামাল, শাহজাহান দুলাল এবং প্যানেলটির প্রার্থী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও কমিউটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনের মূল পর্ব শেষে ‘কামাল-সানী’ প্যানেলের বিজয়ী ও বিজিত প্রার্থীদের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ডা. খন্দকার মাসুদুর রহমান প্রথমে সভাপতি পদপ্রার্থী কামাল আহমেদের হাতে এবং পরবর্তীতে কামাল আহমেদ বিজয়ী ও বিজিত প্রার্থীদের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন। এসময় ‘কামাল-সানী’ প্যানেলের পক্ষ থেকে কামাল আহমেদ তার ফুলের তোড়া সোসাইটির নব নির্বাচিত সভাপতি আজমল হোসেন কুনু আর সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জে মোল্লা সানী তার ফুলের তোড়া পুন: নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহীম হাওলাদারের কাছের শুভেচ্ছা হিসেবে পাঠানোর জন্য নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ জানান। এর আগে কামাল আহমেদ ও জে মোল্লা সানী সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এবং সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে ডা. খন্দকার মাসুদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সোসাইটি কমিউনিটির অন্য কোন আঞ্চলিক বা পেশাজীবি সংগঠন নয়। সোসাইটি একটি সর্বজনীন সামাজিক সংগঠন। সোসাইটিতে রয়েছে সকল দল-মত, পথ আর পেশার প্রতিনিধিত্ব। তিনি বলেন, সোসাইটিতে ভর করা নীতিহীন, লজ্জাহীন তথা ‘গড ফাদার’ নামধারী অনেক অন্যান্যের সমন্বয়ে সৃষ্ট ‘কালো পাথর’ দূর করতে হবে। সেই সাথে ‘নির্লজ্জ ও তল্পিবাহক’ নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান (ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নূরুল হক)-কেও সোসাইটি থেকে সরাতে হবে। সবাই মিলে সোসাইটিকে কমিউনিটির সত্যিকারের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনে পরিণত করতে হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে আলী ইমাম শিকদার লিখিত বক্তব্যের বলেন, গত ২৬ অক্টোবর’২০১৪ বাংলাদেশ সোসাইটি ইন্্ক নিউইয়র্ক-এর প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, সোসাইটির নির্বাচন হবে কি হবে না তা নিয়ে মিডিয়ায় ও জনমনে যথেষ্ট সন্দেহ ও উকন্ঠা ছিলো। কিন্তু ‘কামাল-সানী’ পরিষদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সকল প্রতিকুল অবস্থা, উৎকন্ঠা ও উদ্বিগ্নতার মধ্যেও ‘কামাল-সানী’ পরিষদ এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, বেশ কয়েক বছর যাবৎ আমাদের প্রাণপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি ইন্্ক এর সাংগঠনিক নিয়ম-কানুন মেনে আকাংখিত গতি ধরে রাখতে পারছে না। শত প্রতিবদ্ধকতার মধ্যেও আমরা সব সময়ই এর সঠিক গতি দেওয়ার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছি।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়: নির্বাচন ২০১৪-এর নির্বাচনী তফসীল ঘোষণার পরপরই ভোটার তালিকা নিয়ে এক ধু¤্রজালের সৃষ্টি হয়েছিলো। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত নির্বাচন তফসীলের অপব্যাখ্যা দিয়ে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংগ্রহণকারী সকল প্রার্থীদের জন্য একটি ‘প্লেন ফিল্ড নির্বাচন’ ব্যবস্থা করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অসদাচরণ দেখে কমিউনিটির অনেকেই এই নির্বাচন পক্ষপাতহীনভাবে অনুষ্ঠিত হবে কিনা এনিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। সোসাইটির গঠনতন্ত্রের একটি ধারাকে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান ব্রঙ্কসে ভোট কেন্দ্র দেয়া না দেয়া নিয়ে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছেন তা অত্যন্ত লজ্জা ও ঘৃনার বিষয়। আজকের নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যানই সেইদিন সোসাইটির গঠনতন্ত্র সংশোধনী কমিটিরও তিনি চেয়ারম্যান ছিলেন। ব্রঙ্কসে একটি ভোট কেন্দ্র স্থাপনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান সেদিন যে ব্যাখ্যা দিয়ে এই ধারাটি গঠনতন্ত্রে সংযোজন করেছিলেন আজ তিনি নিজেই এর বিপরীতমুখী ব্যাখ্যা প্রদান করছেন। এতে এটাই প্রমাণিত হয় যে, নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান কোন বিশেষ ব্যক্তি বা মহল দ্বারা প্রভাবান্বিত হয়েছেন। অথচ আমাদের সকলের আশা আকাংখা ও বিশ্বাস একটি নির্বাচন কমিশন হবে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও নির্দলীয়। কমিশনের কর্মকান্ড হবে সকলের জন্য সমান ও সম্মানজনক।
লিখিত বক্তব্যে সাংবাদিকদের কমিউনিটির তৃতীয় নয়ন উল্লেখ করে বলা হয়: আপনাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা ও বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশেনের মধ্য দিয়েই আমরা আমাদের এই গড়ে উঠা সমাজকে ঐক্যবদ্ধ রেখে ও এর ভিত মজবুত করে একটি কল্যাণকর প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটি গড়ে তুলতে চাই এবং বিশ্বাস করি বাংলাদেশ সোসাইটি ইন্্কই হবে এর যোগ্যতম নেতৃত্বদানকারী একটি সংগঠন। এই সংগঠনটিকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সকলের ভালোবাসা, বিশ্বাস ও ভরসার স্থল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। দু:খের বিষয় যে, ‘বাংলাদেশ সোসাইটি ইন্্ক’ এখনো সেই জায়গাটিতে যায়নি বা যেতে পারছে না। আমাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ এর স্বাভাবিক গতির প্রতিবদ্ধকতা সৃষ্টি করে চলেছেন। আমাদের এখান থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। নির্বাচন’২০১৪-এর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই নির্বাচনে বহু অপ্রত্যাশিত ভুলের সমাহার ঘটেছে। এরমধ্যে কিছু ভুল প্রক্রিয়াগত ও বহু ভুল ইচ্ছেকৃতভাবে করা হয়েছে। এই সকল ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা সামনের দিকে অগ্রসর হতে চাই।
আলী ইমাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, নির্বানের ফলাফল ‘আন অফিসিয়ালী’ ঘোষণা করা হয়েছে। বহু প্রতিক্ষিত একটি নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার ক্ষেত্রে যেসব নূন্যতম নিয়ম-কানুন মেনে চলার কথা ছিলো এর কোনটাই এই নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান করেননি বা করতে পারেননি। নির্বাচন ভোটারদের মতামত প্রকাশের একটি প্রক্রিয়া। