শেষ মহুর্তে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের ভীড়

- প্রকাশের সময় : ০৮:৪৫:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৬
- / ৪৮৯ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ পর্যায়ে। সিটির পাঁচ বরোর মধ্যে তিন বরোর ৫ কেন্দ্রে অর্থাৎ উডসাইড, ব্রুকলীন, ওজনপার্ক, ব্রঙ্কস ও জ্যামাইকা কেন্দ্রে আজ রোববার (২৩ অক্টোবর) ভোট গ্রহণ চলছে। ছোটখাটো অভিযোগ ছাড়াই সকল কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ হচ্ছে বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে। সর্বশেষ খবরে জানা গেছে নির্বাচনের মূল কেন্দ্র উডসাইডস্থ গুলশান ট্যারেসে রাত ৯টা পর্যন্ত ভোটারদের লাইন দেখা যায়। অপরদিকে জ্যামাইকা কেন্দ্রে আধা ঘন্টা বিলম্বে ভোট শুরু হওয়ায় রাত ৯টা পর্যন্ত সেখানে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত থাকলেও এই কেন্দ্রে ৯টার মধ্যেই ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয় বলে জানা গেছে। ফলে সেখানে ভোট গণনার প্রস্তুতি চলছে। একই রকম খবর পাওয়া গেছে ব্রুকলীন, ওজনপার্ক আর ব্রঙ্কস কেন্দ্র থেকে। নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক ধারণায় ১৮ হাজার ৫৫১জন ভোটারের মধ্যে ১০ হাজারেরও অধিক ভোট কাস্ট হয়েছে।
ব্রুকলীন, ওজনপার্ক, ব্রঙ্কস ও জ্যামাইকা কেন্দ্রের স্ব স্ব কেন্দ্রে গণনার পর মূল কেন্দ্র উডসাইডের গুলশান ট্যারেসে সকল ভোট গণনার পর এই কেন্দ্রেই ফলাফল ঘোষণা করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে ফলাফল প্রকাশ করতে মধ্যরাত পাড়ি হয়ে যাবে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নির্বাচনে ‘কুনু-আজম’ আর ‘কামাল-রুহুল’ প্যানেলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে। ভোটারদের অভিমত এককভাবে কোন প্যানেল বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এদিকে সকালের চেয়ে শেষ বিকেলে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। কেন্দ্রগুলোর আশপাশ ছিলো প্রার্থীদের রং বে রং ব্যানার ও পোস্টারে ছেয়ে যায়। পাশাপাশি দুই প্যানেল ছাওড়াও কোন কোন প্রার্থীর পক্ষে ছিলো নির্বাচনী প্রচারণা কেন্দ্র। এসব কেন্দ্রে চেয়ার-টেবিল পেতে ব্যানার টাঙ্গিয়ে সমর্থক আর স্বেচ্ছাসেবীরা প্রচারণার পাশাপাশি ভোটারদের নম্বর বের করে দিতে সাহায্য করে। আবার এসব কেন্দ্র থেকে দুপুরে ভোটারদের মাঝে প্যাকেট লাঞ্চ পরিবেশন করতেও দেখা যায়।
অপরদিকে ভোটের জন্য প্রার্থীরা ছিলেন মড়িয়া। তাদেরকে এক কেন্দ্র থেকে আরেক কেন্দ্রে হন্নে হয়ে ছুটতে দেখা যায়। সেই সাথে প্যানেল ও প্রার্থীদের পক্ষ থেকেও ছিলো ভোটারদের কেন্দ্রে যাতায়াতে ফ্রি পরিবহন ব্যবস্থা। কেন্দ্রগুলোতে পুরুষদের পাশাপাশি নারী ভোটারদেরও উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়। ফলে কেন্দ্রগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে।