নিউইয়র্ক ০৭:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সিন্ডিকেট মুক্ত যুক্তরাষ্ট্র আ. লীগ চাই : ইউএনএ’র সাথে সাক্ষাৎকারে ফরিদ আলম

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৩৫:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৬৭ বার পঠিত

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা ফরিদ আলম অবিলম্বে মেয়াদ উত্তীর্ন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের জন্য কেন্দ্রের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন আমরা সুবিধাভোগী সিন্ডিকেট মুক্ত যুক্তরাষ্ট্র আ. লীগ চাই। তা না হলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেও মধ্যকার বিভেদ-বিভক্তি দূও হবে না, প্রবাসে দল শক্তিশালী হবে না। আর এই সুযোগে বিএনপি-জামায়াত নানা ষড়যন্ত্রের পথে এগুচ্ছে। যা দল, দেশ আর আমাদেও প্রাণপ্রিয় নেত্রী, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য শুভকর নয়।
নিউইয়র্ক ভিত্তিক বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব আমেরিকা (ইউএনএ)-এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে ফরিদ আলম উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি, ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মী। অমাদের চাওয়া পাওয়া বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা আর শেখ হাসিনার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ’।
এক প্রশ্নের উত্তরে ফরিদ আলম বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে সুবিধাভোগী সিন্ডিকেট মুক্ত করতে হবে। যারা দল আর সরকারের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ঢাকায় বসে পদ-পদবী ধরে রেখে রাজনীতি করেন, দল করেন তাদের কাছ থেকে সংগঠনকে মুক্ত করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বসে মূল্যবান সময় দিয়ে যারা দলের জন্য কাজ করেন তাদেরকে মূল্যায়ন করতে হবে, পদ দিতে হবে। তানাহলে সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, বিভক্তি বাড়বে।
ফরিদ আলম

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে কেনো যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সম্মেলন হচ্ছে না তা আমার বোধগম্য নয়। অথচ আওয়ামী লীগ কর্মী নির্ভর সাংগঠনিক দল। কেন্দ্রে কাউন্সিল হলেও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কাউন্সিল হচ্ছে না, কমিটি হচ্ছে না। তিন বছরের কমিটি আজ ১২ বছর ধরে চলছে। আর এই কমিটি না হওয়ার কারণে দলের মধ্যে বিভেদ-বিভক্তি বাড়ছে। বলেন, কোন কোন নেতা মৌসুমী নেতায় পরিনত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে আসলেই তারা সক্রিয় হচ্ছেন। এসব নিয়ে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
ফরিদ আলম বলেন, দল করতে হলে দলে সাংগঠনিক নিয়ম-কানুন মানতে হবে। নতুন নেতৃত্বকে স্বাগত জানাতে হবে। পদ ধরে রাখতে গেলে অশান্তি বাড়বে, অসম্মান বাড়বে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগে যা হচ্ছে তা দল আর দলের নেতার জন্য ভালো না।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে ফরিদ আলম বলেন, আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সব খবর সঠিকভাবে পৌছায় না বা পৌছানো হয় না বা জানানো হয় না। তিনি সব জানলে সংগঠনের এমন অবস্থা হওয়ার কথা নয় বলেই আমার বিশ্বাস। তিনি কাউন্সিলের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পাশাপাশি যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগের কমিটি দাবী করেন।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সিন্ডিকেট মুক্ত যুক্তরাষ্ট্র আ. লীগ চাই : ইউএনএ’র সাথে সাক্ষাৎকারে ফরিদ আলম

প্রকাশের সময় : ০২:৩৫:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিউইয়র্ক (ইউএনএ): যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা ফরিদ আলম অবিলম্বে মেয়াদ উত্তীর্ন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের জন্য কেন্দ্রের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন আমরা সুবিধাভোগী সিন্ডিকেট মুক্ত যুক্তরাষ্ট্র আ. লীগ চাই। তা না হলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেও মধ্যকার বিভেদ-বিভক্তি দূও হবে না, প্রবাসে দল শক্তিশালী হবে না। আর এই সুযোগে বিএনপি-জামায়াত নানা ষড়যন্ত্রের পথে এগুচ্ছে। যা দল, দেশ আর আমাদেও প্রাণপ্রিয় নেত্রী, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য শুভকর নয়।
নিউইয়র্ক ভিত্তিক বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব আমেরিকা (ইউএনএ)-এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে ফরিদ আলম উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি, ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মী। অমাদের চাওয়া পাওয়া বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা আর শেখ হাসিনার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ’।
এক প্রশ্নের উত্তরে ফরিদ আলম বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে সুবিধাভোগী সিন্ডিকেট মুক্ত করতে হবে। যারা দল আর সরকারের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ঢাকায় বসে পদ-পদবী ধরে রেখে রাজনীতি করেন, দল করেন তাদের কাছ থেকে সংগঠনকে মুক্ত করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বসে মূল্যবান সময় দিয়ে যারা দলের জন্য কাজ করেন তাদেরকে মূল্যায়ন করতে হবে, পদ দিতে হবে। তানাহলে সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, বিভক্তি বাড়বে।
ফরিদ আলম

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে কেনো যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সম্মেলন হচ্ছে না তা আমার বোধগম্য নয়। অথচ আওয়ামী লীগ কর্মী নির্ভর সাংগঠনিক দল। কেন্দ্রে কাউন্সিল হলেও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কাউন্সিল হচ্ছে না, কমিটি হচ্ছে না। তিন বছরের কমিটি আজ ১২ বছর ধরে চলছে। আর এই কমিটি না হওয়ার কারণে দলের মধ্যে বিভেদ-বিভক্তি বাড়ছে। বলেন, কোন কোন নেতা মৌসুমী নেতায় পরিনত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে আসলেই তারা সক্রিয় হচ্ছেন। এসব নিয়ে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
ফরিদ আলম বলেন, দল করতে হলে দলে সাংগঠনিক নিয়ম-কানুন মানতে হবে। নতুন নেতৃত্বকে স্বাগত জানাতে হবে। পদ ধরে রাখতে গেলে অশান্তি বাড়বে, অসম্মান বাড়বে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগে যা হচ্ছে তা দল আর দলের নেতার জন্য ভালো না।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে ফরিদ আলম বলেন, আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সব খবর সঠিকভাবে পৌছায় না বা পৌছানো হয় না বা জানানো হয় না। তিনি সব জানলে সংগঠনের এমন অবস্থা হওয়ার কথা নয় বলেই আমার বিশ্বাস। তিনি কাউন্সিলের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পাশাপাশি যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগের কমিটি দাবী করেন।