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা একটি ‘ম্যাথমেটিক্যাল প্রসেস’। যতক্ষন না পর্যন্ত একটি প্রক্রিয়ার সকল স্তর ধারাবাহিকভাবে সম্পন্ন হবে ততক্ষণ পর্যন্ত কোন ফলাফলই গ্রহণ যোগ্যতা পায় না। বরং কেউ যদি প্রক্রিয়াগত স্তরসমূহ বাদ দিয়ে তড়িগরি করে ফলাফল পেতা চান অথবা দিতে চান তাহলে সেখানে বিশ্বাসের চেয়ে সন্দেহের অবকাশ হয় বেশী। আমরা বিশ্বাস করি আপনারা এমনটিই লক্ষ্য করেছেন বাংলাদেশ সোসাইটির ইন্্ক এর নির্বাচন ২০১৪-এর ফলাফল ঘোষণাকালে। এই ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান বিশ্বাস ও ভরসার ক্ষেত্র তৈয়ার করার চেয়ে সন্দেহের সৃষ্টি করেছেন অনেক বেশী। নির্বাচনের ফলাফলে বিজয়ী-বিজিতদের মধ্যে ভোটের ব্যবধান খুবই কম। আমরা এও দেখেছি দুইজন প্রার্থী এক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী-বিজিত হয়েছেন। আরো দুইজন প্রার্থী সমান সংখ্যক ভোট পেয়ে টাই করেছিলেন। পরে এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে টাইব্রেকার ভোট দিতে হয়েছে। এমনি যখন অবস্থা তখন ভোট গণনার ক্ষেত্রে সর্বোপরি সাবধানতা ও বিশ্বাস যোগ্যতা অর্জন ছিল অপরিহার্য। আমরা দু:খ ও ক্ষোভের সাথে জানাতে চাই, ভোট গণনার ক্ষেত্রে বা এর প্রক্রিয়ায় এক অবিশ্বাস্য গাফিলতি ও অপরিপক্কতা পরিলক্ষিত হয়েছে। আমাদের কাছে নির্বাচনের ফলাফলের ভোটিং মেশিনের প্রিন্ট আউট রয়েছে। এর কয়েকটি নমুনা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। মেশিনের হিসেবে প্রেসিডেন্ট পদে সর্বমোট ভোট কাস্ট হয়েছে ২,৬৫৯। দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মিলে সর্বমোট ভোট পেয়েছেন ২,৬০৯। বাকী ৫০ ভোটের কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। একইভাবে অন্যান্য প্রার্থীদের বেলায়ও একই রকম ঘটনা ঘটেছে। ধরে নিলাম নির্বাচন কমিশন বা কোন ব্যক্তি বা সংশ্লিষ্ট কোন গ্রুপই এব্যাপারে কোন প্রকার দূরভিসন্দিহমূলক কাজ করেননি। তাহলে ভোটের যে ডিসক্রেপেন্সি পাওয়া যাচ্ছে এটি নেহায়তি মেশিনের সৃষ্ট। এই নির্বাচনে ব্যবহৃত ১৯টি মেশিনের মধ্যে তিনটি ছাড়া বাকী সকল মেশিনগুলোই ক্রুটিপূর্ণ ছিলো। ত্রুটিপূর্ণ মেশিনের ফল অবশ্যই ক্রটিপূর্ণ হবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই ত্রুটিপূর্ণ ফলে সম্মানিত ভোটারদের মতামতের কোন প্রতিফলনই ঘটেনি। তাই এই কমিউনিটিতে নির্বাচনের ফল নিয়ে যে বড় প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে তাকে তুরি মেরে উড়িয়ে দেয়া যায় না। নির্বাচনের যে ফলাফল ‘আন অফিসিয়্যালী’ ঘোষণা করা হয়েছে তা পত্র-পত্রিকার ভাষায়, ভোটারদের গুঞ্জরণে, কমিউনিটির বোদ্ধাজনদের নির্বাচনী বিশ্লেষনে এই ফল হচ্ছে ‘আউট অব অ্যাসপেক্টেশন, আউট আউট অব এস্টিমেশন এন্ড আউট অব ক্যালক্যুলেশন’। এই সকল অপকর্মের দায়-দায়িত্ব মূলত: অদক্ষ, অপরিকল্পিত, কান্ডজ্ঞানহীন নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যানের উপরই বর্তায়। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত সবসময়ই এর মাসুল দিতে হয় ভোটার ও কমিউনিটির অন্যান্য সাধারণ জনগণের। আমরা জনগণকে আর ক্ষতিগ্রস্ত হতে দিতে রাজী নই। আমরা মনে করি সকলে মিলে সমাজের কিছু সংখ্যক অপরিনামদর্শী ব্যক্তির হাত থেকে এখনই সোসাইটিকে রক্ষা করা অতিব জরুরী হয়ে পড়েছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়: শত ভুল-ভ্রান্তির পরও কেবলমাত্র সমাজ ও সমাজের অগ্রগতির জন্য আমরা এই নির্বাচনে দুই পরিষদের বিজয়ী সকল প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়ে সোসাইটিকে সঠিক পথে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা আশা করি নির্বাচিত সভাপতি আজমল হোসেন কুনু ও সিনিয়র সহ সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ানের নেতৃত্বে সোসাইটি পুনরায় তার গতি ফিরে পাবে। ‘কামাল-সানী’ পরিষদের বিজয়ী সিনিয়র সহ সভাপতি- মোহাম্মদ মহিউদ্দিন দেওয়ান, জন সংযোগ ও প্রচার সম্পাদক- মফিজুল ইসলাম ভূঁইয়া রুমি, সমাজকল্যাণ সম্পাদক- কাজী তোফায়েল ইসলাম, সাহিত্য সম্পাদক- ওয়াহিদ কাজী এলিন, ক্রীড়া ও আপ্যায়ন সম্পাদক- সৈয়দ এনায়েত আলী, স্কুল ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক- ফারহানা চৌধুরী, কার্যকরী পরিষদ সদস্য- নাসির উদ্দিন আহমেদ, নাদির এ আইয়ুব ও সৈয়দ ইলিয়াস খসরুসহ বিজয়ী অন্যান্য নেতৃবর্গের নেতৃত্বে সোসাইটি তার কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছবে এটাই আমাদের কামনা। নির্বাচনে যারা বিজিত হয়েছেন তাদের সকলকে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাই এই নির্বাচনে বলিষ্ঠ গণতান্ত্রিক ভূমিকা রাখার জন্য। তাদের অংশগ্রহণ ছাড়া গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার এই অগ্রযাত্রা অব্যহত রাখা যেতো না। আমরা আশা করি বিজয়ী নেতৃবর্গ বিজিত নেতৃবৃন্দের পরিপূর্ণ সহযোগিতা নিয়ে সোসাইটিকে উত্তোরত্তর সফলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। লিখিত বক্তব্যের সব শেষে যারা আইন ভঙ্গ করেন বা ভঙ্গ করেছেন তারা যেনো ভবিষ্যতে আর কখনো আইন প্রয়োগের সুযোগ না পান তার জন্য সোসাইটির নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে ডা. খন্দকার মাসুদুর রহমান বলেন, সোসাইটির নির্বাচনে ভোটিং মেশিনে ত্রুটিসহ নানা অভিযোগে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ থাকলেও বাংলাদেশ সোসাইটি তথা কমিউনিটির বৃহত্তর স্বার্থে কোন প্রতিবদ্ধকতা ছাড়াই আমরা নির্বাচনী ফলাফল মেনে নিচ্ছি। তবে সোসাইটির ভালো-মন্দ দুই কাজেই দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবেন ‘কামাল-সানী’ প্যানেলের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা।
অপর প্রশ্নের উত্তরে সভাপতি কামাল আহমেদ বলেন, সোসাইটির কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্তে কর্মকর্তাদের গোপন ভোটে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। এই কমিশন গঠনে ব্যক্তিগতভাবে আমার কোন ভূমিকা ছিলো না। আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি সোসাাইটির ট্রাষ্টি বোর্ড বা কমিটিতে থাকার কোন সুযোগ নেই। তিনি আরো বলেন, আমরা আরো দু’মাস দায়িত্বে আছি। তার (এম আজিজ) ব্যাপারে সোসাইটির এটর্নীর সাথে পরামর্শ করে কার্যকরী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে মোহাম্মদ হোসেন খান বলেন, আমরা বিরোধীতার জন্য বিরোধিতা নয় সোসাইটির স্বার্থে, কমিউনিটির স্বার্থে ‘কামাল-সানী’ প্যানেল দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে। প্রয়োজনে সোসাইটিতে ‘ছায়া সরকার’ হিসেবে ভালো কাজের সমর্থন আর মন্দ কাজের বিরোধীতা করবে।