নিউইয়র্ক ০৬:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834
অটোয়ায় নব নিযুক্ত হাইকমিশনারের সাথে মতবিনিময়

সমস্যা সমাধানে নাহিদা সোবহান চান ‘আলাদীনের প্রদীপ’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৫৮:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১১০ বার পঠিত

নজরুল ইসলাম মিন্টু: কানাডার রাজধানী অটোয়ায় নব নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাহিদা সোবহানকে নিয়ে টরেন্টোয় এক সর্বজনীন মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৭ ডিসেম্বর স্মরণকালের এ সর্বজনীন সভায় দলমত নির্বিশেষে কমিউনিটির প্রায় সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সবাই এজন্যে আয়োজকদের ভূয়সী প্রশংসা করে তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।
সভায় নতুন হাইকমিশনারের কাছে সকলে একটা প্রত্যাশা নিয়ে গিয়েছিলেন আর তাহলো তিনি তার পূর্ববর্তী হাইকমিশনারদের থেকে ব্যতিক্রম হবেন। সে অনুযায়ী সকল বক্তাদের দাবী ছিল কনস্যুলেট সার্ভিস সহজ করা, দলমত নির্বিশেষে সকল বাংলাদেশীকে একই দৃষ্টিতে দেখা, নো ভিসা রিকোয়ারমেন্ট সিল-এর ফি কমানো এবং প্রাপ্তি সহজ করা, সর্বোপরি পূর্বতন দুর্নীতিবাজ হাইকমিশনার খলিলুর রহমানের মনগড়া নিয়ম বাতিল ইত্যাদি। বিশেষ করে নো ভিসা রিকোয়ার্ড সিলের ক্ষেত্রে সবাই আওয়ামী লীগ শাসনামলের হাই কমিশনার খলিলুর রহমানের চাপিয়ে দেয়া নিয়ম বদলিয়ে বাংলাদেশ সরকারের বিধি- যা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশে প্রচলিত আছে- সেটি চালুর দাবী জানান।
বক্তাদের দাবীর প্রেক্ষিতে হাইকমিশনার নাহিদা সোবহান কোনো আশার বাণী শোনাননি, কোনো অঙ্গীকারও করেননি। উল্টো তাচ্ছিল্যের সুরে বলেন, ‘আপনারা আমাকে একটা আলাদীনের প্রদীপ এনে দেন, আমি আপনাদের সব সমস্যা সমাধান করে দেবো’। তার এমন বক্তব্যে কমিউনিটিতে সমালোচনার ঝড় বইছে। সাধারণ বাংলাদেশীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, মতবিনিময় সভায় এমন কোনো কঠিন দাবী করা হয়নি যে তার হাতে আলাদীনের প্রদীপ তুলে দিতে হবে!
অনুষ্ঠানে উপস্থিত কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের অনেকে জানিয়েছেন হাইকমিশনার নাহিদা সোবহানের ‘বডি লেঙ্গুয়েজ’টি ছিল দৃষ্টিকটু। সভায় এমপিপি ডলি বেগমসহ কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সকল বক্তা দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখলেও নাহিদা সোবহান চেয়ারে বসেই তার বক্তব্য রাখেন। কেউ কেউ বলেন- নাহিদা যেহেতু এর আগে মধ্যপ্রাচ্যে ছিলেন, তাই তিনি মনে করেছেন এ সভায় উপস্থিতিগণও মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমিক শ্রেণীর অন্তর্গত; সম্ভবত সেই কারনেই তিনি মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণকারীদের প্রতি নূন্যতম সম্মান প্রদর্শনের প্রয়োজন মনে করেননি বলে অনেকে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

অটোয়ায় নব নিযুক্ত হাইকমিশনারের সাথে মতবিনিময়

সমস্যা সমাধানে নাহিদা সোবহান চান ‘আলাদীনের প্রদীপ’

প্রকাশের সময় : ১১:৫৮:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

নজরুল ইসলাম মিন্টু: কানাডার রাজধানী অটোয়ায় নব নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাহিদা সোবহানকে নিয়ে টরেন্টোয় এক সর্বজনীন মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৭ ডিসেম্বর স্মরণকালের এ সর্বজনীন সভায় দলমত নির্বিশেষে কমিউনিটির প্রায় সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সবাই এজন্যে আয়োজকদের ভূয়সী প্রশংসা করে তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।
সভায় নতুন হাইকমিশনারের কাছে সকলে একটা প্রত্যাশা নিয়ে গিয়েছিলেন আর তাহলো তিনি তার পূর্ববর্তী হাইকমিশনারদের থেকে ব্যতিক্রম হবেন। সে অনুযায়ী সকল বক্তাদের দাবী ছিল কনস্যুলেট সার্ভিস সহজ করা, দলমত নির্বিশেষে সকল বাংলাদেশীকে একই দৃষ্টিতে দেখা, নো ভিসা রিকোয়ারমেন্ট সিল-এর ফি কমানো এবং প্রাপ্তি সহজ করা, সর্বোপরি পূর্বতন দুর্নীতিবাজ হাইকমিশনার খলিলুর রহমানের মনগড়া নিয়ম বাতিল ইত্যাদি। বিশেষ করে নো ভিসা রিকোয়ার্ড সিলের ক্ষেত্রে সবাই আওয়ামী লীগ শাসনামলের হাই কমিশনার খলিলুর রহমানের চাপিয়ে দেয়া নিয়ম বদলিয়ে বাংলাদেশ সরকারের বিধি- যা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশে প্রচলিত আছে- সেটি চালুর দাবী জানান।
বক্তাদের দাবীর প্রেক্ষিতে হাইকমিশনার নাহিদা সোবহান কোনো আশার বাণী শোনাননি, কোনো অঙ্গীকারও করেননি। উল্টো তাচ্ছিল্যের সুরে বলেন, ‘আপনারা আমাকে একটা আলাদীনের প্রদীপ এনে দেন, আমি আপনাদের সব সমস্যা সমাধান করে দেবো’। তার এমন বক্তব্যে কমিউনিটিতে সমালোচনার ঝড় বইছে। সাধারণ বাংলাদেশীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, মতবিনিময় সভায় এমন কোনো কঠিন দাবী করা হয়নি যে তার হাতে আলাদীনের প্রদীপ তুলে দিতে হবে!
অনুষ্ঠানে উপস্থিত কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের অনেকে জানিয়েছেন হাইকমিশনার নাহিদা সোবহানের ‘বডি লেঙ্গুয়েজ’টি ছিল দৃষ্টিকটু। সভায় এমপিপি ডলি বেগমসহ কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সকল বক্তা দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখলেও নাহিদা সোবহান চেয়ারে বসেই তার বক্তব্য রাখেন। কেউ কেউ বলেন- নাহিদা যেহেতু এর আগে মধ্যপ্রাচ্যে ছিলেন, তাই তিনি মনে করেছেন এ সভায় উপস্থিতিগণও মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমিক শ্রেণীর অন্তর্গত; সম্ভবত সেই কারনেই তিনি মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণকারীদের প্রতি নূন্যতম সম্মান প্রদর্শনের প্রয়োজন মনে করেননি বলে অনেকে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।