সাবধান : আইআরএস’র নামে ফোনে প্রতারণা বাড়ছে
- প্রকাশের সময় : ০২:২৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৪
- / ৬৮৭ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: আইআরএস’র নামে কমিউনিটিতে প্রতারণা বেড়েছে। একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র আইআরএস’র নাম ব্যবহার করে ফোন কলের মাধ্যমে প্রতারণার মাধ্যামে হাজার হাজার ডলার হাতিয়ে নিচ্ছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এসব প্রতারণকদের ফোন কলে সাড়া না দিয়ে সাবধানতা অবলম্বনের পাশাপাশি পুলিশকে জানানোর অনুরোধ জানিয়েছে ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে আইআরএস’র নামে ফোন কলের মাধ্যমে প্রতারণা চলে আসছে। একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র আইআরএস’র নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছে। এই প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে ইতিমধ্যেই অনেকে প্রবাসী বাংলাদেশী বিপুল পরিমান খুইয়েছেন। জানা গেছে, ঐ প্রতারক চক্রের সাথে বাংলাদেশী কমিউটির কেউ কেউ জড়িত রয়েছেন। তাদের সহযোগিতায় প্রতারক চক্রটি বাংলাদেশী কমিউনিটিতে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রথমে তারা নানা কৌশলে বাংলাদেশীদের নাম ঠিকানা, ফোন নম্বর, সোস্যাল সিকিউরিটি নম্বরসহ সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দূর্বলতা খুঁজে বের করে ফোন কল করে আইআরএস’র নাম ব্যবহার করে মোটা অংকের অর্থ দাবী করে। অন্যথায় ঐ ব্যক্তিকে গ্রেফতারসহ নানা ভয়-ভীতি প্রদর্শণ করা হয়। প্রতারক চক্রটি ফোন কলের সময় ভার্জেনিয়া এলাকার ‘কোড নম্বর ছাড়াও অপরিচিত (আননোন) আবার ব্লক করা নস্বর’ ব্যবহার করে প্রতারণার ফাঁদ পাতে। তারা ফোনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ভয় দেখিয়ে তাদের ব্যাংক একাউন্টে জমা দেয়া কথা বলে। অতি সম্প্রতি নিউইয়র্কের এস্টোরিয়ার একটি মসজিদের এক ইমাম এমন প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যেই প্রতারক চক্রের দেয়া ব্যাংক একাউন্টে ৫০০ ডলার জমাও দিয়েছেন। এছাড়াও জ্যামাইকা, উডসাইড এলাকারও একাধিক বাংলাদেশী আইআরএস’র নামে ফোন কল পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
এব্যাপারে আইন বিশেজ্ঞরা জানিয়েছেন, আইআরএস কর্তৃপক্ষ কারো বিষয়ে কোন অভিযোগ বা দেনা-পাওনা থাকলে সংশ্লিষ্টদের বাসায় ফোন কল করে না। প্রয়োজনে আইআরএস কর্তৃপক্ষ চিঠি পাঠায় বা অফিসে ডেকে পাঠায়। তাই এমন ফোন কলের ব্যাপারে সাবধানতা অবলস্বনই উত্তম পথ। প্রয়োজনে এমন ফোন কল পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশকে অবহিত করা জরুরী বলেই মন্তব্য করেছেন আইন বিশেজ্ঞরা। (সাপ্তাহিক পরিচয়)