লাইফ ইনিশিয়েটিভস ইনক পেলো সিটিজেনস কমিটি ফর নিউইয়র্ক সিটির কমিউনিটি লিডার্স গ্রান্ট

- প্রকাশের সময় : ১০:২১:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
- / ৩৮ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক: নিউইয়র্কভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ‘লাইফ ইনিশিয়েটিভস ইনক’ যারা শিক্ষা, তথ্য-অধিকার এবং নাগরিক দায়বদ্ধতাকে হাতিয়ার করে প্রান্তিক মানুষের ক্ষমতায়নে কাজ করে- সিটিজেনস কমিটি ফর নিউইয়র্ক সিটির কমিউনিটি লিডার্স গ্রান্ট-এর মর্যাদাপূর্ণ ‘কমিউনিটি লীডার্স গ্রান্ট’ অর্জন করেছে। এই অনুদানটি তাদের ‘নো ইউর রাইটস অনলাইন’ উদ্যোগকে সম্প্রসারিত করবে, যার লক্ষ্য নিউইয়র্কের অভিবাসী ও সংখ্যালঘু বাসিন্দাদের নাগরিক অধিকার সম্পর্কিত তথ্য বহুভাষিক ও প্রযুক্তি-নির্ভর পদ্ধতিতে সহজলভ্য করা।
প্রকল্পের তিন প্রধান উদ্দেশ্য:
১. বহুভাষিক রিসোর্স অনুবাদ: ‘নো ইউর রাইটস’ তথ্যপত্র, অভিবাসী অধিকার-সংক্রান্ত ‘রেড কার্ড’ এবং প্রো-বোনো আইনি ডিরেক্টরি আরও বহু ভাষায় অনুবাদ করে প্রকাশ করা, যেন ভাষাগত দেয়াল ভেঙে সবার হাতে তথ্য পৌঁছায়।
২. এআই-চালিত চ্যাট সহায়তা: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট চালু করে ২৪/৭ নাগরিক অধিকার-সংক্রান্ত প্রশ্নের দ্রæত ও নির্ভুল জবাব দেওয়া।
৩. ডিজিটাল হাব শক্তিশালীকরণ: knowyourrights.online-কে দ্রæত আপডেট, ডাউনলোডযোগ্য রিসোর্স এবং কমিউনিটি ইভেন্ট-ঘনিষ্ঠ ‘ওয়ান স্টপ’ কেন্দ্রে রূপান্তর করা।
প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক কামরুল ইসলাম সনি জানান, “সিটিজেনস কমিটির এই সহযোগিতা আমাদের স্বপ্নকে বেগবান করবে। আমরা কৃতজ্ঞ আমাদের কমিউনিটি, নিবেদিত স্বেচ্ছাসেবক এবং শীর্ষস্থানীয় এই ফান্ডারের প্রতি, যারা ঘরোয়া উদ্যোগে অটুট বিশ্বাস রাখেন।”
“এই অনুদান আমাদের চলমান প্রচেষ্টাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে”। বলেন প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মুহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম। বলেন, “ভাষাগত ও ডিজিটাল-দ্বাররোধ ভেঙে প্রতিটি মানুষকে তার অধিকার সম্পর্কে অবহিত করা এখন আরও সহজ হবে।”
এক বিবৃতিতে সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সালমা জাহান, জানান, “নিউইয়র্কের বৈচিত্র্যই আমাদের অনুপ্রেরণা। আমরা চাই- কেউ যেন তথ্যের অভাবে পিছিয়ে না পড়ে। বহুভাষিক চ্যাটবট ও সমৃদ্ধ ওয়েব-প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সবাই নিজের কণ্ঠস্বরকে শক্তিশালী করে তুলতে পারবে।”
আন্তর্জাতিক উত্তরাধিকার:
লাইফ ইনিশিয়েটিভস ইনক ২০২৪ সালে নিউইয়র্কে প্রতিষ্ঠিত হলেও এটি বাংলাদেশের সুপ্রতিষ্ঠিত এনজিও ‘লাইফ’ (Livelihood, Inclusion, Freedom & Empowerment – LIFE)-এর একটি সিস্টার কনসার্ন। মূল খওঋঊ সংগঠনটি ১৯৯৪ সালে নিবন্ধিত হয়, যদিও ১৯৮৮ সাল থেকেই মাঠপর্যায়ে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও মানবাধিকার-কেন্দ্রিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। দুই মহাদেশের অভিজ্ঞতা ও সম্পদ ভাগাভাগি করে, এই যৌথ ঐতিহ্য লাইফ ইনিশিয়েটিভসকে বহুভাষিক ও বহুসাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি দিতে সহায়তা করে।
সিটিজেনস কমিটি ফর নিউইয়র্ক সিটি সম্পর্কে:
১৯৭৫ সাল থেকে সিটিজেন কমিটি ফর নিউইয়র্ক সিটি ছোট-বড় গ্রাসরুটস প্রকল্পকে তহবিল ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করে আসছে, যাতে প্রতিবেশী, স্বেচ্ছাসেবক ও কমিউনিটি-নেতারা একত্রে স্থানীয় সমস্যা সমাধান করতে পারে। কমিউনিটি লীডার্স গ্রান্ট সেই সব উদ্যোগকে স্বীকৃতি দেয়, যাদের উদ্ভাবনী কাজ বাস্তব পরিবর্তন আনে।
ভবিষ্যৎ দিগন্ত:
লাইফ ইনিশিয়েটিভস ইনক ‘নো ইউর রাইটস অনলাইন’-কে ঘিরে ই-লার্নিং কোর্স, কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডর প্রোগ্রাম এবং দ্বিভাষিক ‘রাইটস ক্লিনিক’ চালুর পরিকল্পনা করছে, যাতে নাগরিক শিক্ষা শহরের প্রতিটি কোণে পৌঁছে যায়। পাশাপাশি, বাংলাদেশের লাইফ-এর সঙ্গে যৌথ ওয়ার্কশপ ও কেস-স্টাডি শেয়ার করে দুই দেশের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করা হবে।
মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম সনি
অলাভজনক সংস্থা ‘লাইফ ইনিশিয়েটিভস ইনক’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম সনি বলেন- ‘সুশিক্ষিত নাগরিকই মানবিক ও দায়িত্বশীল সমাজ গড়ে তোলে’ এই বিশ্বাস নিয়ে লাইফ ইনিশিয়েটিভস ইনক সকলকে আহবান জানায়। তাদের মিশনে অংশ নিতে, তথ্য ছড়িয়ে দিতে এবং স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে এগিয়ে আসতে।
যোগাযোগ:
ওয়েবসাইট:www.knowyourrights.online
ই-মেইল: info@lifeinitiatives.org