নিউইয়র্ক ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সহ সভাপতি মাহবুব ও যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরীসহ ৮ নেতা সাসপেন্ড

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:১৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫
  • / ১০৪৫ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ৮ নেতাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। দলের কার্য নির্বাহী কমিটির সভায় নতুন এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ‘অফিসিয়ালী’ কোন তথ্য মিডিয়াকে না জানালেও ২০ ডিসেম্বর রোববার অনুষ্ঠিত সংগঠনের কার্য নির্বাহী কমিটির সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে ঐ সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা ইউএনএ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন। সূত্র মতে, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সহ সভাপতি মাহবুবুর রহমান, প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক আইরীন পারভীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান ও আব্দুল হাসিব মামুন, প্রচার সম্পাদক দুলাল মিয়া (হাজী এনাম), মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম ও সহ প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান টনিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। খবর ইউএনএ’র।
দলীয় সূত্র মতে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে এবং সভাপতির অনুমতি ছাড়াই সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আহ্বান এবং সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ তার নেতৃত্বে গত ৬ ডিসেম্বর কার্য নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠান করায় পরবর্তীতে কেন্দ্রের নির্দেশে তাকে (সাজ্জাদ) সাসপেন্ড করা হয় এবং উল্লেখিত ৮ নেতাকে ‘শো কজ’ করা হয়। এদিকে ৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে সংগঠনের কার্য নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতির অনুমতি ছাড়াই সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা করার বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। এরই মধ্যে উভয় সভার বরাত দিয়ে সংগঠনের একাধিক শীর্ষ নেতাকে বহিষ্কার পাল্টা বহিষ্কার করার খবর মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে কেউ এই বহিষ্কার পাল্টা বহিষ্কারের দায় গ্রহণ না না করলেও উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সভাপতি কেন্দ্রের পরামর্শক্রমে সংগঠনের ৮ নেতাকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শো-কজ) প্রদান করেন। গত ১২ ডিসেম্বর সংগঠনের প্রথম সাধারণ সম্পাদক এবং এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরীসহ উল্লেখিত ৮জন নেতৃবৃন্দকে এক সপ্তাহের মধ্যে শো-কজের উত্তর দিতে বলা হয়। শো-কজ প্রাপ্তরা ১৪ ডিসেম্বর আহুত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন এবং তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে শো-কজ প্রাপ্ত দুই নেতা যথাক্রমে যুগ্ম সম্পাদক আইরীন পারভীন ও প্রচার সম্পাদক হাজী এনাম ছাড়া অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনের পর যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের মধ্যে নতুন করে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
সূত্র মতে, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে গত ২০ ডিসেম্বর রোববার বিকেলে সিটির এস্টোরিয়াস্থ বৈশাখী রেষ্টুরেন্ট মিলনায়তনে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভাটি পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০ ডিসেম্বরের সভায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির ৩৯জন নেতা উপস্থিত ছিলেন। বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই সভা চলে। সভায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উদ্ভুত পরিস্থিতি, কেন্দ্রের নির্দেশ এবং নির্দেশ পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদকে কেন্দ্রের নির্দেশ সাসপেন্ড সহ ৮ নেতাকে করা শো-কজ এর নোটিশ, তাদের সাংবাদিক সম্মেলন প্রভৃতি বিষয় আলোচিত হয় এবং সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদের সাসপেন্ড বহাল সহ সংগঠনের সহ সভাপতি মাহবুবুর রহমান, প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক আইরীন পারভীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান ও আব্দুল হাসিব মামুন, প্রচার সম্পাদক দুলাল মিয়া (হাজী এনাম), মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম ও সহ প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান টনিকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত ২০ ডিসেম্বর থেকেই কার্যকর হবে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রকে অবহিত করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র মতে, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সর্বশেষ সভায় (২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত) সভাপতির অনুমতি বিহীন সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক আহুত সভায় (৬ ডিসেম্বর) সভাপতিসহ ৭জনকে কারণে দর্শানোর নোটিশ ও বহিষ্কার প্রদান, ঐ সভায় কার্যকরী কমিটির ৪৮জন সদস্য উপস্থিত থাকার বিষয়ে মিথ্যাচার, জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক বহিষ্কৃত ‘জাগো বাংলাদেশ-এর নেতা জয়নাল আবেদীন ও নিজাম চৌধুরীর ভাই জাকারিয়া চৌধুরীকে দলে পুনর্বহাল করা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বশেষ নিউইয়র্ক সফরের সময় ভিন্ন প্লাটফর্মে সাজ্জাদ-নিজাম টাউন হল সভা করে দলের মধ্যে গ্রুপিং ও কোন্দ্রল সৃষ্টি, একই সভায় (৬ ডিসেম্বর) সভাপতিকে বহিষ্কার এবং সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ স্বাক্ষরিত বহিষ্কার সংক্রান্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তি নিজাম চৌধুরী কর্তৃক বার ফেসবুকে বার শেয়ার ও সমর্থন করা, বিগত চার বছর ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করে ২/১ সপ্তাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে নিজাম চৌধুরীর দলের মধ্যে গ্রুপিং ও কোন্দল সৃষ্টি করা, যুগ্ম সম্পাদক আইরীন পারভীন কর্তৃক অবৈধ সভায় যোগদান ও সভাপতির বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব উত্থাপনসহ মিথ্যাচার করা, প্রচার সম্পাদক হাজী এনাম ও উপ প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান টনি কর্তৃক টেক্স ম্যাসেজের মাধ্যমে সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে চার লাখ ডলার আতœসাতের বার্ত দিয়ে বিভ্রান্ত করে সভা করা, সভাপতির অনুমোদন ব্যতিত সভায় সহ সভাপতি মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্ব করা, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান ও আব্দুল হাসিব মামুন কর্তৃক সধারণ সম্পাদক আহুত অবৈধ সভার পক্ষে জনসংযোগ ও সভায় যোগ দেয়া, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলামের অবৈধ সভায় যোগদান এবং কোষাধ্যক্ষ মনসুর খানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন প্রভৃতি সাংগঠনিক অনিয়ম ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে শো-কজপ্রাপ্তদের বক্তব্য সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান মিডিয়াকে বলেছেন- ‘তাদের পাবলিক রিট্রাকমন গ্রহণযোগ্য নয়। তারা পাবলিক রিট্রাকশনের পরিবর্তে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সজিব ওয়াজেদ জয়ের প্রেরীত বার্তাকে ভিত্তিহীন, সর্ববৈ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মন্তব্য করে আরো বেশী অপরাধ করেছেন’। ড. সিদ্দিক বলেন, তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনা ও সজিব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করবেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে কলঙ্কমুক্ত করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ২০ ডিসেম্বরের কার্য নির্বাহী কমিটির সভা প্রসঙ্গে সংগঠনের প্রথম সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ ইউএনএ-কে বলেন, ঐদিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সভা হয়েছে। সভায় জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছে মাত্র। তিনি বলেন, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের স্থান যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগে নেই।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

সহ সভাপতি মাহবুব ও যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরীসহ ৮ নেতা সাসপেন্ড

প্রকাশের সময় : ০৮:১৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫

নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ৮ নেতাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। দলের কার্য নির্বাহী কমিটির সভায় নতুন এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ‘অফিসিয়ালী’ কোন তথ্য মিডিয়াকে না জানালেও ২০ ডিসেম্বর রোববার অনুষ্ঠিত সংগঠনের কার্য নির্বাহী কমিটির সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে ঐ সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা ইউএনএ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন। সূত্র মতে, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সহ সভাপতি মাহবুবুর রহমান, প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক আইরীন পারভীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান ও আব্দুল হাসিব মামুন, প্রচার সম্পাদক দুলাল মিয়া (হাজী এনাম), মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম ও সহ প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান টনিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। খবর ইউএনএ’র।
দলীয় সূত্র মতে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে এবং সভাপতির অনুমতি ছাড়াই সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আহ্বান এবং সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ তার নেতৃত্বে গত ৬ ডিসেম্বর কার্য নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠান করায় পরবর্তীতে কেন্দ্রের নির্দেশে তাকে (সাজ্জাদ) সাসপেন্ড করা হয় এবং উল্লেখিত ৮ নেতাকে ‘শো কজ’ করা হয়। এদিকে ৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে সংগঠনের কার্য নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতির অনুমতি ছাড়াই সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা করার বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। এরই মধ্যে উভয় সভার বরাত দিয়ে সংগঠনের একাধিক শীর্ষ নেতাকে বহিষ্কার পাল্টা বহিষ্কার করার খবর মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে কেউ এই বহিষ্কার পাল্টা বহিষ্কারের দায় গ্রহণ না না করলেও উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সভাপতি কেন্দ্রের পরামর্শক্রমে সংগঠনের ৮ নেতাকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শো-কজ) প্রদান করেন। গত ১২ ডিসেম্বর সংগঠনের প্রথম সাধারণ সম্পাদক এবং এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরীসহ উল্লেখিত ৮জন নেতৃবৃন্দকে এক সপ্তাহের মধ্যে শো-কজের উত্তর দিতে বলা হয়। শো-কজ প্রাপ্তরা ১৪ ডিসেম্বর আহুত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন এবং তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে শো-কজ প্রাপ্ত দুই নেতা যথাক্রমে যুগ্ম সম্পাদক আইরীন পারভীন ও প্রচার সম্পাদক হাজী এনাম ছাড়া অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনের পর যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের মধ্যে নতুন করে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
