নিউইয়র্ক: সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে সরকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এ জনই সরকার তার দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে খালেদা জিয়ার নির্বাচনী প্রচারণার গাড়ী বহলে হামলা চালানো হয়েছে। নির্বাচনী কার্যক্রমে বিঘœ ঘটাতেই এই হামলা করা হয়েছে। তারা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবী করেন। নেতৃবৃন্দ খালেদা জিয়ার প্রাণনাশের আংশকা করে বলেন, তার জনপ্রিয়তায় সরকারের ভীত নড়ে গেছে। সরকার খালেদা জিয়াকে হত্যা করতে চায়। গুম, গ্রেফতার, হামলা, মামলা করে বিএনপিকে নিশ্চিন্ন করে বাকশাল কায়েম করতে চায়। কিন্তু জিয়ার সৈনিকরা বেঁচে থাকতে বাংলাদেশে আর বাকশালীয় একনায়কতন্ত্রের রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হতে দেয়া হবে না।
সিটির জ্যাকসন হাইটস্থ একটি রেস্টুরেন্টে ২১ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি গিয়াস আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাকে সহ সভাপতি আলহাজ সোলায়মান ভূঁইয়া, নিউইয়র্ক ষ্টেট বিএনপি’র সভাপতি বাবর উদ্দিন, বিএনপি নেতা সৈয়দ এম এ রেজা, যুক্তরাষ্ট্র জাসাস-এর সভাপতি আবু তাহের, যুক্তরাষ্ট্র জিসাস সভাপতি আবুল বসার, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এম এ বাতিন, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জনি প্রমুখ।
সভা পরিচালনা করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল ও ছাত্রদলের সভাপতি আতাউর রহমান আতা। সভায় উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে ব্রুকলীন বিএনপি’র সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ ও জাহাঙ্গীর সোহরাওয়ার্দী সহ আব্দুল কাদের, মোহাম্মদ সাদী মিন্টু, শাহাদৎ হোসেন রাজু, আজম হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তরা বলেন, শেখ হাসিনার সরকার একটি ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী সরকার। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা করছে, বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের উপর জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে। তারা অবিলম্বে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা, খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, দলীয় নেতা-কর্মীদের মুক্তি এবং তত্ত্বাবধীয়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দাবী করেন।