সূত্র মতে, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে গত ২০ ডিসেম্বর রোববার বিকেলে সিটির এস্টোরিয়াস্থ বৈশাখী রেষ্টুরেন্ট মিলনায়তনে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভাটি পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০ ডিসেম্বরের সভায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির ৩৯জন নেতা উপস্থিত ছিলেন। বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই সভা চলে। সভায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উদ্ভুত পরিস্থিতি, কেন্দ্রের নির্দেশ এবং নির্দেশ পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদকে কেন্দ্রের নির্দেশ সাসপেন্ড সহ ৮ নেতাকে করা শো-কজ এর নোটিশ, তাদের সাংবাদিক সম্মেলন প্রভৃতি বিষয় আলোচিত হয় এবং সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদের সাসপেন্ড বহাল সহ সংগঠনের সহ সভাপতি মাহবুবুর রহমান, প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক আইরীন পারভীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান ও আব্দুল হাসিব মামুন, প্রচার সম্পাদক দুলাল মিয়া (হাজী এনাম), মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম ও সহ প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান টনিকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত ২০ ডিসেম্বর থেকেই কার্যকর হবে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রকে অবহিত করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র মতে, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সর্বশেষ সভায় (২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত) সভাপতির অনুমতি বিহীন সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক আহুত সভায় (৬ ডিসেম্বর) সভাপতিসহ ৭জনকে কারণে দর্শানোর নোটিশ ও বহিষ্কার প্রদান, ঐ সভায় কার্যকরী কমিটির ৪৮জন সদস্য উপস্থিত থাকার বিষয়ে মিথ্যাচার, জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক বহিষ্কৃত ‘জাগো বাংলাদেশ-এর নেতা জয়নাল আবেদীন ও নিজাম চৌধুরীর ভাই জাকারিয়া চৌধুরীকে দলে পুনর্বহাল করা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বশেষ নিউইয়র্ক সফরের সময় ভিন্ন প্লাটফর্মে সাজ্জাদ-নিজাম টাউন হল সভা করে দলের মধ্যে গ্রুপিং ও কোন্দ্রল সৃষ্টি, একই সভায় (৬ ডিসেম্বর) সভাপতিকে বহিষ্কার এবং সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ স্বাক্ষরিত বহিষ্কার সংক্রান্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তি নিজাম চৌধুরী কর্তৃক বার ফেসবুকে বার শেয়ার ও সমর্থন করা, বিগত চার বছর ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করে ২/১ সপ্তাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে নিজাম চৌধুরীর দলের মধ্যে গ্রুপিং ও কোন্দল সৃষ্টি করা, যুগ্ম সম্পাদক আইরীন পারভীন কর্তৃক অবৈধ সভায় যোগদান ও সভাপতির বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব উত্থাপনসহ মিথ্যাচার করা, প্রচার সম্পাদক হাজী এনাম ও উপ প্রচার সম্পাদক তৈয়বুর রহমান টনি কর্তৃক টেক্স ম্যাসেজের মাধ্যমে সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে চার লাখ ডলার আতœসাতের বার্ত দিয়ে বিভ্রান্ত করে সভা করা, সভাপতির অনুমোদন ব্যতিত সভায় সহ সভাপতি মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্ব করা, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান ও আব্দুল হাসিব মামুন কর্তৃক সধারণ সম্পাদক আহুত অবৈধ সভার পক্ষে জনসংযোগ ও সভায় যোগ দেয়া, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলামের অবৈধ সভায় যোগদান এবং কোষাধ্যক্ষ মনসুর খানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন প্রভৃতি সাংগঠনিক অনিয়ম ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে শো-কজপ্রাপ্তদের বক্তব্য সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান মিডিয়াকে বলেছেন- ‘তাদের পাবলিক রিট্রাকমন গ্রহণযোগ্য নয়। তারা পাবলিক রিট্রাকশনের পরিবর্তে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সজিব ওয়াজেদ জয়ের প্রেরীত বার্তাকে ভিত্তিহীন, সর্ববৈ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মন্তব্য করে আরো বেশী অপরাধ করেছেন’। ড. সিদ্দিক বলেন, তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনা ও সজিব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করবেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে কলঙ্কমুক্ত করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ২০ ডিসেম্বরের কার্য নির্বাহী কমিটির সভা প্রসঙ্গে সংগঠনের প্রথম সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ ইউএনএ-কে বলেন, ঐদিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সভা হয়েছে। সভায় জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছে মাত্র। তিনি বলেন, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের স্থান যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগে নেই।